Connect with us

আইন-বিচার

ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তা সেজে চাঁদাবাজি করতেন বল্লা শাহীন

Avatar of author

Published

on

রাজধানীর মিরপুর এলাকায় ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তা সেজে চাঁদাবাজি করার অভিযোগে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গেলো শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে দক্ষিণ পীরেরবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা ব্যক্তিরা হলেন মো. শাহিন ওরফে বল্লা শাহীন (২৫), মো. ইউসুফ চৌধুরী (২৮), মো. আব্দুল আলিম (২৩), মো. মামুন কাজী (৩২), মো. দেলোয়ার হোসেন (২৬), সুলতান মাহিদ পিয়াস (৩৩), মো. তুষার (৩১) ও মো. রাহাদ (২৮)।

আজ শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমে তাদের একদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদের মধ্যে বল্লা শাহীন মিরপুরের আলোচিত সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি।

Advertisement

মোহাম্মদ মহসীন বলেন, বল্লা শাহীন গেলো শুক্রবার রাত ৯টার দিকে তার দলবল নিয়ে দক্ষিণ পীরেরবাগ আল বারাকা বেকারি নামে একটি প্রতিষ্ঠানে যান। সেখানে গিয়ে নিজেকে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বেকারিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আছে অভিযোগ করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। এক পর্যায়ে মামলা ও জরিমানা করার ভয়ভীতি দেখান।

বেকারির কর্মচারীরা ১৩ হাজার ৫০০ টাকা দিলে অসন্তুষ্ট হয়ে বল্লা শাহীনের সহযোগীরা তাদেরকে গালিগালাজ করেন। এসময় দোকানের এক কর্মচারী কৌশলে পুলিশকে ফোন করে বিষয়টি জানান। পুলিশ গিয়ে বল্লা শাহীন ও তার পুরো দলকে গ্রেপ্তার করে।

ওসি জানান, বল্লা শাহীন ও তার দল গতকাল ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা সেজেছেন। এর আগে তারা অন্য বেশেও চাঁদাবাজি করেছেন। ২০২০ সালে মোহাম্মদপুরে তারা পুলিশ সেজে চাঁদাবাজি করেন। এ ঘটনায়ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। বল্লা ও তার সহযোগীরা পেশাদার অপরাধী। ২০১৯ সালে মিরপুরের আলোচিত সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বল্লা। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মাদক, চাঁদাবাজি, হত্যা প্রচেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪টি মামলা রয়েছে। আরেক আসামি সুলতান মাহিদ পিয়াসের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ৩টি। এছাড়া মো.ইউসুফ চৌধুরী, মো. আব্দুল আলিম, মো. মামুন কাজী, মো. দেলোয়ার হোসেন ও রাহাতের বিরুদ্ধে ২টি করে মামলা রয়েছে।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

আইন-বিচার

সাবেক মন্ত্রীর চার সন্তানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

Published

on

আদালতের রায়

সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির চার ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। ৩০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের মামলায় তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

রোববার (১২ মে) অর্থঋণ আদালত চট্টগ্রামের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এই আদেশ দেন।

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে- মুজিবুর রহমান, জাহিদুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম ও ওয়াহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। মুজিবুর রহমান সাবেক মন্ত্রীর মালিকানাধীন সানোয়ারা ডেইরি ফুডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। অন্য তিনজন একই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম গণমাধ্যমে বলেন, ৩০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের মামলায় উত্তরা ব্যাংকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সাবেক মন্ত্রীর চার ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। তারা যাতে দেশ ছেড়ে যেতে না পারেন, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঢাকার বিশেষ পুলিশ সুপার (অভিবাসন) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

তিনি আরও বলেন, উত্তরা ব্যাংক থেকে যে ৩০ কোটি টাকা ঋণ নেয়া হয়েছে, তার বিপরীতে ব্যাংকে কোনো সম্পত্তি বন্ধক নেই। বিবাদীদের ব্যক্তিগত নিশ্চয়তা ও ট্রাস্ট রিসিটের ভিত্তিতে এই ঋণ মঞ্জুর করেছিল ব্যাংক।

Advertisement

এএম/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন নাহিদ সুলতানা যুথি

Published

on

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জামিন নিয়েছেন নাহিদ সুলতানা যুথি। এ মামলায় অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়। অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী।

রোববার (১২ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে তিনি জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালত তাকে জামিন দেন। আদালতে আসামীপক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- অ্যাড. মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ, অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ, ব্যারিস্টার উসমান, অ্যাড. আরিফ, অ্যাডভোকেট সুমন, অ্যাডভোকেট তুষার, রবিউল, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল, অলিউর, যুবলীগ নেতা জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল ও অ্যাডভোকেট সোহাগ। এছাড়া মামলায় ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, মামলার অন্য আসামিরা নাহিদ সুলতানা যুথীর নির্দেশে এবং প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে বাকি আসামিরা সুপ্রিমকোর্ট বার সমিতির নিচতলার শহিদ শফিউর রহমান মিলনায়তনের দরজা খুলে অস্ত্র হাতে জোর করে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা অকথ্য ভাষায় বাদীসহ নির্বাচন সাব-কমিটির অন্যান্য সদস্যদের গালিগালাজ করে। আসামিদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার মাঝ বরাবর আঘাত করলে বাধা দিতে গিয়ে আহত হন। অন্যান্য আসামিরা কাঠের লাঠি, কাঠের ও প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে অতর্কিতভাবে মারপিট করে ও পা দিয়ে আঘাত করে বাদীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং তার পরিহিত কাপড় ছিঁড়ে ফেলে।

গেলো ২০ মার্চ বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মামলায় তার আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।

Advertisement

উল্লেখ্য, গেলো ৮ মার্চ রাতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা করেন।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যা: ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড

Published

on

কুমিল্লায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলা যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১২ মে) দুপুর ১২ টায় এ রায় দেন কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন।

নিহত জামাল হোসেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ইসমাইল হোসেন বাচ্চু, সালাউদ্দিন, আব্দুর রহমান, মফিজুর রহমান খন্দকার, গিয়াস উদ্দিন শিমুল, জাহিদ বিন শুভ, রেজাউল করিম বাবুল ও মোহাম্মদ আমির হোসেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন নুরুল আকন্দ, কফিল উদ্দিন, নুরুন্নবী সুজন, ইকবাল আহমদ, সাইফুল ইসলাম, মাহমুদুর রহমান খন্দকার, মোশারফ হোসেন, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ আলী হোসেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে পূর্বশত্রুতার জেরে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি জামাল হোসেনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের বোন বাদী হয়ে ইসমাইল হোসেন বাচ্চুকে প্রধান আসামি করে ২৮ জনের নামে হত্যা মামলা করা হয়।

Advertisement

রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলী হোসেন ছাড়া অন্য সব আসামি পলাতক ছিলেন।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত