মাশরাফির হাত ধরে বিপিএলে এবারের আসরে একের পর এক ম্যাচ জিতেই যাচ্ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। টানা পাঁচ জয়ের পর এবার থামতে হলো তাদের। লিটন দাসের হাতে বধ হতে হলো সিলেটকে। তার করা ৪২ বলে ৭০ রানের ঝরো ইংনিস জয় এনে দেয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে। যদিও সহজ ভাবে আসে নি এই জয়। লিটন ঝরে হঠাৎ টুটি চেপে ধরেন মাশরাফি।
সিলেটের করা ১৩৩ রানের বিপরীতে খেলতে নেমে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার। যদিও লিটন দাসের সাথে মোহাম্মদ রিজওয়ান ছিলেন একটু নিষ্প্রাণ। দলীয় ৫৭ রানের মাথায় ১৭ করে রিজওয়ান আউট হয়ে গেলে অধিনায়ক ইমরুল ও চার্লসকে নিয়ে সিলেটের বোলারদের তুলোধুনো শুরু করেন লিটন। কিন্তু ব্যক্তিগত ৭০ রানের মাথায় দল যখন মাত্র ২২ রান দুরে ঠিক তখন হঠাৎ ম্যাশের থাবা। লিটকে ফিরিয়ে সিলেটকে আবার খেলায় ফিরে আনেন এই কাপ্তান।
আরও পড়ুনঃ
১ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ডে ব্রাজিলিয়ানকে দলে নিল নটিংহ্যাম
লিটন আউট হবার পর রানের চাকা থেমে যায় কুমিল্লার। দলে মাত্র ৬ রান যোগ হতেই আবার নড়াইল এক্সপ্রেসের হাতে বিদায় নেন খুশদিল। তার পরের বলেই রান আউট হয়ে ফেরেন জাকের আলি। কুমিল্লার সমর্থকদের মাথায় হাত যেন লিটনের তুলে দেওয়া খাবারটাও খেতে পারছে না। ঠিক সেই সময় দলকে চিন্তামুক্ত করেন চার্লস। ১৯ তম ওভারেই জয় এনে দেন দলকে।
এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টচে হেরে ব্যাট করতে নেমে সিলেটের একের পর এক ব্যাটার থাকেন যাওয়া আসার মধ্যে। মাত্র ৪৯ রানে ৬ ব্যাটারকে হারিয়ে ব্যাট হাতে মাঠে আসেন কাপ্তান মাশরাফি। কিন্তু ব্যাট হাতে তিনি ছিলেন আজ একেবারেই মলিন। ৫ বল খেলে খালি হাতে ফিরে যান ম্যাশ।
আরও পড়ুনঃ
ফ্রান্সে নেইমারের কড়া সমালোচনা
৭ উইকেট হারিয়ে সিলেটের শঙ্কা যখন ১০০ ছুঁতে পারবে কি না তখনি দলের হাল ধরেন লঙ্কান ব্যাটার থিসারা পেরেরা ও পাকিস্তানি ইমাদ ওয়াসিম। থিসারার ৩১ বলে ৪৩ ও ইমাদের ৩৩ বলে ৪০ রানের সুবাদে ১৩৩ রানে পৌঁছায় সিলেট।
আরও পড়ুনঃ
বিশ্বকাপের কষ্ট পরিবারের সদস্য হারানোর থেকেও বেশি: রিচার্লিসন