Connect with us

ঢাকা

ঢাবির ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে

Avatar of author

Published

on

মাদকবিরোধী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছিনতাই মামলায় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ও কবি জসীম উদ্দিন হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানজীর আরাফাত তুষারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে নিজ ক্যাম্পাস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গেলো বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে রাজধানীর শাহবাগ থানা পুলিশ।

গেলো ১৫ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাবির সাবেক এক নারী শিক্ষার্থী ও তার স্বামীকে মারধর এবং স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে দুজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও পাঁচ থেকে ছয়জনের বিরুদ্ধে ১৭ জানুয়ারি মামলা করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের আইন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রাহুল রায়কে প্রধান আসামি করা হয়।

মামলার বাদী গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য। কিন্তু অন্যদিকে এই মামলার প্রধান আসামি জগন্নাথ হলের আইন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রাহুল রায় ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়ালেও তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। কী কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না, সেটি এখন পর্যন্ত আমি বুঝতে পারছি না।

তবে রাহুলকে না ধরার অভিযোগ অস্বীকার করে শাহবাগ থানার ওসি নূর মোহাম্মদ বলেন, এ অভিযোগ মিথ্যা। ঘটনার পর থেকেই মামলা উল্লেখ্য করা প্রধান আসামি রাহুল পলাতক আছে। তাকে ধরার জন্য আমাদের তৎপরতা অব্যাহত আছে।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

ঢাকা

রাজধানীর সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ডিএমপি কমিশনারের অনন্য উদ্যোগ

Published

on

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম-বার, পিপিএম-বার দায়িত্বভার গ্রহণ করেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে, যা মহানগরবাসীর জন্য ছিল আস্থার এক অনন্য নেতৃত্ব। তারই নেতৃত্বে ইতোমধ্যে মহানগরীর ট্রাফিক যানযট সহনীয় পর্যায়ে এসেছে এবং ট্রাফিক সার্কুলেশন পরিকল্পনায় নতুনত্ব এসেছে, স্বস্তিতে সহজেই যাতায়াত করতে পারছে নগরবাসী। বিশেষ করে গেলো পবিত্র রমজান মাসে ও পবিত্র ঈদুল ফিতরে ঢাকা মহানগরীর ৮টি ট্রাফিক বিভাগের সকল রাস্তায় বিশেষ অভিযান ও কমিউনিটি ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করে মহানগরীর যানযট সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছিল। নগরবাসীও ব্যাপক প্রশংসা করেছিলেন ডিএমপি কমিশনারের এরকম মহতী উদ্যোগের। বললেন ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-এ্যাডমিন এন্ড রিসার্চ) ও প্রকল্প ম্যানেজার, ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্ট (ডিআরএসপি) মো: জাহাঙ্গীর আলম।

সম্প্রতি পুলিশ কমিশনারের নানা উদ্যোগ নিয়ে গণমাধ্যমে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, বিপিএম-বার, পিপিএম-বার মহানগরবাসীর নিরাপদ যাতায়াত ও সার্বিক নিরাপত্তায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর হতে বিশেষ চেকপোস্ট এবং বিশেষ অভিযানের বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেন। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ ৮টি ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারগণের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণ করতে এবং আইনের চোখে ফাঁকি দিয়ে কেউ যেন ছদ্মবেশে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছে।

অতিসম্প্রতি ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনায় অননুমোদিত স্টিকার সম্বলিত যানবাহন, অবৈধ ও ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি ট্রাফিক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্স এবং মাঠ পর্যায়ের ট্রাফিক সদস্যগণ প্রতিনিয়ত কাজ করছেন। ফলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন ও সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ এবং প্রশংসিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

এছাড়াও ঢাকা মহানগরীতে রাতে যেসব কাগজপত্রবিহীন ট্রাক বালি, মাটি ও ইটসহ নানাবিধ মালামাল বহন করে সেসব ট্রাকের বিরুদ্ধে প্রতিটি ট্রাফিক জোন ও বিভাগের সদস্যগণ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

Advertisement

মো: জাহাঙ্গীর আলম জানান, ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সম্মানিত অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো: মুনিবুর রহমান ও যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণের (ট্রাফিক) সার্বিক সমন্বয় ও তত্ত্বাবধানে সম্মানিত ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে এবং প্রতিদিনের অভিযানের ফলাফল সংগ্রহ করে, তা বিশ্লেষণের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরীর যানযট নিরসনে টেকসই উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়াও যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং জনসাধারণের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে ডিএমপি কমিশনারের বিশেষ নির্দেশনায় যেসব হকার ও গাড়ির ভ্রাম্যমাণ কাউন্টার ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে ব্যবসা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাস্তা ও ফুটপাতে যানচলাচল ও জনসাধারণের চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে ঢাকা মহানগর এলাকাকে।

এছাড়াও অবৈধ ব্যাটারি চালিত রিক্সার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি মূলসড়কে যেন অযান্ত্রিক যানচলাচল না করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের নির্দেশিত ছক অনুযায়ী ৮টি ট্রাফিক বিভাগ হতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিক্সা, অবৈধ যানবাহন, মাটির ট্রাক ও হকারদের তালিকাও সংগ্রহ করা হচ্ছে পরবর্তী ব্যবস্থাপনা ও বিশ্লেষণের জন্য। নিরাপদ যাতায়াত ও জনসেবায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

নরসিংদীতে ভোটকেন্দ্র দখল নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১০

Published

on

ভোটকেন্দ্র

নরসিংদীর সদর উপজেলার পাঁচদোনার কাকশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র দখল করাকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রায় আধ ঘন্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকার পর পুনরায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কাপ পিরিজ প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন ও আনারস প্রতীকের আব্দুল বাকির গ্রুপের মধ্যে সকাল ১০ টায় এ সংঘর্ষ হয়। উভয় গ্রুপের ধাওয়া ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে আহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায় নি।

পাঁচদোনা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আনারস প্রতীকের সমর্থক হুয়মায়ুন কবির লিটন বলেন, ” কাপ পিরিজ প্রতীকের সমর্থক ও স্থানীয় আল আমিনের (৩৪) নেতৃত্বে  টিপু (৩১), দুলালসহ (২৭) ১০-১২ জন কেন্দ্রের ভিতরে আমাদের উপর হামলা করে। আমি আনারস প্রতীকের এজেন্ট ছিলাম, আমাকে মারধোর করে রক্তাক্ত করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। আমাদের লোকজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে।

অভিযুক্ত কাপ-পিরিজের সমর্থক আল আমিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমাদেরকে লক্ষ্য করে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছিলেন আব্দুল বাকিরের সমর্থক হুমায়ুন ও তার লোকজন। পরে, সামান্য হাতাহাতি হয়েছে এবং আমাদের ১০ জনকে এলোপাথারিভাবে কিল ঘুষি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে। আমরা কাউকে আঘাত করিনি। পরে ঘটনাস্থল পুলিশ এসে ঘটনাস্থল এসে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনেন।

নরসিংদী জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামসুল আরেফিন বলেন, “দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হবার কথা শুনে ঘটনাস্থলে এসেছি। আমরা তদন্ত করে বের করার চেষ্টা করছি, কারা কারা এ ঘটনায় জড়িত। পরিবেশ এখন স্বাভাবিক রয়েছে। ভোট গ্রহণ পুনরায় চলছে। নির্বিঘ্নে ভোট গ্রহণ নিশ্চত করতে অতিরিক্ত পুলিশ নিশ্চিত করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হবারও খবর পেয়েছি। ”

Advertisement

কেএস/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

ভোটকেন্দ্রে ছবি তোলায় সাংবাদিকের ওপর হামলা

Published

on

ভোটকেন্দ্রে

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় নির্বাচন চলাকালীন এক সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

মারধরের শিকার সাংবাদিক গোলজার হোসেন মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি ও মানবজমিনের মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।

বুধবার (৮ মে) সকাল সোয়া ৯টার দিকে উপজেলার হোসেন্দি ইউনিয়নের ভবানিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একটি কেন্দ্রের বাইরে এক পুলিশ সদস্যকে মারধর করছিলে আনারস প্রতীকের সমর্থক ও ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু এবং তার লোকজন। এ ঘটনার ছবি তুলছিলেন প্রতিনিধি গোলজার হোসেন।এতে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে মারধর করে আহত করে। সেই সঙ্গে ওই কেন্দ্রের ভেতরে থাকা কমপক্ষে ৭ জন সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।

মনিরুল হক মিঠু হোসেন্দি ইউপি চেয়ারম্যান। ঘটনার সঙ্গে জড়িত চেয়ারম্যানের ভাতিজা তানভীর হক তুরীন।

Advertisement

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোটকেন্দ্রের বাইরে আনারস প্রতীকের প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল হকের সমর্থক মনিরুল হক মিঠু তার লোকজন নিয়ে জড়ো হচ্ছিল।পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার শঙ্কায় কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা একজন পুলিশ সদস্য মো. সোহেল সবাইকে সরে যেতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায় মিঠু ও তার লোকজন। ঘটনাটির ছবি এবং ভিডিও করছিলেন এক সাংবাদিক। পরে ওই পুলিশকে রেখে সাংবাদিকের ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তাকে মারধর করতে থাকে মিঠু ও তার লোকজন। অন্যান্য সাংবাদিকরা এসে ওই সাংবাদিককে উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর সাংবাদিকরা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে আশ্রয় নিলে পুলিশের উপস্থিতিতেও তাদের মারাধরের জন্য তেড়ে আসতে থাকে মিঠু এবং তার লোকজনরা।

মানবজমিনের মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি গোলজার হোসেন বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রের পাশে পুলিশকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে মারধর করছিল চেয়ারম্যান মিঠু ও তার লোকজন। সেই ঘটনার ছবি ও ভিডিও করায় আমাকেও মারধর করা হয়েছে। আমার ফোন ছিনিয়ে নিয়ে সব ছবি, ভিডিও মুছে দিয়েছে। ফোনটিও ভেঙে ফেলেছে।’

পুলিশ সদস্য মো. সোহেল রানা বলেন, কেন্দ্রের পাশে একটি দোকান ছিল। সেখানে আনারস প্রতীকের সর্মথকরা জড়ো হচ্ছিল। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আমি তাদেরকে সরে যেতে বলি। সে সময় আনারস প্রতীকের সমর্থকরা আমার ওপর হামলা চালায়। সাংবাদিক ছবি তোলায় তাকেও মারধর করে।

মারধরের ঘটনার পর কেন্দ্রের ভেতরে মনিরুল হক মিঠু ও তার লোকজনরা প্রবেশ করে। সাংবাদিকদের হাত কেটে ফেলার  হুমকি দিতে থাকেন। দুই চারজন সাংবাদিক মেরে ফেললে কি হবে বলে হুমকি দিতে থাকেন। সে ঘটনা ভিডিও করতে গেল বাকি সাংবাদিককের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।

কেন্দ্রটির দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রতন বৈরাগীকে এ বিষয়ে  জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে কিছুই হয়নি। সব ঠিক আছে।এ ব্যাপারে আর কিছু বলতে পারব না।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত