Connect with us

লাইফস্টাইল

শরীরে কোলেস্টেরল বেড়েছে কি না,কোন কোন উপসর্গ দেখে বুঝবেন

Avatar of author

Published

on

কোলেস্টেরল

প্রতিদিনের নানা অনিয়ম, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার অভ্যাস, শরীরচর্চায় অনীহা— কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়। তাকে সঙ্গে করেই আসে শরীর ঘিরে নানা আশঙ্কা।

‘হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ (এইচডিএল) ও ‘লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ (এলডিএল), মানুষের দেহে মূলত এই দুই ধরনের কোলেস্টেরল পাওয়া যায়। এর মধ্যে দ্বিতীয়টি খারাপ কোলেস্টেরল। খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলেই দেখা দিতে পারে সংবহনতন্ত্রের সমস্যা। বেড়ে যায় স্ট্রোক ও হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি। অধিকাংশ সময়ে কোলেস্টেরলের সমস্যা বেড়ে গেলে রক্তপরীক্ষা করানোর আগে তা বোঝা যায় না। তাই সময় থাকতে উপসর্গগুলি চিনে নেয়া জরুরি।

কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে। এমন কথা কানে এলেই হাজার প্রশ্ন উড়ে আসে। কী খাওয়া বন্ধ করতে হবে, কী করলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে মারণরোগ— আরও কত কী! কিন্তু কোলেস্টেরল যে মাত্রা ছাড়াচ্ছে, তা বোঝা যাবে কী ভাবে?

প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ ধরা পড়লে ঝুঁকির সম্ভাবনা কম। গবেষকদের মতে, ত্বক সে কথা জানান দেয়। ইঙ্গিত বুঝে নেয়ার উপায় জানা থাকলেই হল। ‘আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব ডার্মাটোলজি’র বক্তব্য এমনই। ত্বকে কী ধরনের পরিবর্তন দেখলে সাবধান হতে হবে? কখন কোলেস্টেরলের মাত্রা বোঝার জন্য স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে হবে?

১. শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে অনেক সময়ে লালচে চাকা চাকা র‌্যাশ দেখা দেয় ত্বকে। এগুলি সাধারণ র‌্যাশের মতো নয়। কিছুটা হলদেটে ভাব থাকে এই র‍্যাশে।

Advertisement

২. অনেক সময় আবার মোমের মতো ফোলা ভাব দেখা দেয় শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে। হাত কিংবা গলায় এমন দাগ দেখে অনেকেই মনে করেন অ্যালার্জির সমস্যা। কিন্তু তা নয়। কাছে গেলেই বোঝা যায়, এর মধ্যে তেলতেলে ভাব আছে। এই উপসর্গ দেখলেই সতর্ক হন।

৩. চোখের চারপাশে হলদেটে কমলা ছোট ছোট মোমের মতো গুটলি দেখা যায়। একটু ফোলা ফোলা ত্বক। এমন উপসর্গ দেখলেও সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন আছে।

৪. অনেক সময় দেখা যায়, মুখের মধ্যে বা যৌনাঙ্গে ঘায়ের মতো উপসর্গ। মাঝেমধ্যেই এমনটা হলে সতর্ক হন।

৫. শরীরে কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে রক্তসঞ্চালন ব্যাহত হয়। ফলে শরীরের কোষে কোষে রক্ত পৌঁছতে পারে না। এর ফলে চামড়ার রং গাঢ় হয়ে যায়। ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এমনটা হলেও সতর্ক হন।

কেএস/

Advertisement
Advertisement

রেসিপি

গরুর মাংসের ঝাল রেজালা রেসিপি

Published

on

বিফ বা গরুর মাংস দিয়ে কত পদের রান্না যে হয় বাঙালির হেঁসেলে। আলু দিয়ে ঝোল, কালাভুনা, কাবাব আরও কত কী! স্পেশাল দিনে বা যেকোনো অকেশনে একটু ভিন্ন স্বাদের রেসিপি ট্রাই করলে মন্দ হয় না, তাই না? পোলাও, সাদাভাত, পরোটা সবকিছুর সাথেই বিফ রেজালা খেতে দারুন লাগে! তাহলে চলুন এখনই জেনে নেই গরুর মাংসের ঝাল রেজালা রান্না করার পুরো প্রণালীটি।

যেভাবে রান্না করবেন বিফ রেজালা

হাতের কাছে থাকা উপকরণ দিয়ে খুব সহজেই রান্না করে নিতে পারেন এই আইটেমটি। অতিথি আপ্যায়নে কিংবা যেকোনো সেলিব্রেশনের স্পেশাল মেন্যুতে গরুর মাংসের রেজালা দারুন মানিয়ে যায়। কী কী উপকরণ লাগছে এটি তৈরি করতে সেটা এক নজরে দেখে নেই চলুন।

উপকরণ (মাংস বাড়লে আনুপাতিক হারে অন্য উপকরণ বাড়বে)

গরুর মাংস- ১ কেজি

Advertisement

টকদই- ১ কাপ

পেঁয়াজ বাটা- ৩ চা চামচ

আদা বাটা- ২ চা চামচ

রসুন বাটা- ১ চা চামচ

মরিচের গুঁড়ো- ২ চা চামচ

Advertisement

গোলমরিচের গুঁড়ো- ১ চা চামচ

বাদাম বাটা- ২ চা চামচ

তেল- ১/২ কাপ

গরম মসলার গুঁড়ো- ১ চা চামচ

তেজপাতা, এলাচ, দারচিনি- ২ টি করে

Advertisement

জিরার গুঁড়ো- ১ চা চামচ

কেওড়ার জল- সামান্য ( অপশোনাল )

লবণ- স্বাদমতো

ঝাল ঝাল বিফ রেজালা রান্নার পুরো প্রণালী

১. প্রথমে মাংস ছোট ছোট করে কেটে নিতে হবে। চাইলে মিডিয়াম সাইজে টুকরো করে নিতে পারেন। তারপর ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।

Advertisement

২. মাংসের সাথে আদা বাটা, রসুন বাটা, মরিচের গুঁড়ো, জিরার গুঁড়ো, ফেটানো টকদই ও পরিমানমতো লবণ ভালোভাবে মিশিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন।

৩. মসলা মাখানো মাংস ঘণ্টাখানেক রেখে দিলে ভালো হয়, যদি আপনার হাতে সময় থাকে! আর সময়ের সল্পতা থাকলে সাথে সাথে রান্না বসিয়ে দিতে পারে।

৪. একটি বড় প্যানে তেল গরম করে তেজপাতা আর গোটা গরম মসলা ফোঁড়ন দিন। তারপর পেঁয়াজ বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করুন।

৫. এবার ম্যারিনেট করা মাংস এতে ঢেলে দিন এবং খুব ভালোভাবে কষিয়ে নিতে হবে। কষানোর সময় সামান্য পানি দিতে পারেন। মিডিয়াম আঁচে সময় নিয়ে মাংস কষালে সেটার টেস্ট ও রঙ দুইটাই ভালো হবে।

৬. কষানোর পর যখন তেল ভেসে উঠবে, তখন পরিমাণমতো পানি দিয়ে দিন। এবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে মাংস রান্না করুন। চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখবেন।

Advertisement

৭. কিছুক্ষণ পর পর ঢাকনা তুলে নেড়ে দিতে হবে যাতে গ্রেভি না পুড়ে যায়। গরুর মাংস সেদ্ধ হতে কিছুটা সময় লাগবে।

৮. মাংস সেদ্ধ হয়ে আসলে এতে বাদামের পেস্ট ও গরম মসলার গুঁড়ো দিয়ে দিন। এখন চুলার আঁচ একদম কমিয়ে দিন।

৯. এবার ভালোভাবে নেড়ে নিয়ে ৫/১০ মিনিট দমে রাখুন। নামানোর আগে সামান্য কেওড়ার জল দিতে পারেন।

পরিবেশন পাত্রে আপনার মনের মতো করে সাজিয়ে পোলাও কিংবা পরোটা দিয়ে সার্ভ করুন। বিফ রেজালা রান্না করতে ১ ঘণ্টার মতো সময় লাগতে পারে।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

প্রচণ্ড গরমে সুস্থ থাকার উপায়

Published

on

গরমে অতিষ্ঠ জীবনমান। দিনের বেলায় সূর্যের প্রখর তাপে হাঁসফাঁস অবস্থা। রাতেও শান্তি নেই! ঘুমাতে গেলে মনে হয় ফ্যানের বাতাস গরম হলকা ছাড়ছে। সব মিলিয়ে এই গরমে অতিষ্ঠ জীবন। এখন সবার একটাই চিন্তা কীভাবে এই আবহাওয়ায় ভালো থাকা যায়। প্রচণ্ড গরমে সুস্থ থাকার উপায় নিয়েই আমাদের আজকের আলোচনা।

গরমে কী কী স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে থাকে?

প্রচণ্ড গরমের সময় সম্ভাব্য স্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যে ক্লান্তি বোধ করা, হিট স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক বা ব্রেন স্ট্রোক অন্যতম। এছাড়াও এই সময়ে কিডনি ও ফুসফুসের রোগীদের শারীরিক অবস্থা ক্রমান্বয়ে অবনতির দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। গরমে যারা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন, তাদের মধ্যে আছেন ৬৫ বছরের বেশি বয়সী প্রবীণ ব্যক্তি, শিশু-কিশোর, গর্ভবতী নারী ও দীর্ঘস্থায়ী রোগাক্রান্ত ব্যক্তিরা।

গরমে সুস্থ থাকতে এই পরামর্শগুলো মেনে চলুন-

১. সম্ভব হলে বাসায় এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। ইলেকট্রিক বিল কমাতে একই সময়ে এসি ও ফ্যান ব্যবহার করুন। এসির তাপমাত্রা ২৬-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখলে রুম দ্রুত ঠাণ্ডা হবে এবং এতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের খরচ কমে আসবে।

Advertisement

২. কাজের ফাঁকে কিছুটা আরাম পেতে একটি স্প্রে বোতলে পানি নিয়ে মুখে স্প্রে করুন অথবা ভেজা স্পঞ্জ ব্যবহার করে মুখ ও হাত ভিজিয়ে নিন।

৩. গরম পানিতে গোসল না করে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করুন ।

৪. সবসময় হালকা রংয়ের ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। সিনথেটিক কাপড়ের পোশাক এড়িয়ে চলুন এবং সুতি, লিলেন ইত্যাদি কাপড়ের পোশাক বেছে নিন।

৫. আপনার ঘরকে শীতল করার জন্য তাপ নিরোধক কোটিং দেয়ালে দিতে পারেন, বাইরের জানালায় খড়খড়ি বা ভারী পর্দা দিয়ে ঢেকে দিতে পারেন এবং বাড়িতে ইনডোর প্ল্যান্ট রাখতে পারেন।

গরমে সুস্থ থাকতে সতর্ক থাকুন

Advertisement

প্রচণ্ড গরমের সময় বাসায় থাকাই সবচেয়ে ভালো। বিশেষ করে দুপুরবেলায় রোদের তাপ বেশি থাকে বলে এ সময় বাইরে গেলে হিট স্ট্রোক হতে পারে। পরামর্শ থাকবে, অপ্রয়োজনীয় আউটিং বাতিল করুন বা পুনঃনির্ধারণ করুন। এছাড়াও প্রয়োজনীয় খাবার, পানি ও ওষুধ মজুদ রাখুন, যাতে আপনাকে গরমে বারবার বাইরে যেতে না হয়। বাইরে যাওয়ার আগে অবশ্যই আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখে নিন।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রূপচর্চা

নতুন বউয়ের মেকআপ কিটে যেসব প্রোডাক্টস থাকা চাই

Published

on

মেকআপ

বিয়ের দিনটি মেয়েদের জীবনের বিশেষ দিনগুলোর মধ্যে একটি। তাই বিয়ের মেকআপও হতে হবে একদম পারফেক্ট। অনেকেই আছেন যারা ঘরে বসে বিয়ের মেকআপ করতে চান, কিন্তু বুঝে উঠতে পারেন না যে ব্রাইডাল মেকআপ কিটে কী কী প্রোডাক্টস রাখলে মেকআপ লুক ফ্ললেস ও একইসাথে লং লাস্টিং হবে। শুধু বিয়ের দিনে না, বিয়ের পরেও তো দাওয়াত বা পারিবারিক অনুষ্ঠানে অ্যাটেন্ড করতে হয়। সেখানেও তো সুন্দর ও পরিপাটি করে সেজে যেতে হবে, তাই না? নতুন বউয়ের মেকআপ কিটে কোন কোন প্রোডাক্টস না থাকলেই নয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো আজকের ফিচারে।

প্ল্যানিং করুন আগে থেকেই

১) বাজেট ঠিক করে ফেলুন

সবসময় মনে রাখবেন, অন্যান্য মেকআপ লুকের চেয়ে ব্রাইডাল মেকআপ বেশ ডিফারেন্ট হয়। তাই নিজের জন্য ব্রাইডাল মেকআপ কিট রেডি করার আগে থাকতে হবে এক্সট্রা কেয়ারফুল। শুরুতেই নতুন মেকআপ প্রোডাক্ট কেনার জন্য বাজেট কতটুকু সেটা ডিসাইড করুন, তাহলে বিভিন্ন রেঞ্জের প্রোডাক্ট থেকে নিজের পছন্দের প্রোডাক্টগুলো খুঁজে বের করা ইজি হবে।

২) কেমন লুক ক্রিয়েট করতে চান সেটা ঠিক করুন

Advertisement

তারপর আপনি কোন ধরনের লুক ক্রিয়েট করতে চাইছেন সেটা ঠিক করে ফেলুন। কারণ, স্বাভাবিকভাবেই সবার মেকআপ লুকের প্রিফারেন্স এক হয় না। যেমন- অনেক ব্রাইড আছেন, যারা ম্যাট মেকআপ লুক পছন্দ করেন। আবার অনেকে ডিউয়ি লুক পছন্দ করেন।

একইভাবে আই মেকআপের ক্ষেত্রেও দেখা যায়, কেউ কাটক্রিজ আইলুক প্রিফার করেন। আবার কারো পছন্দ বোল্ড গ্লিটারি আইলুক। কেউ কেউ সিম্পল সাজ পছন্দ করেন। যদি নিজের মেকআপ লুকের প্রিফারেন্সটা আগেই ডিসাইড করে ফেলতে পারেন, তাহলে ব্রাইডাল মেকআপ কিট রেডি করার সময় সেই অনুযায়ী প্রোডাক্ট ইনক্লুড করতে পারবেন। অর্থাৎ মেকআপ কিট রেডি করার কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

নতুন বউয়ের মেকআপ বক্সে কী কী প্রোডাক্ট থাকবে?

চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক পারফেক্ট লুক ক্রিয়েট করার জন্য মেকআপ কিটে কোন প্রোডাক্টগুলো ইনক্লুড করা যেতে পারে সে সম্পর্কে।

১) ফেইস মেকআপ

Advertisement

প্রাইমার

ব্রাইডাল লুকের জন্য পোর মিনিমাইজিং প্রাইমার বেস্ট অপশন, এতে মেকআপ বেইজ ফ্ললেস দেখাবে। তবে যদি আপনার ড্রাই স্কিন হয়ে থাকে, তাহলে হাইড্রেটিং প্রাইমারও নিশ্চিন্তে বেছে নিতে পারেন।

কালার কারেক্টর

মেকআপের সময় কালার কারেকশন সব সময় করা না হলেও ব্রাইডাল মেকআপে কালার কারেক্টর ইউজ করা মাস্ট। এক্ষেত্রে সাজেশন থাকবে, আলাদা আলাদা কালার কারেক্টর না কিনে একবারে একটি প্যালেট কিনে ফেলা। তবে যদি আলাদা কিনতে চান, তাহলে একনে স্পট হাইড করতে গ্রিন আর পিগমেন্টেশন হাইড করতে অরেঞ্জ কারেক্টর ইনক্লুড করুন।

ফাউন্ডেশন

Advertisement

ম্যাট কিংবা ডিউয়ি, ফাউন্ডেশনের যে ফিনিশই প্রিফার করুন না কেন, চেষ্টা করবেন মেকআপ কিটে ফুল কভারেজ ফাউন্ডেশন রাখতে। ফাউন্ডেশনের শেইড ম্যাচ করার ব্যাপারটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই প্রথমেই শেইড মিলিয়ে নিন।

কনসিলার

ব্রাইডাল মেকআপ কিটে দু’টো শেইডের কনসিলার অ্যাড করতে হবে। এই কনসিলারগুলোর একটি হবে আপনার স্কিনটোনের, আরেকটি হবে আপনার স্কিনটোনের চেয়ে এক বা দুই শেইড ব্রাইট, যাতে সেই কনসিলার দিয়ে ফেইস হাইলাইটিংয়ের কাজটি করতে পারেন।

লুজ বা কমপ্যাক্ট পাউডার

ফাউন্ডেশন ও কনসিলার সেট করার জন্য দরকার লুজ বা কমপ্যাক্ট পাউডার। কারণ পাউডার অ্যাপ্লাই করলে মেকআপ ভালোভাবে সেট হয়ে যায়, আবার চাইলে রিটাচও করা যায় যখন তখন।

Advertisement

কনট্যুর, ব্লাশ, হাইলাইটার

বিয়ের দিন নিজের ফেইস শেইপ পারফেক্টলি ডিফাইনড দেখাতে কনট্যুরিংয়ের কোনো বিকল্প নেই। কোরাল, পিচ, মভ বা রোজি পিংক টোনের ব্লাশ খুব সুন্দর দেখায়। তাই এই ধরনের কালারগুলোই বেছে নিতে পারেন নিজের স্পেশাল দিনের জন্য। নতুন বউয়ের মেকআপ লুক কমপ্লিট করতে হাইলাইটার না থাকলে কি চলে? একদমই নয়! ব্রাইডদের গোল্ডেন টোনের হাইলাইটার দারুণ মানিয়ে যায়। এমন একটি ফেইস প্যালেট কিনে নিতে পারেন যেটাতে একই সাথে এই কনট্যুর, ব্লাশ, হাইলাইটার শেইডস আছে। অথবা আলাদা আলাদা করেও কিনতে পারেন।

লিপলাইনার ও লিপস্টিক

নতুন বউয়ের মেকআপ কিটে লাল, মেরুন, ব্রাউন লিপস্টিক না থাকলে কি চলে? আমি জানি, অনেকেই হয়তো রেগুলার বেসিসে লিপলাইনার ইউজ করেন না। তবে ব্রাইডাল মেকআপ কিটে অবশ্যই লিপস্টিকের কালারের সাথে ম্যাচ করে লিপলাইনার রাখুন। বিশেষ করে যদি ডার্ক শেইডের লিপস্টিক হয়, তাহলে লিপলাইনার একদম ম্যান্ডেটরি। শাড়ির সাথে ম্যাচ করে নিজের পছন্দের শেইডের লিপস্টিক ও লিপলাইনার রেখে দিন মেকআপ কিটে!

সেটিং স্প্রে

Advertisement

মেকআপ লুক লং লাস্টিং করতে সেটিং স্প্রে কিন্তু স্কিপ করলে চলবে না। তাই একটি ভালো কোয়ালিটির সেটিং স্প্রে লিস্টে রাখতেই হবে, যাতে লম্বা সময়ের জন্য মেকআপ লুক ক্যারি করতে হলেও মেকআপ সেট হয়ে আছে কিনা এটা নিয়ে ভাবতে না হয়।

২) আই মেকআপ

আইব্রো পমেড

আইব্রো ডিফাইন করা থাকলে তা পুরো মেকআপ লুকটাই ডিফারেন্ট লেভেলে নিয়ে যায়। ব্রাইডদেরকে আমি সাজেস্ট করবো পেন্সিলের বদলে আইব্রো পমেড বেছে নিতে। কারণ এটি দিয়ে আরো সুন্দরভাবে আইব্রো ডিফাইন করা যায়।

আইশ্যাডো প্যালেট

Advertisement

ব্রাইডাল মেকআপ কিটের জন্য আইশ্যাডো হিসেবে এমন কোনো প্যালেট সিলেক্ট করুন, যেখানে ম্যাট ফিনিশের নিউট্রাল, ব্রাউন, পিংক এবং একইসাথে কয়েকটি শিমারি শ্যাডো থাকবে। এই কালারগুলো থাকলে ব্রাইডদের আই মেকআপ করা যায় সহজেই। আর যদি আপনার গ্লিটার বা লিকুইড আইশ্যাডো ভালো লাগে, তাহলে সেটাও কিনতে পারেন।

আইলাইনার, মাশকারা ও কাজল

আই মেকআপের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তিনটি প্রোডাক্ট হলো আইলাইনার, মাশকারা ও কাজল। লিকুইড লাইনারের চেয়ে জেল লাইনার বেশি ডিপ ও লং লাস্টিং হয়। তবে স্ম্যাজ প্রুফ ডিপ ব্ল্যাক আইলাইনার দিয়ে সুন্দরভাবে আইলুক ক্রিয়েট করা যায়। মাশকারার ক্ষেত্রে অবশ্যই ওয়াটার প্রুফ মাশকারা বেছে নিন। আর কাজলের ক্ষেত্রে সাজেশন থাকবে ন্যুড ও ব্ল্যাক দু’টো কালারই ব্রাইডাল মেকআপ কিটে ইনক্লুড করার। স্ম্যাজ প্রুফ, ওয়াটার প্রুফ কাজল সিলেক্ট করুন অবশ্যই।

ফেইক ল্যাশ

নিজের চোখের শেইপ বুঝে তারপর ফেইক আইল্যাশ ব্রাইডাল মেকআপ কিটে ইনক্লুড করুন। স্পেশালি যাদের হুডেড আই, তারা ড্রামাটিক ল্যাশ এড়িয়ে চলুন এবং ন্যাচারাল লুক দেয় এমন ফেইক ল্যাশ সিলেক্ট করুন।

Advertisement

এটুকুই ছিলো ব্রাইডাল মেকআপ কিটের আদ্যোপান্ত। যেহেতু বিয়ের মেকআপ অনেক বেশি স্পেশাল, তাই ভালো ব্র্যান্ডের মেকআপ প্রোডাক্টস পারচেজ করুন। এতে যেমন ফ্ললেস মেকআপ লুক ক্রিয়েট করে সবার প্রশংসা পাবেন, একইসাথে নিজের স্কিনেরও ক্ষতি হবে না।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত