রাজধানীর গুলশানে আগুনের ঘটনায় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের প্রথমে ৬টি, পরে ৭টি, আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পরে আরও ৬টি ইউনিট কাজ করছে।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।
ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন বলেন, প্রথমে ৬টি, পরে ৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। কিন্তু আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পরে আরো ৬টি ইউনিট কাজে যোগ দেয়। বর্তমানে ১৩টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, ৭ টার দিকে আগুন লাগে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন জানান, রাজধানীর গুলশান-২ নম্বর এলাকার মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পাশের একটি ভবনে সন্ধ্যা ৬টা ৫৯ মিনিটে আগুন লাগে। প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট, পরে আরও তিনটি ইউনিট যোগ দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভবনটি আবাসিক। ভেতরে প্রচুর ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। আমাদের হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী সেখানে ৫/৬ জন আটকা পড়েছেন।
ডিউটি অফিসার খালেদা বলেন, গুলশানের আবাসিক ভবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট কাজ করছে। এছাড়া ঘটনাস্থলের পাশে একাধিক অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে রয়েছে।
ভবনটিতে বসবাসকারীরা বলছেন, আগুন লাগার পর অনেকেই ভবনের ভেতরে আটকা পড়েন। তারা বের হতে পারেননি। তবে ভবনটিতে আটকে পড়া মানুষের সঠিক হিসাব জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। আগুন লাগার পর থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ভবনটিতে আটকে পড়া চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
মনির নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা গণমাধ্যমে জানান, তার তিনজন আত্মীয় ভবনটির ১১তলায় আটকে আছেন। ভেতরে আগুন ও ধোঁয়ার কারণে তারা বের হতে পারছেন না।