আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রও স্বীকৃতি দিতে পারে ফিলিস্তিনকে

যুক্তরাষ্ট্রও স্বীকৃতি দিতে পারে ফিলিস্তিনকে
যুক্তরাজ্যের পরে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও ‘স্বাধীন ফিলিস্তিনের’ স্বীকৃতি পাওয়ার আশা করছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন,বাংলাদেশ-ডিকাব আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এসময়ে, গাজার গণহত্যা ঠেকানোর জন্য জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস বা আইসিজের আদেশকে সাধুবাদ জানিয়ে একে স্বাধীন ফিলিস্তিনের ‘প্রথম ধাপ’ বলেও আখ্যায়িত করেন তিনি। এদিকে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার সময়কে এগিয়ে আনতে যুক্তরাজ্য প্রস্তত বলে গত ৩১ জানুয়ারি জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চিন্তাকে ‘ভালো পদক্ষেপ’ হিসাবে উল্ল্যেখ করে রামাদান বলেন, “যুক্তরাজ্যের যদি সত্যিকারের নৈতিকতা থাকত, তাহলে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা হত প্রথম দেশ। এ রাষ্ট্রদূত আরও বলেন , “আমরা সবাই জানি, এখন যেসব সমস্যা, যেসব দুর্দশার মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি- তার মূলে রয়েছে যুক্তরাজ্যের একটি নীতি। কিন্তু নৈতিকতা সেখানে নেই। এটা খুব ভালো পদক্ষেপ।” যুক্তরাষ্ট্রও একই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে দাবি করে ফিলিস্তিনি দূত বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির বিষয়ে কাগজপত্র তৈরি করতে বলেছেন।” আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিজে) রায় প্রসঙ্গে বলেন, ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৭৫ বছর ধরেই ‘গণহত্যা’ চলছে। আইসিজের আদেশ না হওয়ার আগ পর্যন্ত ইসরায়েল দায়মুক্তি পেয়ে আসছিল। এই আদেশ স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে, রাষ্ট্র হিসাবে ইসরায়েলের দায়মুক্তি আর নয়- রাষ্ট্রটি অপরাধ করেছে, অন্য সবার মতো তাকেও মূল্য দিতে হবে। প্রসঙ্গত, এ অনুষ্ঠানে ডিকাব সভাপতি নূরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন যুক্তরাষ্ট্রও | স্বীকৃতি | পারে | ফিলিস্তিনকে