Connect with us

আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারের বিমান হামলা যুদ্ধাপরাধের সামিল : তদন্তের দাবি অ্যামনেস্টির

Avatar of author

Published

on

গেলো জানুয়ারিতে  মিয়ানমার জান্তা সরকারের চালানো বিমান হামলা যুদ্ধাপরাধের সামিল বলে দাবি করেছে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন কানান গ্রামে সাধারণ নাগরিকদের উপর এই হামলা চালায় মিয়ানমার সরকার।

গেলো শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সম্প্রতি মিয়ানমারের সাগাইন অঞ্চলের তামু শহরের, কানান গ্রামে জান্তা সরকারের বিমান হামলায় যুদ্ধাপরাধ তদন্তের দাবি জানিয়ে এমিনেস্টির এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মিয়ানমারের সংবাদ মাধ্যম দ্যা ইরাবতী।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সংগঠনটি বিমান হামলায় সাধারণ মানুষের নিহতের বিষয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠাতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে দাবি জানিয়েছে।

জানা যায়, এ বছরের ৭ জানুয়ারি মিয়ানমারের সেন্ট পিটার্স ব্যাপ্টিস্ট চার্চে জান্তা সরকারের চালানো বিমান হামলায় নয় শিশু সহ ১৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। এতে আরও ২০ জন আহত হয়। একই সাথে হামলায় ৬ টি বাড়ি ,স্কুল, ও চার্চ ধ্বংস হয়।

বিমান হামলায় নিহত বেসমারিক নাগরিকদের লাশের সারি

Advertisement

অ্যামনেস্টি জানায়, তাদের হাতে থাকা একটি ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যায় চায়নার তৈরি একটি এ-৫ যুদ্ধ বিমান ওই গ্রামের উপর উড়ছে। সাধারণত তাদাউ বিমান ঘাটি থেকে উড্ডয়ন করে এসব যুদ্ধ বিমান সাগাইন অঞ্চলের উপর হামলা চালায়। স্যাটেলাই ছবিতে দেখা যায় ওই বিমান ঘাটির রানওয়েতে এ-৫ ফাইটার দাঁড়িয়ে আছে।

সূত্র বলছে, মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা হামলার দিন ওই গ্রামের একটি স্কুলে উৎসবের জন্য একত্রিত হওয়ার তথ্য জান্তা সরকার জানতে পারে।

গবেষণা সংস্থা নায়ান লিন থিট এনালিটিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গেলো ডিসেম্বরে জান্তা সরকারের চালানো ১৬৫২ টি বিমান হামলায় ৯৩৬ জন বেসমারিক নাগরিক নিহত এবং ৮৭৮ জন নাগরিক আহত হয়েছেন।

এ হামলায় ১১৩৭ টি ধর্মীয় স্থাপনা, ৭৬ টি স্কুল ও ২৮ টি হাসপাতাল ধ্বংস হয়।

এদিকে মিয়ানমারের সেনাদের জন্য আমদানিকৃত জেট ফুয়েলের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনটি।

Advertisement

ইরাবতী জানায়, জান্তা সরকার অভিযোগ অস্বিকার করে দাবি করছে ওই গ্রামে হামলার দিন সকালে তাদের কোন ফাইটার যায়নি।

প্রসঙ্গত, হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত কানান গ্রামটি দেশটির খৃষ্টান ঔদ্ধষিত সবচেয়ে বড় গ্রাম। এখানে ৭ হাজারের বেশি শীন উপজাতির বাসিন্দা আছেন।

Advertisement

আন্তর্জাতিক

মাঝ আকাশে উড়োজাহাজের দুই যাত্রীর তুঘলকি কাণ্ড

Published

on

সংগৃহীত ছবি

লোকাল বা ট্রেনে সিটে বসা নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি কিংবা হাতাহাতির ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। তবে মাঝ আকাশে উড়োজাহাজের  সিটে বসা নিয়ে দুই যাত্রীর তুঘলকি কাণ্ড সোস্যাল মিডিয়ার বদৌলতে প্রত্যক্ষ করলো বিশ্ববাসী।

মঙ্গলবার(৭ মে) এমনই ঘটনা ঘটেছে ইভা এয়ারওয়েজ করপোরেশন নামে তাইওয়ানের আন্তর্জাতিক এয়ালাইন্সের তাইওয়ান থেকে ক্যালিফোর্নিয়াগামী একটি ফ্লাইটে।

মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার উড়োজাহাজের মধ্যে এ মারপিটের কারণ হচ্ছে এক যাত্রী অন্য যাত্রীর সিট দখল করে নেওয়া।

বিমানবন্দরে প্রবেশ করে বোর্ডিংপাস নেওয়ার সময়ই টিকিটের ওপরই সিট নির্ধারণ করে দেওয়া থাকে। অনেক সময় টিকিট রিজার্ভেশনের সময়ও সিটের ব্যাপারে উল্লেখ থাকে। তাই সিট নিয়ে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না। ইভা এয়ারওয়েজেরর ওই ফ্লাইটে এক যাত্রী তার নির্ধারিত সিটে না বসে অন্য এক যাত্রীর সিটে বসেন। এতে ওই যাত্রী তার সিটে অন্য একজনকে দেখতে পেয়ে উঠতে বলেন এবং তার সিটে যেতে বলেন। তিনি ওই সিট না ছাড়লে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বসা ব্যক্তিকে মারধর করলে তিনিও বসে থাকেননি। তাদের সেই মারামারির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।

Advertisement

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায় তুমুল মারপিট চলছে। ইভা এয়ার ওয়েজের উড়োজাহাজটি   তাইওয়ান থেকে ক্যালিফোর্নিয়ায় যাচ্ছিলো। উড়োজাহাজটি যখন মাঝ আকাশে তখনই একটি সিট নিয়ে দুই যাত্রী একে অপরকে মারপিট শুরু করে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়,  এক যাত্রীর পাশে থাকা সহযাত্রী তখন খুবই কাশছিলেন। তখনই ওই যাত্রী নিজের সিট বদল করে নেন। তার চোখে পড়ে বিমানে একটি সিট খালি রয়েছে। সেখানে বসতে যান ওই যাত্রী। বসেও পড়েন। এরপর সেই সিটের যাত্রী এসে নিজের সিটে অন্য কাউকে বসতে দেখে রেগে যান।

ভিডিওতে আরও দেখা যায় ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা মারামারিতে ব্যস্ত দুই যাত্রীকে শান্ত করার চেষ্টা করছেন। পরে বেশ কয়েকজন যাত্রী এসে তাদের দূরে নিয়ে যান।

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

চীনে রেলপথ ছাড়াই সড়কে চলবে চালকবিহীন ট্রেন

Published

on

সংগৃহীত ছবি

প্রথম বারের মতো নতুন একটি ট্রেন ছুটে চলবে। তাও আবার সড়কের মাঝখান দিয়ে। সেখানে নেই কোনো ধাতব রেললাইন। নতুন এই ট্রেনের না আছে কোনও রেললাইন, না আছে ড্রাইভার। এটাই বিশ্বের প্রথম ট্রেন যেটি ছুটবে ভার্চুয়াল ট্র্যাকে। এই ট্রেনটিকে যেকোনো ব্যক্তি প্রথম দেখলেই বাস মনে করবে। বাসের মতো দেখতে মনে হলেও নতুন এই ট্রেনটি আবিষ্কার করেছে চীন।

ইন্টেলিজেন্ট রেইল ট্রানজিট বা আইআরটি নামে এই ট্রেনের ট্রায়াল রানের সাক্ষী ছিল চীনের হুনান প্রদেশের ঝুঝৌ শহর। সম্প্রতি  পরীক্ষামূলকভাবে চলে এই ভার্চ্যুয়াল ট্র্যাকের ট্রেন। প্রথম পরীক্ষায় সফল হওয়ায়  খুব শিঘ্রই  এই ট্রেন জনসাধারণের চলাচলের জন্য ছাড়া হবে। এমনটাই জানিয়েছে  চীনের রেল কর্পোরেশন।

জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম দেশ চীনের পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত ও আধুনিক। সাধারণ জনগণের ভ্রমণ ব্যবস্থা সুন্দর ও আরামদায়ক এবং কীভাবে আরও উন্নত করা যায় তানিয়ে চীনা বিজ্ঞানীদের গবেষণা চলছে প্রতিনিয়ত। এক হাজার কিলোমিটার গতি সম্পন্ন বুলেট ট্রেনের মাধ্যমে পুরো বিশ্বকে চমকে দেওয়ার পর আবারও এই দেশটি বিস্ময় সৃষ্টি করলো রেললাইনবিহীন ও চালকছাড়া ট্রেন তৈরির মাধ্যমে।

আগে রেলগাড়ি মানেই ছিলো ঝুমঝুম শব্দ করে নিজস্ব লাইনের ওপর দিয়ে ছুটে চলা ট্রেন। তবে চীনের নতুন এই ট্রেনটি নিজস্ব লাইন দিয়ে ছুটবে না। সড়কেই খুঁজে নেবে নিজের চলাচলের পথ।  বাস-ট্রাকের সঙ্গে সড়ক দিয়ে চলা এই ট্রেন ছুটবে ঘণ্টায় ৯৬ কিলোমিটার গতিতে। এর জন্য কোনো ট্র্যাক নির্মাণ ও ট্রামের মতো ওভারহেড তারের প্রয়োজন হবে না।

নির্মান প্রতিষ্ঠান সিআরআরসি কর্পোরেশন লিমিটেড সূত্র জানায়, বিদ্যুৎচালিত আইআরটি ট্রেনটি সম্পূর্ণরূপে পরিবেশবান্ধব। কোনো দূষণও ঘটাবে না ট্রেনটি। এতে তিনটি বগি রয়েছে। প্রত্যেকটি বগি ৩১ দশমিক ছয় চার মিটার লম্বা, ২ দশমিক ছয় পাঁচ মিটার চওড়া এবং ৩ দশমিক চার মিটার উঁচু। প্রতিটি বগিতে ১০০ জন অর্থাৎ ট্রেনটিতে মোট তিনশো যাত্রী ভ্রমণ করতে পারবেন। ট্রেনটি সহজেই বাঁক নিতে পারে। লোকোমোটিভ ডিজাইনের কারণে ট্রেনটিকে ঘুরে দাঁড়াতে হয় ন।

Advertisement

আইআরটি ট্রেনে সংযুক্ত রয়েছে অত্যাধুণিক স্মার্ট ড্রাইভিং সিস্টেম। এই সিস্টেমে রয়েছে স্বায়ত্তশাসিত নেভিগেশন। এটি গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএস এবং সেন্সর ডেটা ব্যবহার করে আইআরটি ট্রেনকে সঠিকভাবে তার বর্তমান অবস্থান বা লোকেশন কিংবা পূর্ব-নির্ধারিত পথ অনুসরণ করাতে পারে।

স্মার্ট ড্রাইভিং সিস্টেমে রয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সেন্সর অ্যারে। এটি চলার পথে বাধাগুলো সনাক্ত করে ট্রেনটিকে তার গন্তব্যে যেতে দিক নির্দেশনা দেয়। যেমনটি ট্রাফিক লাইনগুলো নির্দেশনা দিয়ে থাকে নিয়মিত যানবাহনগুলোকে। এছাড়া,এআই এবং মেশিন লার্নিং প্রযুক্তিগুলো সঠিক সময়ে ট্রেনটির চলার পথ মসৃন করা ও যানবাহন পরিচালনাসহ  সামগ্রিক কর্মদক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করে।

পাঁচ বছর আগে থেকে এই ট্রেনের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়। বিশেষ এই ট্রেনটির চাকা রাবারের, যা প্লাস্টিকে মোড়ানো। এই মেগা প্রকল্পের জন্য খরচ হয়েছে ৭০ কোটি ইউয়ান। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় এক হাজার ৬৪ কোটি টাকা।

চীনের রেল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দাবি, অন্তত ২৫ বছর ট্রেনটি দিব্যি চলবে। এই ট্রেনটি মিনিট দশেক চার্জ পেলে আরও ২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে।চীনের ছোট শহরগুলোতে যেখানে ব্যাপক রেল নেটওয়ার্ক নির্মাণ সম্ভব নয় সেসব শহরে আইআরটি ট্রেনের মাধ্যমে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হবে বলে মনে করছে চীন সরকার।

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রশ্নে ইসরায়েলকে আর ছাড় নয়: হামাস

Published

on

সংগৃহীত ছবি

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতিতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস সায় দিলেও রাফা সীমান্তে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। এমন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনের এই সশস্ত্র সংগঠনটি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনায় ইসরায়েলকে আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

গত সাত মাস ধরে চলা গাজায় ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞ থামাতে যুদ্ধবিরতি নিয়ে মিশরের রাজধানী কায়রোতে আলোচনার মধ্যেই হামাস এই হুঁশিয়ারি দিলো।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানা  গেছে।

বুধবার(৮ মে) দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে কাতারে অবস্থানরত হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সদস্য ইজ্জাত আল-রেশিক স্পষ্ট করে বলেছেন, গত সোমবার গৃহীত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বাইরে যাবে না হামাস। যুদ্ধবিরতির ওই প্রস্তাবে গাজায় কিছু ইসরায়েলি বন্দির পাশাপাশি ইসরায়েলে আটক ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

হামাসের ওই নেতা আরও বলেন, ‘ইসরায়েল কোনো ধরনের চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়ে আন্তরিক নয় এবং তারা (ইসরায়েল) রাফা আক্রমণ এবং ক্রসিং দখল করার জন্য যুদ্ধবিরতির আলোচনাকে একটি ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।’

Advertisement

এদিকে, বুধবার মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষকে হত্যা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া বোমাগুলো ব্যবহার করেছে ইসরায়েল।

তিনি বলেন, ‘যদি তারা রাফাহ যায়, আমি সেই অস্ত্র সরবরাহ করব না যা রাফাহকে মোকাবেলায় ঐতিহাসিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।’

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের জন্য নির্ধারিত বোমার একটি চালান ইতোমধ্যেই আটকে দিয়েছে ওয়াশিংটন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিনিয়র এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন ১ হাজা ৮০০টি ২ হাজার পাউন্ড বোমা এবং ১ হাজার ৭০০টি ৫০০ পাউন্ড বোমার একটি চালান থামিয়ে দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে হামাস যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হলেও তা উপযুক্ত নয় বলে প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েল। পাশাপাশি রাফায় বড় ধরনের স্থল অভিযান চালানোর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। অভিযানের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার মিশরের সঙ্গে রাফাহ ক্রসিং- গাজায় প্রবেশের একমাত্র পথ দখল করে নেয় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

Advertisement

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত