দেশজুড়ে

ফুল নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ নিষেধ!

ফুল নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ নিষেধ!
মেট্রোরেলে স্টেশনের সিঁড়ির মুখে ঝোলানো কাগজে লেখা ‘ফুল নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ নিষেধ’। ছবিটি এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ ঝুলতে দেখা গেছে। অবশ্য এ বিষয়ে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের কারও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। গেলো বছর ১৩ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন খুলে দেয়া হয়। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী একসঙ্গে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দিন রয়েছে: পয়লা ফাল্গুন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা অন্যতম। এছাড়া বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে কয়েক দিন আগে থেকেই ফুলের বাজার রমরমা। এদিকে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের আগের রাতে রাজধানীতে জমে উঠেছে ফুলের দোকানগুলো। সকালে খোঁপায় গুঁজতে বা প্রিয়তমাকে ফুল দিয়ে ভালোবাসা জাহিরে দোকানগুলোতে ভিড় জমিয়েছেন তরুণ-তরুণীরা। দোকান ঘুরে দেখা গেছে স্থান ও মানভেদে প্রতিপিস গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ৬০-২৫০ টাকায়। এর আগে রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার হিসেবে পরিচিত কারওয়ান বাজার স্টেশনে কাঁচা শাক-সবজি ও মাছ-মাংস নিয়ে মেট্রোরেলে প্রবেশে নিষেধ করে নোটিশ টানানো হয়। সে নোটিশে বলা হয়, ‘কাঁচা শাক-সবজি, মাছ ও মাংস পরিবহন নিষেধ।’ ২০১২ সালে উত্তরা থেকে মিরপুর এবং ফার্মগেট হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল নির্মাণের প্রকল্প নেয়া হয়। এটি মেট্রোরেল লাইন-৬ নামে পরিচিত। প্রথম পর্যায়ে ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু করা হয়। গেলো বছরের ৪ নভেম্বর চালু হয় আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ। শুরুতে মতিঝিল পর্যন্ত এই মেট্রোরেল নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও পরে তা কমলাপুর পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হয়। ২০২৫ সালের মধ্যে মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশ নির্মাণের মাধ্যমে মেট্রোরেল প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত কমলাপুর অংশের কাজ এগিয়েছে ২৬ শতাংশ।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ফুল | নিয়ে | ট্রেনে | ভ্রমণ | নিষেধ