রেসিপি
পেয়ারার চাটনি যেভাবে তৈরি করবেন
বাজার থেকে অনেকগুলো পেয়ারা কিনেছিলেন। দু’দিন ফ্রিজে থেকেই পেকে গিয়েছে। পাকা পেয়ারা বাড়ির পোষা পাখিটি ছাড়া কারও মুখেই রোচে না। কিন্তু পাখি একা আর কত পেয়ারা খাবে? ফেলে দেয়া ছাড়া তা হলে কি আর কোনও গতি নেই?
রন্ধনশিল্পীদের কাছে এই ধরনের সমস্যার নানা রকম বুদ্ধি থাকে। ভারতীয় রন্ধনশিল্পী কুণাল কাপূর তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিখিয়েছেন পাকা পেয়ারা দিয়ে কীভাবে চাটনি বানাতে হয়। তবে, সেই চাটনি একেবারেই মিষ্টি নয়। কিন্তু বাঙালিরা তো সবেতেই একটু মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন, তাই মূল রেসিপি না বদলে টক-ঝাল-লবণেরর সঙ্গে সামান্য একটু চিনি যোগ করা হয়েছে।
উপকরণ
পাকা পেয়ারা: ২টি
সর্ষের তেল: ১ চা চামচ
পুদিনা পাতা: ১০-১৫টি
আদা কুচি: ১ চা চামচ
কাঁচা মরিচ: ১টি
লেবুর রস: ২ টেবিল চামচ
জিরে গুঁড়ো: আধ চা চামচ
চাট মশলা: ১ চা চামচ
বিট লবণ: স্বাদ অনুযায়ী
চিনি: ১ চা চামচ
পানি: আধ কাপ
প্রণালী
প্রথমে পেয়ারাগুলি ভাল করে ধুয়ে, মুছে নিন। তারপর সামান্য সর্ষের তেল গায়ে মাখিয়ে রাখুন। এবার রুটি সেঁকার জাল গ্যাসের উপর বসিয়ে পেয়ারাগুলি একটু পুড়িয়ে নিন। হয়ে গেলে কিছুক্ষণ ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দিন। একটি পাত্রে পানি নিয়ে পেয়ারা গা থেকে পুড়ে যাওয়া খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। ছোট ছোট টুকরো করে কেটেও রাখতে পারেন। ব্লেন্ডারে পেয়ারার টুকরো, লবণ, চিনি, পুদিনা পাতা এবং সব রকম মশলা দিয়ে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। এবার চাটনিটি ছাঁকনিতে ছেঁকে নিতে পারেন। না চাইলে রেখেও দিতে পারেন।
ব্যস, হয়ে গেলো আপনার পেয়ারার চাটনি।
এসি//
View this post on Instagram
রেসিপি
ওজন ঝরাতে নাস্তায় যে ৫ খাবার খাবেন
সময় মেনে অফিসে ঢুকলেও বেরোনোর কোনও ঠিক থাকে না। ফলে ঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়াও হয় না। কিন্তু দিনভর কাজ করতে হলে শরীর তো চাঙ্গা রাখতেই হবে। তাই ঠিকঠাক খাবার খাওয়া জরুরি। এক্ষেত্রে সকালের নাস্তাটাই খেতে হবে পেট ভরে।
অফিসে বেরোনোর তাড়াহুড়োয় সকালে অনেকেই ইনস্ট্যান্ট নুডল্স, পাস্তা, কিংবা আগের দিনের বেঁচে যাওয়া কোনও খাবার খেয়ে নেন, যা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। অনেকেই আবার খালি পেটেই অফিসে চলে যান, যা শরীরের পক্ষে আরও খারাপ। ওজন বাগে রাখতে পেট ভরবে অথচ ক্যালোরিও বাড়বে না, এমন প্রাতরাশ করতে হবে। অল্প ক্যালোরির মধ্যে সুস্বাদু কোন খাবার রাখতেই পারেন সকালের নাস্তার টেবিলে।
মুগ ডাল চাট
অঙ্কুরিত গোটা মুগ ডালে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা, টম্যাটো, লেবু মিশিয়ে চাট বানিয়েও খেতে পারেন। এক বাটি চাটে ১০০ ক্যালোরি যায় শরীরে।
মশলা অমলেট
তিনটে ডিমের সাদা অংশ এবং একটা ডিমের হলুদ অংশ ভাল করে ফেটিয়ে নিন। এ বার সেই মিশ্রণে মিশিয়ে দিন পালং শাক কুচি, পেঁয়াজ কুঁচি, টম্যাটো কুচি, লবন, গোলমরিচ। খুব ভাল করে ফেটিয়ে নিয়ে নিন মিশ্রণটি। ফ্রায়িং প্যানে খুব সামান্য তেলে ভেজে নিন অমলেট। এতে প্রায় ২৫০ ক্যালোরি থাকে। সঙ্গে একটা মাল্টিগ্রেড পাউরুটি খেতে পারেন।
ওটস উত্থাপম
ওটসের গুঁড়ো, সামান্য সুজি, দই, পানি মিশিয়ে একটি ঘোল তৈরি করে নিন। আধ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখার পর সেই মিশ্রণে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, টমেটো কুচি, ক্যাপসিকাম কুচি, ধনেপাতা কুচি আর লবন মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ বানিয়ে নিন। এবার অল্প তেলে প্যান কেকের মতো ভেজে নিন। একটা ওটস উত্থাপমে প্রায় ১২৫ ক্যালোরি থাকে।
মুগ ডালের চিলা
সবুজ মুগ ডাল সারা রাত ভিজিয়ে রেখে পরের দিন পানি ঝরিয়ে বেটে নিন। এবার ডালের মিশ্রণে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, ধনেপাতা কুচি, নুন, ক্যাপসিকাম কুচি আর সামান্য পানি দিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন। এবার অল্প তেলে প্যান কেকের মতো ভেজে নিন। পুদিনার চাটনির সঙ্গে গরম গরম খেতে পারেন মুগ ডালের চিলা। একটা চিলা খেলে প্রায় ১৫০ ক্যালোরি শরীরে যায়।
ওটসের কাটলেট
ওটস খানিকটা পানিতে ভিজিয়ে সেই মিশ্রণটি মিক্সিতে বেটে নিন, তারপর তাতে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা, টমেটো সব ধরনের মশলা দিয়ে টিক্কির আকারে গড়ে নিন। অল্প তেলে ভাল করে ভেজে নিলেই তৈরি সুস্বাদু খাবার। একটি মাঝারি মাপের টিক্কিতে ৮৬ ক্যালোরি থাকে।
রেসিপি
ত্বকের জেল্লায় বেলের শরবত
তীব্র দাবদাহে পুড়ছে সারা দেশ। তাই এ সময় শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখতে শুধু পানি খেলেই হবে না। সঙ্গে খেতে হবে এমন কিছু পানীয় যা পানির ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি, ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যাওয়া খনিজের অভাবও পূরণ করে। গরমে তাই বেলের শরবতের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। গরমকালে শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য অনেক বাড়িতেই বেলের শরবত খাওয়ার চল রয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটফাঁপা, হজমের গোলমাল সারাতেও এই পানীয় বেশ কাজের।
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই গরমে ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে বেলের শরবতের জুড়ি মেলা ভার। এই ফলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এই দু’টি উপাদান নিঃসন্দেহে ত্বকের জন্য উপকারী। এ ছাড়া অনেকেই বলেন, ত্বকের নিজস্ব প্রোটিন অর্থাৎ কোলাজেন তৈরিতেও সাহায্য করে বেল। বেলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। যা স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বিশেষ ভাবে প্রয়োজনীয়। এ ছাড়াও অন্ত্র ভাল রাখতে এবং শরীর থেকে ‘টক্সিন’ বার করতে সাহায্য করে বেলের মধ্যে থাকা সহজপাচ্য ফাইবার।
দশ মিনিটে বেলের শরবত তৈরি করবেন যেভাবে-
উপকরণ
বেল: ১টি
পানি: ৫ কাপ
লবন: এক চিমটে
চিনি: ৪ টেবিল চামচ
পুদিনা পাতা: এক মুঠো
বরফের টুকরো: ৩-৪টি
পদ্ধতি
প্রথমে বেল ভেঙে তার ভিতর থেকে শাঁস বার করে একটি পাত্রে রাখুন। এবার শাঁস হাত দিয়ে ভাল করে চটকে নিন। ভিতর থেকে বেলের বীজ বার করে নিন। ছাঁকনির সাহায্যে বেলের ক্বাথ ভাল করে ছেঁকে নিন। এবার বেলের ক্বাথের সঙ্গে চিনি এবং সামান্য লবন মিশিয়ে নিন। যতক্ষণ না চিনি গলে যায় ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। লবন-চিনি গলে গেলে বেলের ক্বাথের সঙ্গে ধীরে ধীরে পানি মিশিয়ে নিতে হবে। ঘনত্ব কেমন রাখতে চান, সেই বুঝে পানি মেশাবেন। এবার কাচের গ্লাসে কয়েক টুকরো বরফ এবং পুদিনা পাতার কুচি দিয়ে তার মধ্যে শরবত ঢেলে নিন। ঠান্ডা ঠান্ডা শবরত পরিবেশন করুন।
রেসিপি
বৈচিত্র্য আনতে করল্লা দিয়ে রাঁধতে পারেন অন্য খাবার
আজকাল বাজার করে ফিরলেই ব্যাগ থেকে উঁকি মারে কচি কচি সবুজ করল্লা। গরমকাল মানেই নানা ধরনের সংক্রমণের ভয়। তাই বাঙালি গ্রীষ্মকালীন রোগবালাইয়ের সঙ্গে লড়াই করতে ভরসা রাখে করল্লার উপর। করল্লা ভাজা, করল্লা সেদ্ধ বাঙালির হেঁশেলে হয়েই থাকে। তবে পদে বৈচিত্র্য আনতে করল্লা দিয়ে রাঁধতে পারেন অন্য খাবার।
করল্লা-আলুর বাটি চচ্চড়ি
ডুমো ডুমো করে আলু আর করল্লাকেটে নিন। এবার কড়াইয়ে তেল গরম করে জিরে আর কাঁচা মরিচ ফোড়ন দিন। তারপরে আলু আর করল্লার টুকরোগুলি তাতে ছেড়ে দিন। হালকা ভাজা হলে তাতে পেঁয়াজ বাটা দিয়ে দিন। নাড়তে থাকুন ভাল ভাবে। তার ফাঁকেই স্বাদমতো লবন আর এক চামচ হলুদ গুঁড়ো দিন। সব্জিটা হালকা ভাজা হলে তাতে আধ কাপ পানি দিয়ে দিন। আর একটু নেড়েচেড়ে নিয়ে কড়াইটা ঢেকে রাখুন। ঢাকা সরিয়ে মাঝেমাঝেই নাড়তে থাকতে হবে, যাতে চচ্চড়িটা কড়াইয়ে লেগে না যায়। করল্লা-আলুর বাটি একেবারে শুকনো হয় না। একটু মাখা মাখা হতে হবে। ফলে সময় থাকতে নামিয়ে নিন। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
করল্লার ডাল
পাতলা আর চাকা চাকা করে কেটে সামান্য লবন ও হলুদ দিয়ে ভেজে রাখুন। মুগ ডাল শুকনো খোলায় হালকা লালচে করে ভেজে নিন। প্রেশার কুকারে মুগ ডাল সামান্য লবন আর হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। এবার কড়াইতে ঘি গরম করে শুকনো মরিচ, পাঁচফোড়ন আর রাঁধুনি ফোড়ন দিন। তাতে সেদ্ধ ডাল দিয়ে দিন। এবার ভাজা করল্লার টুকরো আর স্বাদ মতো লবন দিয়ে ডাল ফুটতে নিন। ডাল ফুটে উঠলে আর এক চামচ ঘি দিয়ে নামিয়ে নিন।
সর্ষে মাখা করল্লা
প্রথমে করল্লাগুলি ধুয়ে ছোট ছোট করে কেটে নিন। একই মাপমতো আলু এবং পটলও কেটে নিন। এবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে পাঁচফোড়ন ও কাঁচালঙ্কা দিন। তারপর আলু, করল্লা এবং পটল দিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকুন। লবন আর হলুদ দিয়ে কম আঁচে ভাল করে নাড়ুন যত ক্ষণ না সব্জি থেকে জল বেরোয়। সব্জি সেদ্ধ হয়ে এলে নাড়াচাড়া করে সর্ষেবাটা দিয়ে উপর থেকে একটু তেল ছড়িয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন। মাখোমাখো হয়ে এলে নামিয়ে নিন।
- ঢালিউড7 days ago
‘আমার আচরণে শাকিবের পরিবার এমন সিদ্ধান্ত নেবে, বিশ্বাস করি না’
- আন্তর্জাতিক7 days ago
যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!
- ঢালিউড7 days ago
শাকিবের বিয়ে: পরিবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস
- তথ্য-প্রযুক্তি6 days ago
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
- পরামর্শ7 days ago
পুনরায় গরম করলে যে ৭ খাবার হয় ‘বিষাক্ত’
- জাতীয়3 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
- বাংলাদেশ5 days ago
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
- ঢাকা3 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা