Connect with us

ফিচার

যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসা শাস্ত্রে বাংলাদেশি ড. রায়ান সাদীর ম্যাজিক

Avatar of author

Published

on

জন্ম, বেড়ে ওঠা বাংলাদেশে। পড়াশোনা ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ইয়েল ইউনিভার্সিটি, হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে। এখন মার্কিন ডাক্তার-উদ্যোক্তা। মনোনয়ন পেয়েছেন ২০২৩ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য। আশা দেখাচ্ছেন কোভিডে আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসার ব্যয় হাতের নাগালে নিয়ে আসার।

তিনি হলেন বাংলাদেশি আমেরিকান ড. রায়ান সাদী।

সারাবিশ্বে কোটি কোটি ক্যান্সার রোগীসহ নানা ধরনের ভাইরাসে আক্রান্তদের নিরাময়ে বিশেষ একটি চিকিৎসা পদ্ধতির আবিষ্কার করেছে ড. রায়ান সাদীর মালিকানাধীন ‘টেভোজেন বায়ো’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান।

নিউজার্সিতে অবস্থানরত ‘টেভোজেন বায়ো’র এই সাফল্যের সংবাদ জানার পরই একই স্টেটের ‘এইচএমপি’ নামক বিখ্যাত আরেকটি সংস্থা এগিয়ে এসেছে আবিষ্কৃত টি-সেল এবং জিন থেরাপির উৎপাদন ত্বরান্বিত করতে। এইচএমপি রীতিমত পার্টনার হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হবার সঙ্গে সঙ্গে ড. রায়ানের মালিকানাধীন ‘টেভোজেন’র মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪.২৫ বিলিয়ন ডলারে বলেও উল্লেখ করা হয়।

মার্কিন মুল্লুকের চিকিৎসা-আবিষ্কার-বাণিজ্য নিয়ে কর্মরত গণমাধ্যমে ১৬ মার্চ এ সংবাদ ফলাও করে প্রচার ও প্রকাশ পেয়েছে।

Advertisement

এ প্রসঙ্গে পাবনার সন্তান এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস করার পর যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা-বিজ্ঞানে লিডারশিপ এবং ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে হেলথ পলিসি এবং অর্থনীতিতে উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণকারি ড. রায়ান সাদী।

তিনি বলেন, এটি মানবতার কল্যাণে বিস্ময়কর একটি অধ্যায় ছিল। এটাকে এক ধরণের ম্যাজিক হিসেবেও ভাবতে পারেন। কারণ, ক্যান্সারের মত জটিল রোগ সারাতে আমাদের এ পদ্ধতিতে কোন অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হবে না। এমনকি, অন্য চিকিৎসা-ব্যবস্থার মত আক্রান্ত রোগীর শরীরের সুস্থ সেলগুলোকেও মারতে হবে না। এই পন্থায় শুধুমাত্র ভাইরাসে আক্রান্ত সেলগুলোই ধ্বংস হয়ে যাবে। অন্য সুস্থ সেলগুলোর কোন ক্ষতি হবে না।

ড. রায়ান উল্লেখ করেন, ক’বছর থেকেই চালাচ্ছিলাম এই গবেষণা। তারই মধ্যে করোনার প্রকোপ চরমে উঠায় একই গবেষণায় করোনার চিকিৎসাকেও যুক্ত করেছিলাম। সেটিও বহাল রয়েছে।

টেভোজেনের সিইও এবং চেয়ারম্যান ড. রায়ান অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে আরো বলেন, জীবন বিজ্ঞান বিনিয়োগ সংস্থা ‘এইচএমপি পার্টনার’ এগিয়ে আসায় আমাদের উদ্দেশ্য দ্রুত সফল হবে বলে মনে করছি।

এইচএমপি পার্টনারের ম্যানেজিং ডিরেক্টরর হেমা পাটেল উল্লেখ করেন, দীর্ঘ ১৮ মাসের গবেষণায় টেভোজেনের বিজ্ঞানীগণের টিম ওয়ার্ক সফল হলো এবং আশা করছি রোগীরাও শীঘ্রই এর সুফল পাবেন।

Advertisement

কয়েক মাস আগেও বাংলাদেশিরা ডা. সাদীর সম্পর্কে তেমন কিছু জানত না। তার বন্ধু শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, ডা. সাদী ও টেভোজেন বায়ো স্বাস্থ্য খাতে বৈষম্য দূরীকরণের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। এরপরই ছড়িয়ে পড়ে তার নাম।

উল্লেখ্য, টেভোজেনের পরবর্তি প্রজন্মের নির্ভূল টি সেল প্ল্যাটফর্মটি ম্যালিগন্যান্ট এবং ভাইরালে সংক্রমিত কোষগুলিকে নির্মূল করার লক্ষ্যে এই ডিজাইন করা হয়েছে-যা হান্ড্রেড পার্সেন্ট ফলপ্রসূ হবে।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

ফিচার

প্রিয় মানুষের আলিঙ্গনে বাড়ে আত্মবিশ্বাস

Avatar of author

Published

on

আলিঙ্গন

বলিউডের ‘মুন্না ভাই এমবিবিএস’ চলচ্চিত্রের কথা মনে আছে কি? যেখানে জনপ্রিয় অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত ‘জাদু কি ঝাপ্পি’ বলে জড়িয়ে ধরেন সামনের মানুষটিকে। মুন্না ভাই বিশ্বাস করেন এই আলিঙ্গন এনে দেয় প্রশান্তি, বাড়িয়ে দেয় নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস।

এ তো গেলো চলচ্চিত্রের কথা। বিভিন্ন গবেষণাতেও দেখা গেছে,  প্রীতিপূর্ণ আলিঙ্গন মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। এর মাধ্যমে নির্গত হয় অক্সিটোসিন হরমোন, যার ফলে মানসিক অবসাদ কমে গিয়ে মনে আনন্দের অনুভূতি তৈরি হয়। দুশ্চিন্তা কমে গিয়ে স্বস্তি আসে। শুধু তাই নয় আন্তরিক আলিঙ্গন রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। কমায় রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি, সেই সঙ্গে দূর করে নানা শারীরিক ব্যথাও।

আজ ৬ জানুয়ারি, আলিঙ্গন দিবস। আমেরিকায় দিনটি উদযাপিত হয়। অবশ্য কবে কীভাবে এই দিবসের চল হয়েছিল তা জানা যায় না। তবে আলিঙ্গন বলতে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীর রোমান্টিক আলিঙ্গনকে বোঝাচ্ছে না।

আলিঙ্গন

আত্মীয় বা বন্ধুর সঙ্গে আলিঙ্গনেও বাড়ে আন্তরিকতা। সম্পর্কগুলো আরও গভীর হয়, মজবুত হয়। সাধারণত, বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনকে শুভেচ্ছা জানানোর সময়, বিদায় জানানোর সময় বা কাউকে অভিনন্দন জানানোর সময় আমরা আলিঙ্গন করি। কাউকে সান্ত্বনা দিতে বা সহানুভূতি জানাতেও আমরা আলিঙ্গন করি।

তীব্র শীত মৌসুমে একটুখানি উষ্ণতার অভাবে কষ্ট পাচ্ছে কত অসহায় মানুষ। সেসব শীতার্ত মানুষের মধ্যে আলিঙ্গনের উষ্ণতা ছড়িয়ে দিতে এ দিবসের যাত্রা শুরু। আজকের দিনটি কিন্তু পালন করতে পারেন নিজের যতটুকু সাধ্য আছে তা নিয়েই শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে। বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে চাঁদা তুলে কিনতে পারেন কিছু লেপ-কম্বল। যারা শীতে কষ্ট পাচ্ছে, তাদের বিলিয়ে দিতে পারেন। এভাবেই ছড়িয়ে দিতে পারেন আলিঙ্গনের উষ্ণতা।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ফিচার

শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করেও ঠেকানো যায়নি যে নির্বাচন (ভিডিও)

Avatar of author

Published

on

৮ম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছিল ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর। এই হিসেবে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ছিল ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি। তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন।এই নির্বাচনকে ঘিরে দেশবাসীর প্রত্যাশা ছিল অনেক। আন্তর্জাতিক মহলেও ছিল ব্যাপক আগ্রহ।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দিন আহমদের অধীনে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ৩৮টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। এতে আওয়ামী লীগ ২৩০টি আসন পায়। অন্যদিকে বিএনপি পায় মাত্র ৩০টি আসন। প্রাপ্ত ভোটের ক্ষেত্রেও ছিল বিশাল ব্যবধান। আওয়ামী লীগ পায় ৪৮ দশমিক শূন্য ৪ভাগ ভোট এবং বিএনপি ৩২ দশমিক পাঁচ শূন্য ভাগ ভোট।

নির্বাচনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি পেয়েছিল ২৭টি আসন। সবচেয়ে বেশি ভরাডুবি হয়েছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর। ৩৯টি আসনে লড়াই করে মাত্র দুটি আসন পায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের শরীক এই দলটি।

নির্বাচনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ পায় ৩টি আসন ।বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশ ২টি করে আসন এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি একটি করে আসন পায়।০৪টি আসন পায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দ্বিতীবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সংসদের মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর।

নির্বাচনের আগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা বাড়িয়ে সংবিধানে একটি বড় সংশোধনী আনে বিএনপি সরকার।আওয়ামী লীগের অভিযোগ ছিল-নিজেদের পছন্দের প্রধান বিচারপতিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে রেখে নির্বাচনের সময় সুবিধা আদায়ের জন্য বিএনপি এটি করেছে। তাই বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে আওয়ামী লীগ।

Advertisement

এই আন্দোলনের মাঝেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সমঝোতার জন্য একাধিক বৈঠক করেছেন ঢাকার নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা।কূটনৈতিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তৎপর ছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত পেট্রেসিয়া বিউটেনিস।

তবে সমঝোতা না হওয়ায় সংঘাতময় এক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে সেনাবাহিনী।যেটি ওয়ান-ইলেভেন নামে বহুল পরিচিত।জারি করা হয় জরুরী অবস্থা।এই জরুরি অবস্থার মধ্যেই সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসে ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ত্ত্ত্বাবধায়ক সরকার।

৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের জন্য ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের সরকার প্রশংসিত হলেও তাদের রাজনৈতিক সংস্কারের উদ্যোগ ব্যাপকভাবে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল।অভিযোগ রয়েছে,মাইনাস-টু ফর্মূলা কার্যকর করতে অর্থাৎ শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে রাজনীতির বাইরে রেখে নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তাদের গ্রেপ্তার করার পরও ওই চেষ্টা সফল হয়নি।

এরপর মূল নেতৃত্বের বাইরে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে আরেকটি অংশ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলে।যারা ‘সংস্কারপন্থী’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন।কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি। পরবর্তীতে সবদলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিএনপি-আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনায় বসে সফল হন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে পারেনি বিএনপি।দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলা হয়।অন্যদিকে আওয়ামী লীগে তখন উল্লাস আর উচ্ছ্বাস।

Advertisement

ওই সংসদ নির্বাচনকে বেশ দ্রুততার সাথে স্বীকৃতি দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি নির্বাচনকে ‘বিশ্বাসযোগ্য এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন’ বলে বর্ণনা করে নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী মার্কিন সংস্থা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইন্সটিটিউট -এনডিআই।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ফিচার

বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে মালিহা ফাইরুজের বিশ্ব রেকর্ড

Avatar of author

Published

on

মালিহা-ফাইরুজ

একে তো বিশ্বর সবচেয়ে দুর্বল পাসপোর্টের অধিকারী, তার উপর তিনি আবার নারী। সঙ্গে গায়ের রঙও ছিলো একটি বড় বিষয়। ইমিগ্রেশন অফিসার , পুলিশ খারাপ ব্যবহার করেছেন তার সঙ্গে। কিন্তু এ বিষয়গুলো রুখতে পারেনি তাকে। এসব প্রতিবন্ধকতা জয় করে ইতোমধ্যে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি দেশ ভ্রমণ করেছেন তিনি।

যার কথা এতক্ষণ বলছিলাম, নাম তার মালিহা ফাইরুজ।

জানেন কি সেই দুর্বল পাসপোর্টটি কোন দেশের?

এটি বাংলাদেশের পাসপোর্ট। হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স সূচক অনুযায়ী, বিশ্বের দুর্বলতম পাসপোর্ট র‍্যাংকিয়ে অষ্টম অবস্থানে আছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট।

এই পাসপোর্ট নিয়েই এতগুলো দেশ ভ্রমণ করায় গত অক্টোবরে মালিহা ফাইরুজকে ‘নোমাডম্যানিয়া অ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত করা হয়। মূলত ভ্রমণে ব্যতিক্রম কোনো কিছু করে দেখানোর কৃতিত্বস্বরূপ প্রতিবছর এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এবার নানা কারণে ১১ জনকে এ পুরস্কারটি দেয়া হলেও মালিহাকে দেয়া হয়েছে তার বাংলাদেশি পাসপোর্টের জন্য।

Advertisement

বাংলাদেশি পাসপোর্টকে পৃথিবীর সপ্তম ‘বাজে’ পাসপোর্ট আখ্যা দিয়ে নোম্যাডমেনিয়া কর্তৃপক্ষ লিখেছে, ‘এই পাসপোর্ট নিয়ে দেশে দেশে ঘুরতে গিয়ে এমনও হয়েছে যে মালিহাকে বের করে দেওয়া হয়েছে। কখনো আটক করা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।  অভিবাসন কারাগারে রাখা হয়েছে, তল্লাশি করা হয়েছে, এমনকি লাঞ্ছিতও করা হয়েছে। কিন্তু এসব কিছুই তার ভ্রমণের চেতনাকে ম্লান করেনি।’

মালিহা-ফাইরুজ

সিএনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা ছাড়াই পৃথিবীর ৪০টি দেশে ভ্রমণ করা যায়। অন্যদিকে পাসপোর্টের র‍্যাঙ্কিংয়ে সবার ওপরে থাকা সিঙ্গাপুরিয়ান পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা ছাড়াই পৃথিবীর ১৯৩টি দেশে প্রবেশ করা যায়।

ভ্রমণে গায়ের রং একটি বড় ইস্যু। মালিহার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশিদের নিয়ে বিভিন্ন দেশের একটি বদ্ধমূল ধারণা যে—তারা অবৈধ অভিবাসী।

আফ্রিকার দেশ ক্যাপ ভার্দ, যেটি মূলত একটি ছোট দ্বীপ মাত্র। সেখানে ভ্রমণ করতে গেলে মালিহাকে দেশটির বিমানবন্দরে আটকে রাথা হয়েছিল ১৭ ঘন্টা। প্রয়োজনীয় ভিসা এবং কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও শুধু পাসপোর্টের জন্য তাকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় দেশটিতে। শুধু তা-ই নয়, যে দেশ থেকে তিনি উড়োজাহাজে উঠেছিলেন সেই সেনেগালে ফেরত পাঠানোরও হুমকি দিয়েছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তাদের যুক্তি ছিল, মাত্র তিন-চার দিনের ভ্রমণ ভিসা নিয়ে কেউ ক্যাপ ভার্দে ভ্রমণ করে না। ১৭ ঘণ্টা আটক রাখার পর শেষ পর্যন্ত মালিহাকে ঢুকতে দিয়েছিল তারা। কারণ, জাতিসংঘে কর্মরত তার মা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

কিরগিজস্তানে ফাইরুজের ভিসার আবেদনপত্র জমা দেওয়ার আগে ঐ দেশের একটি ট্রাভেল এজেন্সির কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্রের প্রয়োজন পড়ে। আর ঐ আমন্ত্রণপত্রটি পেতে, তাকে আগে প্রথমে বাংলাদেশি ট্রাভেল এজেন্সি থেকে একটি ভ্রমণ প্যাকেজ কিনতে হয়। এর পরে আরো পাঁচ থেকে ছয় সপ্তাহ তাকে অপেক্ষা করতে হয়– ভিসার অনুমোদন পেতে।

Advertisement

মালিহা-ফাইরুজ

ভ্রমণের ক্ষেত্রে ফাইরুজের প্রধান বাঁধা ছিলো বাংলাদেশি হওয়ায় বিভিন্ন গৎবাঁধা আচরণ এর সম্মুখীন হওয়া। অন্যান্য দেশের শক্তিশালী পাসপোর্টধারী নাগরিকদেরকে ধনী পর্যটক মনে করার বিপরীতে বাংলাদেশিদের ধরে নেয়া হয় অবৈধ অভিবাসী হিসেবে। এ ছাড়া, নারী ভ্রমণকারী হিসেবেও তাকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়।

মাত্র ১৬ বছর বয়সেই ফাইরুজ বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এবং তার মায়ের সাথে পূর্ব আফ্রিকা, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করা শুরু করেন। বর্তমানে তিনি বার্লিনে বাস করছেন। সেখানে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে কাজ করা একটি বেসরকারি সংস্থার হয়ে কাজ করছেন।

দূর্বল পাসপোর্টের নানা প্রতিবন্ধকতার কাছে অদম্য মালিহা বিশ্বাস করেন, তার ভ্রমণে নেতিবাচক বিষয়গুলোর চেয়ে ইতিবাচকের পাল্লাই ভারী।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

জাতীয়25 mins ago

ভোটের পরিবেশ ভালো থাকায় ভোটার উপস্থিতি বাড়বে: ইসি রাশেদা

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তাই সকলের সমন্বয়ে আগামি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ,...

জাতীয়2 hours ago

বিএসটিআইতে হালাল সার্টিফিকেটের মূল্যায়ণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

‘বিএসটিআই হতে প্রদানকৃত হালাল সার্টিফিকেটের মূল্যায়ণ’ শীর্ষক স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বিএসটিআই হতে প্রাপ্ত হালাল সনদ গ্রহণ...

জাতীয়2 hours ago

‘ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার আইন যেন তথ্য নিয়ন্ত্রণের জায়গা না হয়’

ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার নামে যে আইনটি তৈরি করা হচ্ছে এটি ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ন্ত্রণমূলক আইন হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। যা আমরা চাই...

জাতীয়3 hours ago

‘কোরবানির জন্য পশু আমদানির পরিকল্পনা নেই সরকারে’

ঈদুল আজহা সামনে রেখে গরু বা অন্য কোনো পশু আমদানির পরিকল্পনা সরকারের নেই। কারণ, দেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক গবাদি পশু লালন-পালন...

অপরাধ6 hours ago

‘আমি সেলিব্রেটি হতে আসি নাই, সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে চাই’

‘আমি সেলিব্রেটি হতে আসি নাই, সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে চাই’। বললেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের নতুন পরিচালক...

মাদকবিরোধী মাদকবিরোধী
অপরাধ7 hours ago

মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২৩ 

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও...

নিউ-ইয়র্কে-নিহত-২-বাংলাদেশি নিউ-ইয়র্কে-নিহত-২-বাংলাদেশি
জাতীয়7 hours ago

নিউ ইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন সিলেটের আবু সালেহ মোঃ ইউসুফ ও কুমিল্লার বাবুল মিয়া। স্থানীয়...

জাতীয়8 hours ago

কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি অনুশীলনে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে : রাষ্ট্রপতি   

শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকল্পে দেশীয় ও বৈশ্বিক শ্রমমান অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি অনুশীলনকে জাতীয় সংস্কৃতি হিসেবে গড়ে তোলাও অত্যন্ত জরুরি।...

আইন-বিচার8 hours ago

পিনাকীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল, গ্রেপ্তারির আবেদন

মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্যকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেছে...

হাইকোর্ট হাইকোর্ট
আইন-বিচার9 hours ago

আগামী সপ্তাহ থেকে আপিল বিভাগে দুই বেঞ্চে চলবে বিচারকাজ

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আগামী সপ্তাহ থেকে দুই বেঞ্চে বিচারকাজ পরিচালনা করা হবে। রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে আপিল বিভাগের এজলাস...

Advertisement
আন্তর্জাতিক4 mins ago

ইসরাইলি তরুণীর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন হামাস যোদ্ধা

ব্ল্যাকমেইল
রাজশাহী25 mins ago

মেয়েদের ছবি নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা চক্রের ৪ সদস্য আটক

জাতীয়25 mins ago

ভোটের পরিবেশ ভালো থাকায় ভোটার উপস্থিতি বাড়বে: ইসি রাশেদা

আন্তর্জাতিক30 mins ago

তীব্র তাপদাহ মোকাবিলায় ট্রাফিক পুলিশের ‘এসি হেলমেট’

ঢালিউড31 mins ago

ভাইরাল সেই লাবন্যময়ী হাসি নিয়ে মুখ খুললেন পিয়া জান্নাতুল

পাম্প
রংপুর32 mins ago

সেচ পাম্প চালু করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজনের মৃত্যু

অর্থনীতি35 mins ago

২৬ দিনে প্রবাসী আয় এলো ১৬৮ কোটি ডলার

জামিন
রংপুর39 mins ago

কুড়িগ্রামে জামিন নিতে এসে বিএনপির ৬ নেতা কারাগারে

অনুপ্রবেশ
রংপুর45 mins ago

ফুলবাড়ী সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ, ভারতীয় নাগরিক কারাগারে 

শিক্ষক
চট্টগ্রাম52 mins ago

সিনিয়র ও জুনিয়র শিক্ষকদের ঘুষি মারার অভিযোগ কুবি ভিসির বিরুদ্ধে

বাংলাদেশ4 days ago

শাকিবকে বিয়ের আগেই বুবলী বিবাহিত ও এক সন্তানের জননী, বোমা ফাটালেন সুরুজ বাঙালি

দুর্ঘটনা2 days ago

৯ দিনে একে একে মারা গেলেন ৩ ভাই

ঢাকায়-বৃষ্টি
বাংলাদেশ6 days ago

তীব্র তাপদাহের মধ্যে যেসব এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে

ব্রাজিল,-মৃত-চাচাকে-নিয়ে-ব্যাংকে-ভাতিজি
টুকিটাকি4 days ago

ঋণ পেতে মৃত চাচাকে ব্যাংকে নিয়ে গেলেন ভাতিজি

ঢাকা5 days ago

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা

বাংলাদেশ2 days ago

এক মিনিটের জন্য বিসিএসের স্বপ্ন চুরমার!

বাংলাদেশ4 days ago

র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত

বাংলাদেশ6 days ago

ধোনি-সাক্ষীর চরম প্রেমের কাহিনী, শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে!

ট্রেন
জাতীয়5 days ago

১৫টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়লো

হেলিকপ্টারের-সংঘর্ষ,মালয়েশিয়া
আন্তর্জাতিক5 days ago

মাঝ আকাশে ২ হেলিকপ্টারের মুখোমুখি সংঘর্ষ, সবাই নিহত

উত্তর আমেরিকা3 days ago

সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)

ব্যারিস্টার-সুমন
আইন-বিচার1 week ago

বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

প্রধানমন্ত্রী-শেখ-হাসিনা
জাতীয়1 month ago

গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী

ফুটবল1 month ago

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু

টুকিটাকি1 month ago

জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!

অর্থনীতি2 months ago

বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া

রেশমা
বাংলাদেশ2 months ago

রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ

হলিউড2 months ago

নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু

ফুটবল2 months ago

জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব

টুকিটাকি2 months ago

রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর

সর্বাধিক পঠিত