Connect with us

ঢালিউড

সিতারা-ই-ইমতিয়াজ পদক নিলেন অভিনেত্রী শবনম

Avatar of author

Published

on

সংগৃহীত ছবি

পাকিস্তানের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘সিতারা-ই-ইমতিয়াজ’ গ্রহণ করলেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী শবনম। গত শনিবার রাজধানীর ইসলামবাবাদে দেশটির প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে তার হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি।পাকিস্তানের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে এই সম্মানসূচক পুরস্কার এ দেওয়া হয়।

সম্মাননা প্রাপ্তিতে অনুভূতি জানিয়ে ৮১ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী বলেন, জীবনের শেষপ্রান্তে এসে এমন একটি সম্মাননা পেয়ে তিনি গর্বিত। বাংলাদেশের মেয়ে হয়ে পাকিস্তানের সিনেমায় সম্মানের সাথে কাজ করেছেন। এটাই তার কাজের স্বীকৃতি। পুরস্কারটি গ্রহণ করার সময় চারিদিকে করতালিতে মুখর হয়ে উঠে। এ দৃশ্য ভুলবার না বলেও তিনি জানান।’

চিত্রপরিচালক এহতেশামের ‘এদেশ তোমার আমার’ ছবি দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন শবনম। ওই ছবিতে নৃত্যে অভিনয়ের সুযোগ দেন।এহতেশামের আরও কিছু সিনেমায় অতিরিক্ত শিল্পী হিসেবেও অভিনয় করেন শবনম। কিন্তু এহতেশামের পাশাপাশি পরিচালক মুস্তাফিজের নজর কাড়তে সক্ষম হন অতিরিক্ত শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেই। মুস্তাফিজ পরিচালিত ‘হারানো দিন’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৬১ সালে নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এতে তিনি ঝর্ণা বসাক থেকে ‘শবনম’ নাম ধারণ করেন।

তবে উর্দু চলচ্চিত্রে তাকে তারকাখ্যাতি এনে দেন পরিচালক এহতেশাম। ১৯৬৮ সালে তার পরিচালিত চান্দা ছবিতে অভিনয়ের জন্য পশ্চিম পাকিস্তানে যান শবনম। তার দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য চান্দা সিনেমাটি ব্লকবাস্টার হিট হয়।  পাকিস্তানে রাতারাতি তারকাখ্যাতি পান এই অভিনেত্রী।পাকিস্তানের সিনেমায় তার অবদান এতোটাই যে, সেখানে ‘মহানায়িকা’ও বলা হয় শবনমকে।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে শবনমকে ঘিরে ছবির প্রচুর লগ্নি থাকায় দেশের মাটিতে ফিরতে পারেন তিনি। ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সময় তাকে রাখা হয় কঠিন নজরদারিতে।  পরবর্তীতে  জন্মভূমিতে ফিরলেও অভিনয়ের জন্য আশা-যাওয়ার মধ্যেই থেকেছেন শবনম। ততদিনে পাকিস্তানের ইন্ডাস্ট্রি শবনমনির্ভর হয়ে ওঠে। ১৩টি নিগার আর ৩টি জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পারও শবনম পাকিস্তানে স্থায়ী হননি; ফেরেন আপন ভূমিতেই।

Advertisement

ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে শবনম পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। সেখানে আশির দশকের শেষ পর্যন্ত একচ্ছত্র বিস্তার করেন।  ১৯৬০ থেকে ১৯৮০ এর দশক পর্যন্ত তিন দশক ধারাবাহিকভাবে একটি ইন্ড্রাস্টিতে সর্বোচ্চ জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছিলেন শবনম। তিনি মোট ১৭০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এরমধ্যে ১৫২টিই উর্দু সিনেমা। মাত্র ১৪টি বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন শবনম। আর পাঞ্জাবি ভাষায় তার অভিনীত ছবির সংখ্যা ৪টি।

Advertisement

ঢালিউড

তুফান’র প্রশংসার পাশাপাশি উঠেছে সমালোচনার ঝড়

Published

on

ছবি টিজার থেকে নেওয়া

রাজধানীতে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে আকাশটা একটু মেঘলা ছিলো। একটু ঠাণ্ডা বাতাসও বইছিলো। প্রচণ্ড ঝড়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছিলো। ঠিক তখনি ভয়ংকর ঝড়ের পূর্বাভাস দিলেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান। একই বার্তা দিয়েছেন তরুণ পরিচালক রায়হান রাফীও।

সিনেমার পোস্টার ফেসবুকে প্রকাশ করে শাকিব খান লিখেছেন, ‘বাংলার আকাশে বাতাসে আজ এক ভয়ংকর তুফানি ঝড়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে তারা প্রকাশ করলেন সিনেমাটির টিজার। যার কারণে ভয়ংকর তুফানি ঝড়ের সংকেত দিয়েছেন নায়ক-নির্মাতা।

যেন ধেয়ে আসছে ‘তুফান’। মাত্র ১ মিনিট ২১ সেকেন্ডের একটি টিজারই যেন আভাস দিচ্ছে বাংলা সিনেমার ইতিহাসের সব রেকর্ড ভেঙে লণ্ডভণ্ড করে দেবে চলতি বছরের সবচেয়ে আলোচিত সিনেমা তুফান।

ঢাকাই চলচ্চিত্র জগতের কোনো সিনেমার এধরণের টিজার আগে কখনও দেখা যায়নি বলে মত দিয়েছেন নেটিজেনদের অনেকে।ভিন্নধর্মী লুক, অ্যাকশান ও অভিনয়ে অনেকে খুঁজে পেয়েছেন অন্য শাকিব খানকে। মাঝখানে চঞ্চল চৌধুরীর উপস্থিতি টিজারে যোগ করেছে সম্পূর্ণ ভিন্নমাত্রা। প্রশংসার পাশাপাশি নেটিজেনদের প্রচণ্ড সমালোচনার ঝড়ও মোকাবিলা করতে হচ্ছে তুফানকে।

Advertisement

টিজারে দর্শকদের বুঝতে বাকী থাকে না  ‘তুফান‘ নামে যুবক শাকিব খান নব্বইয়ের দশকের একজন গ্যাংস্টার। টিজারের শুরুতেই তার কণ্ঠে শোনা যায়, ‘পূর্বের কথা মোতাবেক, এখন থেকে পুরো দেশকে তুফানের হাতে তুলিয়া দিব। সে যা চাইবে, পাইবে। যা করিতে চাইবে, করিবে। তাহাকে কোনো কিছুতেই বাধা দেওয়ার এখতিয়ার কেউ রাখিতে পারিবে না। আর এর ব্যত্যয় ঘটিলে কী হতে পারে, সেই ভয়ংকর পরিস্থিতিই ফুটে উঠেছে টিজারে।’

শেষদিকে ভার্সেটাইল অভিনেতা  চঞ্চল চৌধুরীর উপস্থিতি আর তার মুখে তাচ্ছিল্যের হাসিসহ সংলাপ, ‘তুফান, খুব ভয় পাইছি রে…!’  এই হাসিতেই বোঝা যাচ্ছে  সিনেমায় শাকিব ও চঞ্চলের মধ্যে ‘অভিনয় যুদ্ধ’ হবে ভয়ানক। টক্কর হবে সেয়ানে সেয়ানে।

টিজারে দেখা যায়, শাকিবের ঘন দাড়ি ও লম্বা চুল, হাতে সিগারেট। বেশ কিছুদিন আগে সিনেমাটির ঘোষণা আসলেও  শুটিং শুরু হয়েছে দেরিতে। একারনেই শুটিং চলমান থাকতেই মুক্তি পেলো  তুফানের টিজার বা একঝলক।

টিজার নিয়ে সমালোচনার ঝড়

তবে প্রচণ্ড প্রশংসার পাশাপাশি তুফান সিনেমার এই টিজার নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইয়ে দিয়েছেন নেটিজেনদের অনেকে।

Advertisement

তাদের বেশিরভাগই বোলছেন, তুফান সিনেমার টিজারটি কিছুদিন আগে মুক্তি পাওয়া বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা রণবীর কাপুর অভিনীত সিনেমা ‘অ্যানিম্যাল’-এর কপি। এমনকি শাকিব খানের লুকের সঙ্গেও অনেকে রণবীরের লুক মেলাচ্ছেন।

বাবুল হোসেন নামে একজন লিখেছেন KGF কপি কপি লাগতেছে। মিকাইল হোসেন আয়ন লিখেছেন-ঘুরেফিরে  KGF সিনই আসে কপি!

শোভন ইসলাম শান্ত লিখেছেন, স্টাইল+অনেক কিছুই এনিমেল মুভির কপি। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন ইমোজি। সায়ান নামে একজ মন্তব্য-Good But create an original movie not a copy of KGF. রাজি তানজি নামে আরেক নেটিজেন লিখেছেন KGF Bangla Chapter.

প্রিন্স কবির নামে একজন লিখেছেন kgf 2 re copy korese heda.

তুফান সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে ভারতের মিডিয়া ও বিনোদন সংস্থা শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস প্রাইভেট লিমিটেড (এসভিএফ), বাংলাদেশের প্রযোজনা সংস্থা আলফা আই ও ওটিটি প্লাটফর্ম চরকি।

Advertisement

যৌথ প্রযোজনায় নির্মিতব্য ‘তুফান’-এ শাকিব খান ও চঞ্চল ছাড়াও অভিনয় করছেন মিমি চক্রবর্তী, নাবিলা, মিশা সওদাগর প্রমুখ। টিজারে তারা ছিলেন অনুপস্থিত। আসছে ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে।

টিজার নিয়ে পরিচালক রায়হান রাফী গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘“তুফান” এমন একটা ছবি যা বাংলা সিনেমাকে বিশ্বের দরবারে নতুনভাবে চেনাবে। অনেক সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে পরিবর্তন করে। “তুফান” তেমনই একটা সিনেমা হতে যাচ্ছে। বাংলা সিনেমার সীমারেখা অনেক বাড়িয়ে দেবে। বলা যায়, “তুফান” আমার জীবনের একটা ড্রিম প্রজেক্ট। সেই সঙ্গে শাকিব ভাইকে এই সিনেমায় পাওয়াটাও আশীর্বাদ।’

‘তুফান’ যে চলতি বছরের সবচেয়ে ব্যবসাসফল সিনেমা হবে, তা নিয়ে বেশ নিশ্চিত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো। এ ব্যাপারে তিন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের মন্তব্য প্রায় একই।

এসভিএফের পরিচালক ও সহপ্রতিষ্ঠাতা মহেন্দ্র সোনি, আলফা-আই স্টুডিওজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল ও চরকির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি বলেন, তাঁরা বেশ আনন্দিত সিনেমার টিজার ও কাজ নিয়ে।

প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভাষ্য, বড় পর্দা মানেই শাকিব খান। আসছে ঈদ উল আযহার ঈদে সিনেমা হলগুলোতে ঝড় তুলবেন ঢালিউড সুপারস্টার।

Advertisement

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢালিউড

বাচসাস’র গোলটেবিল বৈঠক: সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল বাড়ানোর দাবি

Published

on

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানানোর পাশাপাশি সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল বাড়ানোর জোর দাবি দাবি জানিয়েছেন চলচ্চিত্র ও চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তারা বোলছেন, সিনেমা হল বাড়লে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র-সংকট অনেকটাই নিরসন হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদানে গুরুত্ব দিলে এ শিল্প আরও এগিয়ে যাবে। সেইসঙ্গে তারা নির্মাতাদের ভালো গল্পের দিকেও নজর দেয়ার অনুরোধ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (০২ মে) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে আয়োজিত বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। গোলটেলি বৈঠকটির আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র, বিনোদন ও সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)।

বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন—ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, বিশেষ অতিথি ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার প্রযোজক আরশাদ আদনান, সূচনা বক্তব্য রাখেন বাচসাস সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ।

গোলটেবিল বৈঠকে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বাচসাস সদস্য ও বাংলাদেশ সম্পাদক ফোমের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন।

গোলটেবিল বৈঠকে চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘চলচ্চিত্র শুরু থেকে শিল্পীদের সঙ্গে সাংবাদিকরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাংবাদিক বন্ধুরা ছাড়া আমরা সম্পূর্ণ না। ৫৬ বছর আপনারা যেভাবে সম্মান দিয়েছেন আগামীতেও দেবেন আশা করি। বর্তমানে অল্প কিছু সিনেমা হলে সিনেমা মুক্তি পায়। সেখানে একজন প্রযোজক সিনেমা থেকে খুবই সামান্য টাকা পায়। এ অবস্থায় আমরা যদি টাক্সের টাকাটা কমানোর জন্য সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় সংসদে তুলে ধরতে পারি তাহলে আমাদের এই শিল্পের জন্য বড় সমস্যার সমাধান হবে।’

Advertisement

ঢাকা ১০ আসনের এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, ‘আমাদের এই শিল্পের অনেক সমস্যা রয়েছে, এগুলোর সমাধানও আছে। এই সমস্যার সমাধানে নিজেদেরই এগিয়ে আসতে হবে। ভালো ভালো সিনেমা বানাতে হবে। জাতির পিতার হাতে গড়া এই এফডিসির জন্য প্রধানমন্ত্রীর অগাত ভালোবাসা রয়েছে। আমরা এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সংসদে এই শিল্পের উন্নয়নে করণীয় নিয়ে কথা বলব।’

চিত্র প্রয়োজক আরশাদ আদনান বলেন, ‘এই সাবজেক্ট নিয়ে আমরাও কাজ করছিলাম। ধন্যবাদ জানাই বাচসাসকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করব। বাচসাসকে সঙ্গে নিয়েই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। অনেক দিন ধরেই প্রযোজক সমিতি প্রশাসকের হাতে। প্রযোজক সমিতির সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করব। প্রযোজক বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে। আশা করছি, অচিরেই এ সংসট নিরসন হবে।’

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ও চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব বলেন, ‘সরকারি অনুদান সঠিক মানুষদের দিতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদান দিলে চলচ্চিত্র আরও এগিয়ে যাবে।’

শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য-চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, ‘সেন্সর বোর্ডে দায়িত্ব থাকার কারণে অনেক সিনেমা দেখতে হয়। এমন কিছু সিনেমা আছে যেগুলো হলের উপযোগী না। সেগুলোও হলে মুক্তি পায়। এসব সিনেমা দর্শকের হলবিমুখ করে। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদানে গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই আমাদের এ শিল্প আরও এগিয়ে যাবে।’

সৈয়দা ফারজানা জামান রুম্পার সঞ্চালনায় গোলটেবল বৈঠকে অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন—বাচসাস সাবেক সভাপতি রেজানুর রহমান, শিল্পী সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান, চলচ্চিত্র পরিচালক এস এ হক অলিক।

Advertisement

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাচসাস’র সহসভাপতি অনজন রহমান ও রাশেদ রাইন, অর্থ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন।

এমআর

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢালিউড

শাকিবের বিয়ে: পরিবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

Published

on

অপু বিশ্বাস, শাকিব খান ও তাদের সন্তান জয়। ফাইল ছবি

ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমানে ‘নাম্বার ওয়ান’ অভিনেতা  শাকিব খানের বিয়ে। চলতি বছরেই তৃতীয় বিয়ে করতে চলেছেন- এরকম খবরই এখন টক অব দ্য ঢালিউড। বর্তমান ও সাবেক স্ত্রীর কারণে বিরক্ত হয়েই নাকি শাকিব খানকে বিয়ে করাতে উঠে পড়ে লেগেছে তার পরিবার। যদিও বিয়ের ব্যাপারে এখনও মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন ঢালিউড সুপারস্টার।

শাকিব খান বিয়ের ব্যাপারে কিছু না জানালেও তার ঘনিষ্টজনরা শাকিবের বিয়ের ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়ে মুখ খুলছেন। শাকিব খানের অত্যন্ত ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত এবং শাকিব খান অভিনীত ‘প্রিয়তমা’ ও ‘রাজকুমার’ ছবির প্রয়োজক আরশাদ আদনানের বক্তব্যেই মিলেছে বিয়ের বিষয়টি।

একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাতকারে শাকিব খানের বিয়ের প্রসঙ্গে কথা বলেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থাপকের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই প্রয়োজক বলেন, ‘বিয়ে নিয়ে শাকিবের মন্তব্য না অসা পর্যন্ত আমি কিছু বলতে চাইছি না। তবে শাকিব বিয়ে করছেন কি না, এটি আমি জানি।আগে শাকিব এ বিষয়ে নিজের স্টেটমেন্টস দিবে, তারপরই অমি বলবো।’

এরপরই উপস্থাপকের প্রশ্ন ছিলো তাহলে কী শাকিবের জীবনে স্থিতিশীলতা আসছে? এমন প্রশ্নের জবাবে আরশাদ অদনান বলেন,  ‘শাকিবের জীবনে স্থিতিশীলতা আসবে। সেটা এ বছরই আসবে। আমিও দায়িত্ব নিয়েছি। শাকিবিয়ানদের উদ্দেশ্যে বলতে পারি, নায়কের জীবনে এ বছরই স্থিতিশীলতা আসছে।’

শনিবার (২৭ এপ্রিল) হঠাৎ করেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে এক ডাক্তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের কথাবার্তা এগোচ্ছে শাকিবের। ওই সময় গুঞ্জণ ওঠে, তৃতীয় বিয়ের কারণেই নাকি শাকিব খানের বাসায়অপু বিশ্বাস ও বুবলীকে প্রবেশ বন্ধ। এ অবস্থায় বেশ কয়েকদিন চুপ ছিলেন নায়িকা অপু বিশ্বাস।

Advertisement

তবে নিরবতা ভেঙ্গে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ইস্যুগুলো নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে এক অনুষ্ঠানে খোলামেলা কথা বলেছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। সেখানে উপস্থাপকের এক প্রশ্নের  জবাবে অপু জানান, অনেকটা বিরক্ত হয়েই শাকিবের পরিবার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ওই অনুষ্ঠানে শাকিবের বাড়িতে যাতায়াত বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন উপস্থাপক। এর জবাবে ঢালিউডের এই নায়িকা বুবলীকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘মানুষ যখন অতিরিক্ত কিছু করে ফেলেন, তখন একজনের দোষ অন্যজনের কাঁধে চলে আসে। বিষয়টা ঠিক এরকমই হয়েছে। বিরক্ত হয়েই শাকিবের পরিবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

এ সময় অভিনেত্রী বুবলীর কাণ্ডকীর্তি তুলে ধরে অপু বিশ্বাস আরও বলেন, ‘আমি শাকিবের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম পার করি; আমাদের বাচ্চা অনেক সময় সেই সুযোগ করে দেয়। এরপর কৌশলে শাকিবের সঙ্গে ছবি তুলে এনে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে সম্পর্ক টিকে আছে, প্রমাণ করতে চায়- সেসবে অবশ্যই শাকিব ও শাকিবের পরিবার বিরক্ত হবেনই।’

শাকিব খানের বিয়ে প্রসঙ্গে চিত্রনায়িকা অপু বলেন, ‘যাদের বিষয়ে কথা হচ্ছে, তারা সবাই অ্যাডাল্ট। প্রত্যেকেরই নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে। ভালো লাগা আছে। তবে আমার আচরণে শাকিবের পরিবার এমন সিদ্ধান্ত নেবে, এটা বিশ্বাস করি না। শাকিবকে নিয়ে অন্য একজনের (বুবলী) কথাবার্তা কেমন, তা এখন সবার জানা। তার কারণে শাকিবের পরিবার বিরক্ত হতে পারে।

এমআর

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত