শিল্প-সাহিত্য
মায়ের প্রতি তাদের ভালোবাসা
Published
2 years agoon
By
জাকির হোসাইনবিশ্ব মা দিবস আজ। মায়ের প্রতি আমাদের রয়েছে অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। আর এ ভালোবাসা প্রকাশের জন্যই তো প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার পালন করা হয় বিশ্ব মা দিবস।
মা আমাদের জীবনে সত্যিই আকাশের সমান ছায়া হয়ে থাকে। আমরা যতদিন মায়ের ছায়াতলে থাকি, ততদিন পৃথিবীটাকে বাধাহীন বিচরণভূমি বলে মনে হয়।মায়ের স্নেহের তুলনা হয় না পৃথিবীর আর কিছুর সঙ্গে।
তবে আজ মা দিবসে জানব জীবনানন্দ দাশ, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব বসু ও তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের মায়ের প্রতি ভালোবাসা কেমন ছিল, আবার তাদের প্রতি মায়ের ভালোবাসা কেমন ছিল।
জীবনানন্দ দাশ : বালক জীবনানন্দ দাশ অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকত কখন মা ঘরে আসবে। তারপরেই সে ঘুমাবে। আর ঘরের এক কোণে তার বাবা বাতি জ্বালিয়ে রাত অবধি লিখতেন। আর জীবনানন্দের মা তখনও রান্নাঘরে। যৌথ পরিবারের বড় হেঁশেল। পরিবারের প্রতিটি মানুষের খাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি শুতে যাবেন না। তারপর সব কাজ শেষ করে ঘরে এলে এক দফা ছেলের সঙ্গে গল্প না করে ঘুমোতেন না। ছেলের সারাদিনের কাজের হিসেব নিতেন তখনই। তারপর ঘুমিয়ে পড়তে বলতেন।
এদিকে ঘুম না আসা পর্যন্ত জীবনানন্দের কেবলই ভয় করত এই বুঝি কোনও পড়শি তার মা-কে ডাকতে এল। কারণ পাড়াপড়শির রোগভোগে মা থাকতেন সব সময় পাশে। এমনকী কোনও দুঃস্থ পরিবারকে হয়তো ভিটেছাড়া করা হয়েছে, হয়তো কোনও ‘নিচু জাতের’ কেউ মারা গেছে, কার ঘরে কোনও পোয়াতি মায়ের প্রসব হবে, মার কাছে এক বার খবর এলেই হলো ঠিক চলে যেতেন। সারারাত হয়তো বাড়িই ফিরতেন না আর।
বালক জীবনানন্দর ডাকনাম ছিলো মিলু। সে তখনও জানতেই পারেনি তার মা কুসুমকুমারীর কবি হিসেবে কত সুখ্যাতি ছিলো। ‘ব্রহ্মবাদী’, ‘মুকুল’, ‘প্রবাসী’র মতো পত্রিকায় নিয়মিত তার লেখা বেরোত। তবে এত বড় পরিবারের ঝক্কি ঠেলে তত সময় দিতে পারেন না লেখার জন্যে।
তবুও জীবনানন্দ নিজেই দেখেছেন ‘সংসারের নানা কাজকর্মে খুবই ব্যস্ত আছেন তার মা, এমন সময়ে ‘ব্রহ্মবাদী’র সম্পাদক আচার্য মনোমোহন চক্রবর্তী এসে বললেন, এক্ষুনি ‘ব্রহ্মবাদী’র জন্য তোমার কবিতা চাই প্রেসে পাঠাতে হবে, লোক দাঁড়িয়ে আছে। শুনে মা খাতা-কলম নিয়ে রান্নাঘরে ঢুকে এক হাতে খুন্তি, আর এক হাতে কলম নাড়ছেন দেখা যেত এবং আশ্চর্য’র বিষয় এ যে চক্রবর্তীকে প্রায় তখনই কবিতা দিয়ে দিতেন তার মা’।আবার ছেলের জন্মদিনে তার বন্ধুদের, স্বামীর অফিসের লোকজনকে বাড়িতে নেমন্তন্ন করতেন কুসুমকুমারী। সেখানে গান হত। কবিতা পাঠও।
কখনও কখনও ছেলের বন্ধুদের নিয়ে বসাতেন সাহিত্যসভা সেখানে ছোটদের সঙ্গে বঙ্কিমচন্দ্রর উপন্যাস, কি রামায়ণের নানান সব চরিত্র নিয়ে তর্কও করতেন। মুগ্ধ হয়ে তার কথা শুনত ছেলেমেয়েরা।
জীবনানন্দের মা কুসুমকুমারীই লিখেছিলেন ‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে?কথায় না বড় হয়ে, কাজে বড় হবে।’
তাই জীবনানন্দ যখন তারুণ্যের স্থূলতায় বড় বড় আদর্শ মহাপুরুষদের সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করতে শুরু করলেন, তখন মা তাকে বলেছিলেন ‘ও-রকম করে হয় না আগে তাদের মহত্ত্বে বিশ্বাস করো মনের নেতিধর্ম নষ্ট করে ফেলো; শুধু মহামানুষ কেন যে কোনও মানুষ কতখানি শ্রদ্ধা ও বিশ্বাসের পাত্র অনুভব করতে শেখো’।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় : বই পড়ার অভ্যাস মায়ের থেকে পেয়েছিলেন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মা প্রভাবতী দেবীর নিজেরই ছিল বই পড়ার দারুণ নেশা। আফিম খেতেন, তার ঝোঁকে সন্ধ্যার দিকে ঘুমিয়ে পড়তেন। দু’ঘণ্টা পর উঠে সবাইকে খাইয়ে একটা হ্যারিকেন জ্বালিয়ে পড়তে বসে যেতেন। রাত্রি দুটো পর্যন্ত আলো জ্বেলে বই পড়তেন তার মা।হাতের লেখা ছিল যেন মুক্তো। বানান নির্ভুল, ব্যাকরণেও ভুল করতেন না। এ নিয়ে একবার অদ্ভুত কান্ড ঘটে।তারাশঙ্করের বাবা মারা যাওয়ার পর বিষয়-সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলায় দাখিল করা কাগজে মায়ের সই বা লেখা দেখে বিচারকের সন্দেহ হয়, এ কোনও মেয়ের লেখা হতেই পারে না! শুধু পড়াশুনো নয়, পুত্র বিস্মিত হতেন মায়ের সাহস আর স্থৈর্য দেখেও।
এদিকে গ্রামের বাড়ি। প্রায়ই ভূত বা প্রেতাত্মার গুজব ছড়াত। প্রভাবতীদেবীর তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই। সটান বেরিয়ে পড়তেন বাড়ি থেকে।নিজ চোখে দেখেশুনে অন্যের ভয় ভাঙাতেন।ঘরে সাপ ঢুকলে নিমেষে বুঝে ফেলতেন। সাপের গন্ধ নাকি টের পেতেন তিনি। একবার পায়ের উপর দিয়ে হেঁটে গেছে গোখরো সাপ। তাতে অচলা মূর্তি হয়ে দাঁড়িয়ে বিপদ এড়িয়েছিলেন তিনি।
মায়ের কথা তারাশঙ্কর লিখেছেন “আমার মায়ের দেহবর্ণ ছিল উজ্জ্বল শুভ্র। আর তাতে ছিল একটি দীপ্তি। চোখ দুটি স্বচ্ছ, তারা দুটি নীলাভ। কথাবার্তা অত্যন্ত মিষ্ট, প্রকৃতি অনমণীয় দৃঢ়, অথচ শান্ত। আমার মা যদি উপযুক্ত বেদীতে দাঁড়াবার সুযোগ পেতেন তবে তিনি দেশের বরণীয়াদের অন্যতমা হতেন এ বিষয়ে আমি নিঃসন্দেহ’।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় : জীবনযুদ্ধে কখনই হার মানতেন না শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মা ভুবনমোহিনী দেবী। ভুবনমোহিনীর বাবা কেদারনাথ ভাগলপুরের ধনী সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি ছিলেন। এই বাড়িতেই আশ্রিত ছিলেন মতিলাল চট্টোপাধ্যায়। মেয়েকে কাছে রাখবেন ভেবে মতিলালের সঙ্গে তার বিয়ে দিয়ে দিলেন কেদারনাথ। ঘরজামাই মতিলাল ছিলেন আয়েসি ও খুব শৌখিন। অর্থ উপার্জনের কোনো চেষ্টাই করতেন না। তিনি মজে থাকতেন তাস-দাবায়, তামাকের নেশায় আর দিবানিদ্রায়। স্কুল মাস্টারির চাকরি পেলেন বছর না ঘুরতেই তাতে ইস্তফা দিয়ে চলে এলেন। বাপের বাড়িতে লজ্জায় কুণ্ঠিত হয়ে থাকতে হয় ভুবনমোহিনীকে। তবু তিনি সংসারটাকে ভেসে যেতে দেননি।
মা সম্পর্কে শরৎচন্দ্র লিখেছেন ‘আমার মা ছিলেন খুবই উদারপ্রাণ। সংসারের সকল দুঃখ কষ্ট তিনি হাসিমুখেই সহ্য করতেন। ত্যাগ, কর্তব্যবোধ, নিষ্ঠা, স্নেহপ্রবণতা এসব গুণের সমন্বয়ে গঠিত ছিল তার চরিত্র’।
সংসারে ভুবনমোহিনীর ভূমিকা কী ছিল তা বোঝা যায় ১৯১৯ এর ২৪ আগস্ট শরৎচন্দ্রেরই লেখা একটি চিঠিতে “মায়ের মৃত্যুর পরে বাবা প্রায় পাগলের মতো হয়ে যা কিছু ছিল সমস্ত বিলিয়ে নষ্ট করে দিয়ে স্বর্গগত হন।
বুদ্ধদেব বসু : বুদ্ধদেব বসু তার দিদিমাকে ডাকতেন ‘মা’। বুদ্ধদেব বসুর মা বিনয়কুমারী বুদ্ধদেবের জন্মের পর চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ধনুষ্টংকার রোগে মারা যান। আর এ মৃত্যুর জন্যই পুত্রের নাম রাখা হয় বুদ্ধদেব। বুদ্ধদেবের দিদিমার ব্যক্তিগত সম্পত্তির মধ্যে একটি ফটোগ্রাফ ছিল ক্ষীণাঙ্গ এক যুবক, তার কাঁধে মাথা রেখেছে এক তরুণী। আর তরুণীটির মুখটি গোল মতো, পিঠ-ছাপানো একরাশ চুল, কিন্তু চোখ তার বোজা, যুবকটি তার কোমর জড়িয়ে ধরে আছে। বুদ্ধদেব বসুর বাবা ভূদেবচন্দ্র বসু তার মৃত পত্নীকে নিয়ে ছবিটি তুলেছিলেন। এর পরেই তিনি সংসারত্যাগী হন। তারপর একমাত্র ওই ছবিটি নিয়ে কোনও কৌতূহল বা চিন্তা করার অবকাশ পাননি বুদ্ধদেব। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে, ষাট পেরোনো মানুষটির প্রান্তিক নির্জনতায় বসে ওই ছবির কথা মনে পড়ত তার।
সেই সঙ্গে বুদ্ধদেবর মনে হত ‘কেমন ছিল সে দেখতে, কেমন পছন্দ-অপছন্দ ছিল তার? বই পড়তে ভালোবাসত? আমার মধ্যে তার কোনও একটি অংশ কি কাজ করে যাচ্ছে? মনে হয় আমাকে জন্ম দেবার পরিশ্রমে যে মেয়েটির মৃত্যু হয়েছিল তার কিছু প্রাপ্য ছিল আমার কাছে’।
অন্যরা যা পড়ছেন
রাজধানীর নিকুঞ্জে আবাসিক ভবনে বিস্ফোরণ, আহত ১
এক সপ্তাহে হিটস্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু
নিজ ঘর থেকে আড়াই বছরের শিশুর দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার
কক্সবাজারে ১০ কেজি গাঁজাসহ যুবক গ্রেপ্তার
তিন ঘণ্টা পর সিলেটের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
ঘুমন্ত হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা, ৩ বিএনপি কর্মী গ্রেপ্তার
ইউরোপে কঠোর হচ্ছে অভিবাসন নীতি, যা জানালো ঢাকার ইইউ প্রধান
টিভিতে আজকের খেলা
এক মিনিটের জন্য বিসিএসের স্বপ্ন চুরমার!
শিল্প-সাহিত্য
বইমেলায়ে এসেছে মোশতাক আহমেদ এর ‘রূপার সিন্দুক’
Published
2 months agoon
ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪By
অনন্যা চৈতীএবারের অমর একুশে বইমেলায় এসেছে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক মোশতাক আহমেদের লেখা শিশিলিন সিরিজের নতুন কিশোর গোয়েন্দা উপন্যাস ‘রূপার সিন্দুক’।
এছাড়াও রয়েছে – প্যারাসাইকোলজি উপন্যাস- হারানো জোছনার সুর; সায়েন্স ফিকশন- দ্য ওল্ড ওয়ার্ল্ড এবং ভৌতিক- মৃত্যুবাড়ি।
উল্লেখ্য, মোশতাক আহমেদ পেশায় একজন পুলিশ অফিসার। ২০১৮ সালে বাংলা একেডেমি সাহিত্য পুরস্কার এবং শিশু একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন। এছাড়াও তিনি কালি ও কলম সাহিত্য পুরস্কার, ছোটদের মেলা সাহিত্য পুরস্কার, কৃষ্ণকলি সাহিত্য পুরস্কার এবং চ্যানেল আই সিটি আনন্দ সাহিত্য পুরস্কারসহ নানা সম্মাননায় ভূষিত হন।
পবিত্র শবে বরাতের ছুটির দিনে অমর একুশে বইমেলা শুরু হবে বেলা ১২টায়। চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। তবে রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবে না।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমির জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
আরো জানানো হয়েছে, অমর একুশে বইমেলার ২৬তম দিনে বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ : আবুবকর সিদ্দিক এবং স্মরণ : আজিজুর রহমান আজিজ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ফরিদ আহমদ দুলাল এবং কামরুল ইসলাম। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন মামুন মুস্তাফা, তৌহিদুল ইসলাম, মো. মনজুরুর রহমান এবং আনিস মুহম্মদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন কবি আসাদ মান্নান। এছাড়া বিকেলে ‘লেখক বলছি’ এবং বই-সংলাপ ও রিকশাচিত্র প্রদর্শন মঞ্চের আয়োজনও অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের এক তারিখ থেকে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায় চলছে অমর একুশে বইমেলা। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি ইউনিট অর্থাৎ মোট ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৯৩৭টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় ৩৭টি (একাডেমি প্রাঙ্গণে ১টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬টি) প্যাভিলিয়ন বই বিক্রি করছে।
শিল্প-সাহিত্য
বইপ্রেমীদের পছন্দের তালিকায় কমান্ডার মঈনের বই
Published
2 months agoon
ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪By
অনন্যা চৈতীএবারের অমর ২১ শে গ্রন্থমেলায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের দুটি বই।
মঙ্গলবার (২০ ফ্রেব্রুয়ারি) বই দুটির উদ্বোধন করেন বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন। এরপর থেকে কবি প্রকাশনীর (৬৩ ও ৬৪ নম্বর) স্টলে বইগুলো পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন লেখক। গতকাল (বুধবার) ছুটির দিনে কবি প্রকাশনীর স্টলে ক্রেতাদের ঢল নামে। বই কেনার পর লেখকের অটোগ্রাফ নেন বইপ্রেমীরা। অনেকে তার সঙ্গে সেলফি তোলেন। এদিন ভারতীয় প্রকাশক ও লেখকরাও তার বই সংগ্রহ করছেন ।
কর্মক্ষেত্রে বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে সচেতনতামূলক দুটি বই লিখেছেন মঈন। কিশোর গ্যাং ও মাদক বর্তমান সমাজে প্রধান দুটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বই দুটির একটি ‘মাদকের সাতসতেরো’ অপরটি ‘কিশোর গ্যাং- কীভাবে এলো, কীভাবে রুখবো’।
খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে বলেন, ছুটির দিন হওয়ায় বুধবার বিকাল থেকে মেলায় ছিলাম। বইপ্রেমীদের ব্যাপক সাড়া দেখেছি। অনেকে বই সংগ্রহের পর তাতে অটোগ্রাফ নিছেন, সেলফি তুলেছেন।
প্রায় সব সংখ্যা বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানালেন কবি প্রকাশনী স্বত্বাধিকারী সজল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘শেষ সময়ে বই দুটি এলেও এর ব্যাপক চাহিদা। আগে থেকে লেখকের সুপরিচিত থাকায় অনেকে তার বই সংগ্রহ করছেন। এরই মধ্যে দুটি বইয়ের প্রায় সব সংখ্যাই বিক্রি হয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, বর্তমানে সামাজিক অবক্ষয়ের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা মাদক ও কিশোর গ্যাং। এই দুটি সমস্যার কোন পরিস্থিতিতে আছি আমরা— বাংলাদেশ? কতটুকু সচেতন হয়েছি? প্রস্তুতিই বা কতটুকু? কীভাবে মিলবে। ভয়ংকর এই সমস্যাগুলোর বাস্তবভিত্তিক সমাধান খুজেছেন তিনি।
কমান্ডার মঈন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিজের সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে গভীর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে ভয়াবহ এই দুই সমস্যার সমাধানসূত্র খুঁজেছেন তার লেখা দুটি বইতে।
বই দুটি ‘কবি প্রকাশনীর’ ব্যনারে বইটি ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’ এর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রান্তের ৬৩ ও ৬৪ নাম্বার স্টলে পাওয়া যাবে।
জাতীয়
রাজধানীর নিকুঞ্জে আবাসিক ভবনে বিস্ফোরণ, আহত ১
রাজধানী নিকুঞ্জ-২ এলাকার একটি আবাসিক ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার(৩০ এপ্রিল) বিকেলে এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে...
জিডিপি প্রবৃদ্ধির দৌড়ে চীন, মালয়েশিয়াকে ছাড়াবে বাংলাদেশ: আইএমএফ
চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধির দৌড়ে এশিয়ার অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি...
আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড
আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড করলো বাংলাদেশ। ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে আজ। এর ফলে দেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে...
ডিএসইসি সভাপতি মুক্তাদির অনিক, সম্পাদক জাওহার ইকবাল
গণমাধ্যমে কর্মরত সহ-সম্পাদকদের সংগঠন ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি)দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি পদে মুক্তাদির অনিক নির্বাচিত হয়েছেন। আর সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন জাওহার...
বাড়লো সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম
বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাড়লো জ্বালানি তেলের দাম। প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বেড়েছে এক টাকা। পেট্রল ও অকটেনের...
‘অতি বাম আর ডান মিলে সরকার উৎখাতে কাজ করছে’
অতি বাম আর অতি ডান মিলে সরকার উৎখাতে কাজ করছে। তাদের মূল লক্ষ্য সরকার উৎখাত। দেশে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া যারা তারা,...
এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয়ের প্রার্থী হওয়া নিয়ে আইনি বাধা নেই
অনেক স্থানে এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয় প্রার্থী হয়েছেন। তবে গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী আমরা কোথাও কোনো সমস্যা দেখছি না। আইনে বলা আছে যিনি...
এক সপ্তাহে হিটস্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু
গেলো এক সপ্তাহে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে দশ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এদের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ২ জন...
নিজ ঘর থেকে আড়াই বছরের শিশুর দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার
দিনে দুপুরে নিজ ঘর থেকে আড়াই বছরের কন্যা শিশু দুলালীর দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে...
স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
গোপালগঞ্জের কমলেশ বাড়ৈ (৪৫) হত্যা মামলায় স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত...
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
রাজধানীর নিকুঞ্জে আবাসিক ভবনে বিস্ফোরণ, আহত ১
জিডিপি প্রবৃদ্ধির দৌড়ে চীন, মালয়েশিয়াকে ছাড়াবে বাংলাদেশ: আইএমএফ
ফিলিস্তিনে ধাওয়া খেয়ে দৌড়ে পালালেন জার্মান রাষ্ট্রদূত
রাত ১টার মধ্যে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড়
ছবি তুলতে ফটোগ্রাফার নিয়োগ ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের
আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড
ডিএসইসি সভাপতি মুক্তাদির অনিক, সম্পাদক জাওহার ইকবাল
প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
টয়লেটে ৯ মাস ধরে আটক থাকা যুবক উদ্ধার
শাকিবকে বিয়ের আগেই বুবলী বিবাহিত ও এক সন্তানের জননী, বোমা ফাটালেন সুরুজ বাঙালি
৯ দিনে একে একে মারা গেলেন ৩ ভাই
এক মিনিটের জন্য বিসিএসের স্বপ্ন চুরমার!
রাতের মধ্যে যেসব জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ হতে পারে বৃষ্টি
ঋণ পেতে মৃত চাচাকে ব্যাংকে নিয়ে গেলেন ভাতিজি
৭৫ নেতাকে বহিষ্কার করলো বিএনপি
র্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত
সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও
গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু
বাংলাদেশ-চীনের সামরিক মহড়া, যা জানালো ভারত
সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)
বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!
বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া
রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু
জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব
রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর
সর্বাধিক পঠিত
- বাংলাদেশ7 days ago
শাকিবকে বিয়ের আগেই বুবলী বিবাহিত ও এক সন্তানের জননী, বোমা ফাটালেন সুরুজ বাঙালি
- দুর্ঘটনা5 days ago
৯ দিনে একে একে মারা গেলেন ৩ ভাই
- বাংলাদেশ4 days ago
এক মিনিটের জন্য বিসিএসের স্বপ্ন চুরমার!
- আবহাওয়া4 days ago
রাতের মধ্যে যেসব জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ হতে পারে বৃষ্টি
- টুকিটাকি7 days ago
ঋণ পেতে মৃত চাচাকে ব্যাংকে নিয়ে গেলেন ভাতিজি
- বাংলাদেশ5 days ago
৭৫ নেতাকে বহিষ্কার করলো বিএনপি
- বাংলাদেশ7 days ago
র্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত
- টুকিটাকি2 days ago
সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও