আইন-বিচার

বিএনপি নেতা আলতাফ-আলাল গ্রেপ্তার

বিএনপি নেতা আলতাফ-আলাল গ্রেপ্তার
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে তিনটি এবং যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে আরও চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গেলো ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় করা এসব মামলায় তাদের আটক দেখানো হয়। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত এসব মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন। এর আগে গেলো  ২৯ জানুয়ারি আলালকে এবং ৩০ জানুয়ারি আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে এসব মামলায় আইন অনুযায়ী জামিন আবেদন গ্রহণ করে নিষ্পত্তির আদেশ দেন হাইকোর্ট। সেই আদেশের প্রেক্ষিতে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি হাজির দেখিয়ে এবং আলালকে সশরীরে হাজির করে এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলা সূত্রে জানা যায়, গেলো ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় রমনা থানায় আলতাফ হোসেন চৌধুরীর  বিরুদ্ধে এসব মামলা করা হয়। মামলায় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, যানবাহন ভাঙচুর, রাস্তায় বেআইনি জমায়েত, সহিংসতা, সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি, পুলিশ সদস্যদের লাঞ্ছিত এবং দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। এর প্রেক্ষিতে ৫ নভেম্বর ভোরে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে আলতাফ চৌধুরীকে আটক করে র‍্যাব। ওইদিন তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে নাশকতা ও ভাঙচুরের এক মামলায় আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, গেলো ৩০ জানুয়ারি বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই তিন মামলায় আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখাতে এবং ১৫ দিনের মধ্যে তার জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন। অপরদিকে রাজধানীর পল্টন থানার এক মামলায় ৩১ অক্টোবর শাহজাহানপুরের একটি বাসা থেকে আলালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ মামলায় কারাগারে আটক রয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন, মোসলেহ উদ্দিন জসীম, তাহেরুল ইসলাম তৌহিদসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী শুনানি করেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বিএনপি | নেতা | আলতাফআলাল | গ্রেপ্তার