বাঙালিকে শেষ করে দিতে বার বার আঘাত এসেছে। দেশের সব ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্ঠা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগই প্রথম ২১ শে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ভাষার জন্য যারা রক্ত দিয়েছেন তাদের আত্মদান বৃথা যায়নি। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মাতৃভাষা দিবসের এক সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ১০ ডিসেম্বর নিয়ে বিএনপি হম্বিতম্বি করেছে, বাধা দেয়নি সরকার। দলাদলি করে কারও ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ নেই। মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ। দানবের হাতে দেশকে তুলে দেওয়া যাবে না। ধ্বংসস্তূপ থেকে দেশকে টেনে তুলেছে আওয়ামী লীগ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর সকল অবদান মুছে ফেলতে নানা চক্রান্ত হয়েছে। অনেক জায়গায় জাতীর পিতার নামও পাওয়া যায় না। আমি সেগুলো আবার সামনে আসার চেষ্টা করেছি। বাঙালীকে শেষ করে দেয়ার এই চক্রান্ত শুধু পাকিস্তান সরকারই করেনি।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে শহীদ দিবসের ঘোষণা দেয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৫৬ সালে শহীদ দিবস ঘোষণা করে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার। জগন্নাথ হলের ওখানে প্রাদেশিক পরিষদ ছিলো। যেখানে ২১ ফেব্রুয়ারির বাজেট সেশন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ছাত্ররা সেখানে যেতে চাইলে পাকিস্তানী সেনারা গুলি চালায়। সেখানে শহীদ মিনার নির্মিত হলে সেটা পাকিস্তানিরা ভেঙে ফেলে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকুক আর বাইরে থাকুক, সবসময়েই তিনি মানুষের অধিকারের বিষয়ে কথা বলে গেছেন। তিনিই প্রথম বলেছিলেন এটা শুধু ভাষার জন্য সংগ্রাম নয়, এটা জাতীর মুক্তির সংগ্রাম। কারণ মাতৃভাষায় শিক্ষা নিলে মানুষ যেটা শিখতে পারে, অন্য ভাষায় সেটা সম্ভব নয়।