আর্কাইভ থেকে আন্তর্জাতিক

ক্যাপিটল হিল দাঙ্গায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে গত বছরের ৬ জানুয়ারি হামলার ঘটনা তদন্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন কংগ্রেস প্যানেল। হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস সিলেক্ট কমিটির গেলো বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জনগণের ইচ্ছাকে ব্যর্থ ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে বহু ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনটিতে আটটি অধ্যায় রয়েছে। ৮৪৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে পাওয়া বিভিন্ন ফল ও সাক্ষাৎকারে আইনি সুপারিশ উঠে এসেছে। কংগ্রেসের এই তদন্ত কমিটি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগের সুপারিশ করার মাত্র তিন দিন পর প্রতিবেদনটি সামনে আসে।

তবে কংগ্রেসের এই প্যানেল আগামী ৩ জানুয়ারি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। কারণ, ওই সময় প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ চলে যাচ্ছে রিপাবলিকানদের হাতে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টি।

গত বছরের জুলাই মাসে এই কংগ্রেস প্যানেল গঠনের পর থেকে ১ হাজার সাক্ষাৎকার, ১০টি শুনানিসহ ১০ লাখের বেশি নথি সংগ্রহ করে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের আগে এ সপ্তাহের শুরুতে এর সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়। তাতে ১৭টি সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার কথা বলা হয়।

এতে ট্রাম্প ও তার সহযোগীদের আইনি কর্মকাণ্ডের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া এই প্রতিবেদনে চারটি অপরাধে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

প্যানেল তার প্রতিবেদনের ১৬০ পৃষ্ঠার সারসংক্ষেপে বলেছিল, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতাকে সম্মান দেখাননি। আইন যথাযথভাবে পালনের পরিবর্তে তিনি নির্বাচনের ফল পাল্টে দেয়ার ষড়যন্ত্র করেছিলেন।

এদিকে কংগ্রেস কমিটির প্রতিবেদন প্রসঙ্গে ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বলেন, এটা ‘অত্যন্ত পক্ষপাতমূলক’। একে ‘উইচ হান্ট’ হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি।

ট্রাম্প বলেন, ৬ জানুয়ারির যে বিক্ষোভ, সেই নির্বাচনী কারচুপির কারণ অনুসন্ধানে ব্যর্থ হয়েছে এটি।

ডেমোক্রেটিক নেতৃত্বাধীন এই প্যানেলের সুপারিশ বিচার বিভাগ মানতে বাধ্য নয়। কিন্তু এই প্রথমবার কোনো কংগ্রেস কমিটি সাবেক কোনো প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার সুপারিশ করেছে। গত মাসে ট্রাম্প আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন