সালমান খানের বাড়ীর সামনে সন্ত্রাসীর বন্দুক হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ কদিন থেকেই বলিউড পাড়ায় চলছে হৈ চৈ।

সম্প্রতি সাল্লু ভাইজানের বাড়ির বাইরে গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছিল ভারতের মুম্বাই পুলিশ।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনথেকে জানা যায়,বুধবার (১ মে) দুপুরে পুলিশি হেফাজতে থাকা দুজনের মধ্যে অনুজ থাপন নামের এক অভিযুক্ত আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ ঘটনার পরে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তার অনুজকে মৃত ঘোষণা করেন।

গেলো ১৪ এপ্রিল সালমানের বাড়ির বাইরে গুলি চালানোর জন্য ব্যবহৃত অস্ত্র সরবরাহ করার অভিযোগ উঠেছিল থাপনের বিরুদ্ধে।

প্রসঙ্গত, সালমানের বাড়ির বাইরে গুলি চালানোয় অভিযুক্ত ভিকি গুপ্তা ও সাগর পাল নামের আরো দুইজন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ঘটনার রাতে মোটরসাইকেলে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার সময় সিসিটিভিতে ধরা পড়ার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

জেড/এস

সামান্থা রুথ প্রভু।দক্ষিণের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই তাঁর ভক্তকূলসহ আমজনতার। তামিল ও তেলেগু চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এবং সম্প্রতি বলিউডে নাম লেখানো এই অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত  জীবনের খুটিনাটি জানতে মুখিয়ে থাকেন ভক্তরা। অভিনয় করতে এসেই নাগা চৈতন্যর  প্রেমে পড়েছিলেন।  তারপরই বিয়ে করেন অভিনেতা নাগার্জুনের এই ছেলেটিকে। তার আগে একটা লম্বা সময় একত্রবাস করেছেন তাঁরা।

কিন্তু ২০১৭ সালে বিয়ের পরই যেন বাড়তে থাকে জটিলতা। শেষমেশ বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয় দু’পক্ষই। বিয়ের চার বছরের মাথায়, অর্থাৎ ২০২১ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁদের।

তবে বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি রোম্যান্টিক কাপল বললেই সামান্থা রুথ প্রভু এবং নাগা চৈতন্যর নাম উঠে আসে। তাদের জোড়ি সর্বদাই নজর কেড়েছে ভক্তদের। যদিও মাস কয়েকের মধ্যে পাল্টে গিয়েছে নাগা-সামান্থার সম্পর্কের সমীকরণ। কারণ তারা এখন প্রাক্তন। বিবাহ বিচ্ছেদের পরও তাদের সম্পর্ক নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি।

গত কয়েক বছর ধরে সামান্থার ব্যক্তিগত জীবনে একের পর এক ঝড় বয়ে গিয়েছে। তার পরেও সব কিছু সামলে পেশাদার অভিনেত্রী হিসাবে নিজের জীবনের অন্যতম সেরা সময় উপভোগ করেছেন সামান্থা। কয়েক বছর আগে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি থেকে বলিউডে পা রেখেছেন তিনি। ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ সিরিজ়ে বলিউডে হাতেখড়ির পরে মার্ভেল খ্যাত রুশো ব্রাদার্সের আন্তর্জাতিক সিরিজ় ‘সিটাডেল’-এর ভারতীয় সংস্করণেও কাজ করেছেন তিনি।

অন্যদিকে,  অভিনেত্রী শোভিতা ধুলিপালার সঙ্গে সম্পর্কে জডিয়েছেন নাগা চৈতন্য। যদিও এখনও সেই খবরে সিলমোহর দেননি তাঁরা। সামান্থা ভালবেসে বিয়ে করছিলেন নাগাকে। তবে সম্পর্কের এমন পরিণতি হবে, ভাবতে পারেননি অভিনেত্রী। বিবাহবিচ্ছেদের পর একটা লম্বা সময় কষ্টের মধ্যে দিয়ে যান তিনি।

অভিনেতা  নাগা স্বীকার করে বলেছেন, ‘আমি সম্পর্কে থেকে ঠকিয়েছি।’’সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দক্ষিণের এই জনপ্রিয় অভিনেতা স্বীকার করেন, একটি সম্পর্কে থাকাকালীন অন্য সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এককথায়, দ্বিচারিতা করেছেন। তবে জীবন একটাই। তাই সব রকমেরই অভিজ্ঞতার স্বাদ চেয়েছেন তিনি। নাগার কথায়,  ‘একটাই জীবন। সব রকম অভিজ্ঞতা থাকা দরকার। তবে এখন বয়স হয়েছে। নিজেকে বুঝতে শিখেছি। এখন মনে হচ্ছে, এ বার থিতু হওয়ার সময় এসেছে। তবে হ্যাঁ, একটা সম্পর্কে থাকার সময় আমি ঠকিয়েছি।’

কাকে ঠকিয়েছিন তা স্পষ্ট করেননি নাগা। সেটা সামান্থার সঙ্গে থাকাকালীন কি না, তাও খোলসা করেননি অভিনেতা। তবে বলিউড ও কলিউডের সামন্থা ভক্তদের বুঝতে আর বাকী নেই-অবশ্যই সামান্থাকে ঠকিয়েছেন নাগা।

বলিউড সুপারস্টার হৃতিক রোশনের সঙ্গে সবথেকে বিতর্কিত সম্পর্ক ছিল  অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের। শোনা যায়, ২০১৩ সালে ‘কৃষ থ্রি’ ছবির শুটিং চলাকালীন দুজনে একে অপরের কাছাকাছি আসেন। কঙ্গনা একটি নিউজ শোতে হৃতিকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের বিষয়ে বেশ কিছু চমকে যাওয়া তথ্য ফাঁস করেছিলেন। এরপরই সম্পর্ক থেকে পিছিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে হৃতিককে।  আর এ ঘটনা ভারতীয় গণমাধ্যমের শিরোনামে জায়গা করে নেয়। তারপরও একে অন্যের সঙ্গে মেলের মাধ্যমে বচসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে কিছুদিনের মধ্যেই  তাদের বিচ্ছেদের খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ভারতের জনপ্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠান আপ কি আদালত-এ এসে কঙ্গনা রানাওয়াত বিচ্ছেদের কারণ খোলসা করে দেন।

আপ কি আদালত অনুষ্ঠানে কঙ্গনাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো-ঋত্বিকের সঙ্গে তার কি কোনও সম্পর্ক ছিল? উত্তরে কোনো রাখঢাক না রেখেই জানান, ‘নিঃসন্দেহে  ছিল। কিন্তু কোথাও গিয়ে যেন হৃত্বিক রোশন এই সম্পর্কের জন্য তৈরি ছিলেন না।’

কঙ্গনা রানাওয়াত আরও বলেন, ‘হৃত্বিকের একটি শর্ত ছিল। তিনি(ঋত্বিক) সম্পর্কটা চেয়েছিলেন, কঙ্গনাকেও চেয়েছিলেন। কিন্তু বলেছিলেন তিনি এমন পরিবারের ছেলে যেখানে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়া সম্ভব নয়। তিনি তাঁর স্ত্রী অর্থাৎ সুজন খানকে ছাড়তে পারবেন না।’

এ শর্ত দেওয়ার পরই  হৃত্বিকের জীবন থেকে সরে আসেন কঙ্গনা রানাওয়াত। ওইসময় ঋত্বিককে জানিয়েছিলেন, ‘তিনি এভাবে থাকতে পারবেন না। কারণ দুজনের সঙ্গে এভাবে থাকা যায় না।’

প্রসঙ্গত, অভিনয়  জীবনে একাধিকবার প্রেমে জড়িয়েছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। কখনও তাঁর সাথে নাম জড়িয়েছে শেখর সুমনের ছেলে অধ্য়ায়ন সুমনের,কখনও বাবার বয়সী আদিত্য পাঞ্চালির প্রেমে পড়েছেন তিনি। এমনকি  অজয় দেবগান বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও তাঁর প্রেমে পড়েছিলেন বলি কুইন। তবে হৃতিক রোশনের সঙ্গে তার প্রেমের কাহিনী বলিউড পাড়ায় ছিল খুবই চর্চিত বিষয়।