আন্দিজ পর্বতমালায় অবস্থিত চিলির লাস্কার আগ্নেয়গিরি থেকে বের হচ্ছে ধোঁয়া ও ছাই। এর মধ্যে আকাশে ৬ হাজার মিটার পর্যন্ত উঠেছে অগ্ন্যুৎপাতের একটি স্তম্ভ। এ বিপর্যয় সম্পর্কে সতর্কতা জারি করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি’র এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শনিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে ভূকম্পনের মাধ্যমে জেগে উঠার ঘোষণা দেয় লাস্কার।
আশপাশের এলাকা থেকে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিক হলুদ সতর্কতা সংকেত জারি হয়েছে। চিলির ন্যাশনাল জিওলজি অ্যান্ড মাইনিং সার্ভিসের (সেরনাজিওমিন) এই সতর্কতার অর্থ, আগ্নেয়গিরিটি অস্থির এবং বিশেষজ্ঞরা ছোটখাটো বিস্ফোরণ ও ধোঁয়ার উপস্থিতির জন্য একটি সাইট পর্যবেক্ষণ করছেন।
লাস্কার আগ্নেয়গিরি থেকে ১২ কিলোমিটারের চেয়েও কম দূরে রয়েছে ছোট শহর তালাব্রে। সেখানকার বাসিন্দারা গতকাল দুপুরে আগ্নেয়গিরির জেগে উঠার বিষয়টি টের পান।
আগ্নেয়গিরির ছাই ও গরম গ্যাসের বিশাল মেঘ সত্ত্বেও তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে না। তবে কর্তৃপক্ষ জ্বালামুখ থেকে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পরিধিতে ‘নো-এন্ট্রি’ ঘোষণা করেছেন।
চিলির উত্তর অঞ্চলীয় সান পেড্রো দে আতাকামা থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লাস্কার আগ্নেয়গিরি। পৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্কতম স্থান হিসেবে পরিচিত আতাকামা মরুভূমিতে ভ্রমণের জন্য এলাকাটি জনপ্রিয় পর্যটক গন্তব্য।
এ দিকে সম্প্রতি উদগীরণ শুরু করা হাওয়াইয়ের বিগ আইল্যান্ডের মাউনা লোয়া আগ্নেয়গিরির জন্য সতর্কতা সংকেত কমিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, প্রায় ৪০ বছরের মধ্যে পর্বতটির প্রথম অগ্ন্যুৎপাত শিগগিরই শেষ হতে পারে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের হাওয়াইয়ান ভলকানো অবজারভেটরি গতকাল এক বুলেটিনে জানায়, পর্বতের উত্তর-পূর্ব ফাটলে অগ্ন্যুৎপাত অব্যাহত রয়েছে। তবে লাভা ও গ্যাস নির্গমন ‘খুবই হ্রাস পেয়েছে’।
এছাড়া গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত সেমেরু পবর্তমালায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই এলাকা থেকে দুই হাজার মানুষকে নিরাপদ অবস্থানে সরিয়ে নেয়া হয়। একই সঙ্গে অঞ্চলজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়।