লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন সরকারী হাসপাতালে র্যাপিড এন্টিজেন কিট সংকট থাকায় গত ৩ দিন ধরে করোনা নমুনা এন্টিজেন কিট দিয়ে সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছেনা। ফলে ব্যাহত হচ্ছে করোনা দ্রুত নির্ণয়ের কাজ। পিপিআর ল্যাব না থাকায় জেলা থেকে সংগ্রহ করা নমুনা গুলো নোয়াখালী পাঠানোও হলেও রেজাল্ট আসতে ৪-৫ পর্যন্ত লেগে যায়।
স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বিষয়টি স্বীকার করে জানান লোকবল সংকটের মধ্য দিয়ে প্রতিদিন সরকারী হাসপাতাল গুলোতে ২০০-৩০০ লোক নমুনা দিতে আসে। প্রতিদিন ১০০-১২০ জনের নমুনা সংগ্রহ করতে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত সময় লেগে যায় হাসপাতালের কর্মচারীদের। পরে নমুনা গুলো পিসিআর ল্যাবে প্রেরণের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহে পুরো দিন কেটে যায় তাদের।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের (ল্যাব) ইনচার্জ শরীফ মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, করোনা নমুনা দিতে আসা লোকের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সদর উপজেলার ২১ টি ইউনিয়ন থেকে প্রতিদিন ২০০-৩০০ মানুষ একমাত্র সদর হাসপাতালে নমুনা দিতে আসেন। সবার নমুনা নেওয়া সম্ভব হয়না। আমরা ১০০-১২০ জনের নমুনা নিতে বিকেল পর্যন্ত সময় লেগে যায়।
করোনা নমুনা সংগ্রহ পাশাপাশি হাসপাতালে আগত আডটডোর, ভর্তিকৃত রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা আমাদের করতে হয়। জরুরী ভিত্তিতে নমুনা সংগ্রহ জন্য অতিরিক্ত লোকবল নিয়োগ করা প্রয়োজন।
লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা: আবদুল গফফার বলেন, বর্তমানে করোনা বুথ বাড়ানো সম্ভব নয়। কারণ বুথের সাথে অতিরিক্ত লোকবলসহ প্রয়োজনীয় স্থান প্রয়োজন। বর্তমানে যে প্রদ্ধতিতে নমুনা নেওয়া হচ্ছে সেই ভাবে নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, লোকবল সংকট বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এন্টিজের কিট সংকট বিষয়ে সদরসহ বিভিন্ন হাসপাতালে কিট সংকট রয়েছে। বিষয়টি আমরা জেনে দ্রুত কিট ব্যবস্থা করছি আশা করি ২-১ দিনের মধ্যে সমস্যা কেটে যাবে।
মুনিয়া