পশ্চিম তীরের হেবরন শহরের ঐতিহাসিক ইব্রাহিমি মসজিদে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল বাহিনী। স্থানীয় সময় শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে যাওয়া এক মুসুল্লিকে নির্দয়ভাবে মাটিতে ফেলে ক্রমাগত লাথি মারে ইহুদি সেনারা। তবে হঠাৎ এমন আক্রমণের কারণ জানা যায়নি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, তুর্কি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে ইব্রাহিমি মসজিদের পরিচালক শেখ হেফজি আবু স্নেইনা বলেছেন, শুক্রবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে ইব্রাহিমি মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে জড়ো হয়েছিল অসংখ্য ফিলিস্তিনি। মূলত মসজিদের একটি অংশে ইসরায়েলি সংস্কার প্রকল্পের বিরোধিতায় এ আহ্বান জানানো হয়েছিল।
গেল সোমবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, মসজিদটির আঙিনায় একটি রুট নির্মাণ প্রকল্প শুরু করেছে তারা। যা পার্কিং এলাকাটিকে মসজিদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করবে এবং একটি বৈদ্যুতিক লিফট স্থাপন করা হবে।
তবে একে পুরো মসজিদ ইহুদিদের দখলে নেওয়ার ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে ফিলিস্তিনি মুসলিমরা।
১৯৯৪ সালে ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের ওপর এক ইহুদি নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ২৯ জনকে হত্যা ও শতাধিক জনকে আহত করেছিল। এরপর মসজিদটিকে দুইটি অংশে ভাগ করে দেওয়া হয়। একটি মুসলিমদের জন্য, অন্যটি ইহুদিদের।
গেল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি দখলদারির প্রতিবাদে হেবরনের অন্য মসজিদগুলো বন্ধ রেখে সবাইকে ইব্রাহিমি মসজিদে জুমার নামাজ আদায়ের আহ্বান জানায় ফিলিস্তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয়। তবে সেখানে নামাজ পড়তে গিয়ে কয়েক দফায় ইসরায়েলি বাধার মুখে পড়ে মুসল্লিরা। মসজিদের প্রবেশপথেই লোহার বেড়া বসিয়ে তাদের লাইনে দাঁড় করিয়ে একজন একজন করে সবার পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে ইসরায়েলি বাহিনী। হঠাৎই মুসল্লিদের ওপর আক্রমণ শুরু করে তারা। তবে এতে কতজন হতাহত হয়েছে তা জানা যায়নি।
এসএন
