পাকিস্তানের কাশ্মীরসহ বিভিন্ন এলাকায় ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

কাশ্মীরসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার পর দুই দেশের চলমান উত্তেজনার মধ্যে বুধবার প্রথম প্রহরে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী এ হামলা চালালো। এতে এখন পর্যন্ত তিনজন নিহত হয়েছেন বলে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন জানিয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১২ জনেরও বেশি।
পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, কোটলি, ভাওয়ালপুর ও মুজাফ্ফরাবাদে ‘কাপুরুষোচিত’ এ হামলা চালিয়েছে ভারত।
এদিকে, ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতের সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিন্দুর’ শুরু করেছে। এর আওতায় পাকিস্তান ও পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের নয়টি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। ভারত সরকার বুধবার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
তবে পাকিস্তানের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর কোনো স্থাপনাকে নিশানা করা হয়নি।
এর আগে, ১৯৭১ সালের পর প্রথমবারের মতো ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে নিরাপত্তা মহড়া চালানোর নির্দেশ দেয় দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। ভারত শাসিত কাশ্মীরের পেহেলহামে হামলার ঘটনায় ভারত পাকিস্তান চলমান উত্তেজনার মাঝে এমন নির্দেশ দেয় ভারত সরকার।
সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে সর্বশেষ এমন মহড়া হয়েছিল ১৯৭১ সালে। সেই সময় ভারত ও পাকিস্তান দুই ফ্রন্টে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল। তখন ভারতজুড়ে সতর্কতা জারি ছিল।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুলিশ-প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে যে, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি তৈরি হলে জনসাধারনের কী করণীয় সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
যেসব প্রস্তুতির কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে, বিমান হামলার সতর্কতা সাইরেন বাজলে কী করণীয়, বেসামরিক নাগরিক ও শিক্ষার্থীদের আত্মরক্ষামূলক প্রশিক্ষণ, হঠাৎ ব্ল্যাক আউট হলে কিংবা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে স্থানান্তরিত হওয়ার প্রয়োজন পড়লে কী করণীয়।নিরাপত্তা মহড়া প্রস্তুতির মধ্যেই পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো।
এমআর//