আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বেইলি রোডের মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ড

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বেইলি রোডের মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ড
রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে স্থান করে নিয়েছে। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক। বিবিসি, আলজাজিরা, রয়টার্স, ভারতের এনডিটিভি, তুরস্কের আনাদোলু ফলাও করে প্রচার করেছে সংবাদটি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ শপিং মলে নামে একটি ছয় তলা শপিং মলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪৫ জন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামান্ত লাল সেনের বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, বাংলাদেশে একটি ছয় তলা ভবনের একটি রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৪৬ জন নিহত এবং কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছে। যেখানে অনেক পরিবার তাদের শিশুদের নিয়ে খাবার খাচ্ছিল। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের দুই ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছিল। তুরস্কভিত্তিক বার্তা সংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় বৃহস্পতিবার রাতে একটি সাততলা ভবনে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪৬ জন নিহত এবং এবং ১২ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যাদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। পাশাপাশি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিতে বলা হয়, ঢাকার অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের প্রাণহানির জন্য স্পষ্টভাবে নিরাপত্তা ত্রুটি দায়ী। হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর, ফলে আরও বেশি মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতের আরেক সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, বাংলাদেশের ঢাকায় বহুতলে আগুন লেগে মৃত অন্তত ৪৫, আহত বহু, অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক। এনএস/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন আন্তর্জাতিক | গণমাধ্যমে | বেইলি | রোডের | মর্মান্তিক | অগ্নিকাণ্ড