রাজধানীর তেজগাঁওয়ের তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী হৃদয় মিয়াকে কোনোভাবেই ধরা যায় না। আবার ধরা পড়লেও  নিজেই নিজের গায়ে ব্লেড চালিয়ে শরীর কাটেন। তবে এবার আর রক্ষা হয়নি। অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে তেজগাঁও থানার সোঁনারগাও ক্রসিং এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন।

ওসি মহসিন জানান, গেলো রাতে গ্রেপ্তারের সময় হৃদয় গ্রেপ্তার এড়াতে নিজের বুকে,পেটে ব্লেড দিয়ে আঘাত করেন। হৃদয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি মামলায় তার বিরুদ্ধে পরোয়ানাও রয়েছে।

তিনি বলেন, দূরপাল্লার বাসের জানালার পাশে বসা যাত্রীদের ব্যাগ, মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান। যেহেতু এ ধরণের মোবাইল, ব্যাগ ছিনিয়ে নিলেও দূরপাল্লার বাসগুলো থামে না কিংবা যাত্রীরাও আর নামে না, তাই এসব যাত্রীদের টার্গেট করেন হৃদয়। ছিনতাই করতে গিয়ে যদি ধরা পরে যান তখন নিজের বুকে, পেটে ব্লেড মারতে থাকেন। তবুও কেউ ধরতে চাইলে তার গায়ে পায়খানা ছুড়ে মারেন। থানা হাজতে আনলে সেখানেও পায়খানা করে দেন।

আই/এ

চিপস ও সিগারেট বাকিতে বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় মুন্সীগঞ্জে মোশারফ হোসেন (৫৫) নামের এক মুদি দোকানিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।  এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোহাম্মদ রুবেলকে রাতেই রক্তমাখা ছুরিসহ আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাত দেড়টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার কাগজীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্ডার খায়রুল হাসান গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, দোকান পাহারা দেয়ার কারনে মোশারফ রাতে দোকানেই অবস্থান করতেন। সোমবার রাত দেড়টার দিকে অভিযুক্ত রুবেল তাকে ডেকে তুলে চিপস ও সিগারেট বাকিতে চান। তিনি দিতে অস্বীকৃতি জানালে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে রুবেল তাকে দোকান থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে এনে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাথারি আঘাত করে দোকানের পাশে ফেলে রেখে চলে যান।পরে স্থানীয়রা তাকে  উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় ।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. কালাম প্রধান বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারালো ছুরিকাঘাত রয়েছে।

নিহত মোশারফ মিরকাদিম পৌরসভার কাগজীপাড়া এলাকার মৃত নবু মোল্লার ছেলে। অভিযুক্ত রুবেল মুন্সীগঞ্জ মিরকাদিম পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ সোহেলের ছোট ভাই বলে জানান স্থানীয়রা ।

প্রসঙ্গত, এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে।

মুন্সিগঞ্জ সদরে তীব্র তাপপ্রবাহে হিট স্ট্রোকে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন, মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার মোল্লারচর এলাকার বাবু বারী হাজারির ছেলে ওমর আলী ও মানিকপুর এলাকার বাসিন্দা বাতেন মাঝি।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে একজন ও বেলা ১১টা ১০ মিনিটে অন্যজনের মৃত্যু হয়। মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শৈবাল বসাক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

হাসপাতাল ও স্বজন সূত্রে জানা যায়, বাতেন মাঝি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন। আজ তিনি জমি বিক্রির কাজে জেলা রেজিস্ট্রি অফিসে যান। সেখানে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ার পর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

অন্যদিকে কৃষক ওমর আলী জমিতে কাজ করতে গিয়ে সেখানেই অচেতন হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে হাসপাতালে নেয়ার আগেই তিনি মারা যান।

মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শৈবাল বসাক জানান, দুইজনকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। মরদেহে হিট স্ট্রোকের সিম্পটম ছিল। মূলত তীব্র গরম সহ্য করতে না পেরেই দুই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।