Connect with us

রাজশাহী

মেয়েদের ছবি নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা চক্রের ৪ সদস্য আটক

Avatar of author

Published

on

ব্ল্যাকমেইল

স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের আইডি থেকে ছবি সংগ্রহ করে সেগুলো অশ্লীলভাবে এডিট করে ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা অংঙ্কের টাকাসহ বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেইল করতেন- এমন একটি চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পাবনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় তাদের কাছে থেকে এই কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার ও বেশ কয়েকটি মোবাইল সেট উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের অডিটরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পাবনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) জিয়াউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ডি,এম, হাসিবুল বেনজীর, সহকারী পুলিশ সুপার (এসএএফ) আরজুমা আকতার, পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) রওশন আলী ও পাবনা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি মো. এমরান হোসেন তুহিন।

Advertisement

রাজশাহী

রাজশাহীর কোন আম কবে বাজারে আসবে জানালেন জেলা প্রশাসক

Published

on

আগামী ১৫ মে থেকে রাজশাহীর বাজারে উঠবে গুটি আম। এরপরে ২৫ মে থেকে গোপালভোগ ও রানিপছন্দ পর্যায়ক্রমে আম পাড়া ও বিক্রি নিয়ে এক টানা চারমাসের বিশাল কর্মযজ্ঞ চলবে জেলায়।

রোববার (১২ মে) বেলা ১২টার দিকে আম বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এ তথ্য জানান রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।

জেলা প্রশাসক জানান, পর্যায়ক্রমে ৩০ মে থেকে খিরসাপাতি, ২৫ মে থেকে লক্ষণভোগ, ১০ জুন থেকে ল্যাংড়া ও ব্যানানা আম, ১৫ জুন থেকে আম্রপালি ও ফজলি, ০৫ জুলাই থেকে বারি আম ৪, ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা, ১৫ জুলাই থেকে গৌড়মতি আর ২০ আগস্ট থেকে পরিপক্ক ইলামতি আমি নামানো যাবে। এ ছাড়া কাটিমন ও বারি আম-১১ সারা বছর সংগ্রহ করা যাবে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) মোছা. সাবিনা বেগম জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজশাহী জেলায় আমের সম্ভাব্য উৎপাদন ২ লাখ ৬০ হাজার ৩১৫ মেট্রিকটন। এ বছর আমের আবাদ হয়েছে ১৯ হাজার ৬০২ হেক্টর জমিতে। যার গড় ফলন ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ২৮ মেট্রিকটন।

বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা জানান, জেলা প্রশাসকের এমন সিদ্ধান্তের কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করার সুযোগ পাবে না। তবে চলতি মৌসুমি আমের উৎপাদন কম হওয়ায় দাম কিছুটা চড়া থাকতে পারে।

Advertisement

আই/এ

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

জিনের বাদশা চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

Published

on

জিনের-বাদশা-চক্র

জিনের বাদশা চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ৬টি সোনালি রঙের মূর্তি উদ্ধার করা হয়। শনিবার (১১ মে) ভোরে তাদেরকে সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ঠাকুগাঁও জেলার জগন্নাথপুর বানিয়াপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. শফিউল আলম ও তার স্ত্রী মোছা. ফাতেমা খাতুন, দিনাজপুরের বীরগঞ্জ থানার টেরীপাড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেন, পাবনা আমিনপুর থানার সৈয়দপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের সাহেব আলী শেখের ছেলে মজিবর রহমান ও বন্দের আলী সরদারের ছেলে আকাশ সরদার।

শনিবার (১১ মে) বিকেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়গঞ্জ সার্কেল বিনয় কুমার ও সলঙ্গা থানার ওসি এনামুল হক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সলঙ্গা থানা পুলিশের একটি আভিযানিক দল হাটিকুমরুল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছিল।

এ সময় উত্তরবঙ্গ থেকে আসা একটি বাসে ৫ জন যাত্রীবেশী প্রতারক হাটিকুমরুল গোলচত্বরে নেমে পাবনা যাওয়ার উদ্দেশ্যে সিএনজিতে ওঠে। সে সময় তাদের কাছে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে ৬টি সোনালি রঙের মূর্তি ও বিভিন্ন ধরনের আয়ুর্বেদিক ওষুধ উদ্ধারসহ তাদের গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, আসামিরা জিনের বাদশা প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা গ্রামগঞ্জের সহজ সর‌ল লোকদের গুপ্তধন পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে থাকে।

Advertisement

অনুমানিক ১০ দিন পূর্বে প্রতারক চক্রের সদস্যরা পাবনার আমিনপুর থানার ভাটিকয়া গ্রামে মো. রেজাউল হকের বাড়ির পাশে মাটির নিচ থেকে একটি পিতলের পাতিল উদ্ধার করে তাতে স্বর্ণ মুদ্রা রয়েছে উল্লেখ করে রেজাউলের বাবার হাতে দেয়। কিন্তু পূর্ব থেকেই পাতিলে রাসায়নিক পদার্থ থাকায় উত্তপ্ত পাতিল হাতে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেজাউলের বাবার হাত পুড়ে যায়। সেই সময় প্রতারক চক্রের সদস্যারা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জানায় যে, গুপ্তধন এখনো কাঁচা রয়েছে, জাদু মন্ত্র দিয়ে পাকা করতে হবে। প্রতারকরা রেজাউল ইসলামকে পাতিলটিতে পানি দিয়ে ঠান্ডা করে পুঁতে রাখতে বলে। পাকা করার পর গুপ্তধন ব্যবহার উপযোগী হবে।

এছাড়া প্রতারকরা আরও জানায় যে, তাদের বাড়িতে আরও গুপ্তধন রয়েছে, এগুলো জিনের মাধ্যমে উদ্ধার করতে হবে। গুপ্তধনে ১৮টি স্বর্ণমুদ্রা রয়েছে যার অনুমানিক মূল্য ৩৬ লাখ টাকা। আপনারা যদি আমাকে ৫ লাখ টাকা দিয়ে দেন তাহলে আমি উদ্ধার করে দিব। কিন্তু সহজ সরল রেজাউল ইসলাম প্রতারকদের প্রতারণা বুঝতে না পেরে তাদের নগদ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে কথিত গুপ্তধনের পাতিলটি নিজেদের কাছে রাখে এবং ১০ দিন পরে ওই কাঁচা গুপ্ত ধন পাকা করাসহ আরও গুপ্তধন উদ্ধারের জন্য ৫০ হাজার টাকা চুক্তিতে আসতে বলে।

প্রতারক চক্র সেদিন রেজাউলের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়। পরবর্তী আরও বাকি ৫০ হাজার টাকা নেওয়ার জন্য ১১ মে প্রতারণার উদ্দেশ্যে পাবনা আমিনপুর যাওয়ার পথে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ব্যাপারে সলঙ্গা থানায় প্রতারক চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

 

Advertisement

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

পামেকে ছাত্রলীগের হামলা, বঙ্গবন্ধুর ছবি ছেঁড়ার অভিযোগ

Published

on

ছাত্রলীগের হামলা

পাবনা মেডিকেল কলেজে হল ত্যাগে বাধ্য করতে শিক্ষার্থীর উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। হামলার সময় ওই শিক্ষার্থীর রুমে থাকা বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিঁড়ে ফেলারও অভিযোগ রয়েছে। গেলো ৯ মে রাত দেড়টার দিকে কলেজের ছাত্রদের জন্য প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু হলের গ্রাউন্ড ফ্লোরের একটি কক্ষে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

হল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের একটি সূত্র জানায়, ২০২৩-২৪ সেশনের নতুন শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট কাটাতে গেলো ৮ মে শিক্ষার্থীদের একটি নোটিশ দেয় হল কর্তৃপক্ষ। এতে পাবনার স্থানীয় শিক্ষার্থীদের সাময়িকভাবে হল ছেড়ে নিজ বাসা থেকে কলেজে যাতায়াত করতে বলা হয়। একই সঙ্গে হল সুপারদের জন্য বরাদ্দকৃত রুমগুলোতে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের রুম ছেড়ে নির্দেশিত অন্যান্য রুমে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। হল সুপারদের জন্য নির্ধারিত তিনটি রুমের একটিতে থাকেন ৫ম বর্ষের ছাত্র কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল কুমার দাশ ও অন্য দু’টি রুমে ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের দু’জন অনুসারী থাকেন।

রাহুল কুমার দাশের অভিযোগ, গেলো ৯ মে রাত দেড়টার দিকে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক অভিতোষ চক্রবর্তী ও সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিন্নবী তাহার নেতৃত্বে ৩০/৪০ জনের একটি দল রাহুল কুমার দাশের রুমে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং রাহুলকে রুম থেকে বের করে দিতে চায়। এরপর রুমে হামলা চালিয়ে বেড ছুঁড়ে ফেলে, টেবিল ও রুমে থাকা অন্যান্য সরঞ্জাম ভাঙচুর করে এবং বই খাতার পাশাপাশি রুমে টাঙানো বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিঁড়ে ফেলে। এ সময় ভাঙচুরের শব্দে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এসে তাদের বাধা দিতে গেলে রাহুলসহ তাদের মারধর করে।

এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী রাহুল কুমার দাশ বলেন, পরীক্ষা থাকায় আমি সেদিন রুম পরিবর্তন করতে পারিনি। বিষয়টি হল কর্তৃপক্ষের ব্যাপার। অথচ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদ আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আল আমিন আল তামিমের নির্দেষে অভিতোষ ও তাহার নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়েছে।

ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিলেও এ সময় বঙ্গবন্ধুর ছবি ছেঁড়ার মত ঘৃণিত কাজও করেছে তারা। ছাত্রলীগের নেতা হয়ে আমার যদি নিরাপত্তা না থাকে, তবে এদের কাছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কিভাবে নিরাপদ?

Advertisement

তিনি বলেন, শুক্রবার কলেজ বন্ধ থাকায় লিখিত অভিযোগ দিতে পারিনি। কলেজ খুললে কলেজ প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিবো। তবে হল সুপার ও প্রিন্সিপাল স্যারকে খুদেবার্তায় বিষয়টি জানিয়েছি। আমি এর বিচার চাই, একইসাথে হল ও ক্যাম্পাসে সকল শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা চাই।

প্রত্যক্ষদর্শী ৫ম বর্ষের শিক্ষার্থী হামিম, তানভীর ও তনিম বলেন, মধ্যরাতে ভাঙচুরের শব্দ শুনে এগিয়ে গেলে দেখি অভিতোষ ও নাহিন্নবী তাহাসহ ৩০-৪০ জন রাহুলের রুমে ভাঙচুর করছে এবং টেনে রাহুলকে রুম থেকে বের করে দিচ্ছে। বের না হতে চাইলে ওকে মারধর করছে। আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদের কয়েকজনের গায়েও হাত তুলেছে তারা। মধ্যরাতে ছাত্র হলে এমন হামলার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। কলেজ প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি এ হামলার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হোক।

হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে পাবনা মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক অভিতোষ চক্রবর্তীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সরাসরি দেখা না করে কথা বলতে চান না বলে ফোন রেখে দেন।

এ ব্যাপারে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদ আহমেদ বলেন, এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ওরা ব্যাচমেট (অভিতোষ ও রাহুল), যতটুকু জেনেছি একে অপরের সাথে জাস্ট কথা কাটাকাটি হইছে। হামলা, ভাঙচুর বা মারধরের মত কিছু ঘটেনি। এ ঘটনায় আমাদের সংশ্লিষ্টতাও নেই। তবে উভয় পক্ষই যেহেতু আমাদের সংগঠনের তাই কলেজ প্রশাসন ও সিনিয়র নেতাদের মাধ্যমে বিষয়টির সুরাহা করা হবে।

পাবনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. উবায়দুল্লাহ ইবনে আলী জানান, নতুন শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনে আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কাউকে হল বা রুম থেকে বের করে দিতে কোনো শিক্ষার্থী বা ছাত্রনেতাদের দায়িত্ব দেয়া হয়নি। হল সংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধানে হল সুপাররা রয়েছেন। এখানে অন্য কারোর হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজে এক শিক্ষার্থী বিষয়টি জানিয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত