কাকতালীয় বলা যায়। ২০০৫, ২০১১ এবং ২০২১। তিন বছর পাকিস্তান ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছে। তিন সিরিজের ফল একই। ১-১ ড্র।
শুধু কি তাই? তিন সিরিজেই প্রথম ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছে। তারপর বৃষ্টি, ভেজা আউটফিল্ড আর আলোর স্বল্পতা তৈরি হয়েছে। এতসব বাধা পার হয়ে তিনবারই শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা এনেছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের শেষ দিনে দারুণভাবে এবারের সফরে ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে সফরকারীরা। কিংস্টনের ম্যাচে পাকিস্তান ১০৯ রানে জিতেছে। বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে শাহীন আফ্রিদি ম্যাচ সেরা তো বটেই, সিরিজ সেরা হয়েছেন। দুই ম্যাচের সিরিজে এ পাকিস্তানী পেসার ১৮ উইকেট নিয়েছেন।
শাহীন আফ্রিদি এ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেয়া আফ্রিদি শেষ ইনিংসে নিয়েছেন চার উইকেট।
শেষ দিনে পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৯ উইকেটের। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার ছিল ২৮০ রানের। পাকিস্তানের জন্য কাজটা কঠিন করে তুলেছিলেন আলজারি জোসেফ এবং ক্র্রেগ ব্রাথওয়েট। দ্বিতীয় উইকেটে অসাধারণ ব্যাটিং করে দলের সম্ভাবনা জিইয়ে রেখেছিলেন। বিশেষ করে অধিনায়ক ব্রাথওয়েট। ২৫০ মিনিট ব্যাট করেছেন। ৩৯ রান করেছেন, তবে খেলেছেন ১৪৭ বল।
অন্যদিকে জোসেফ ৩৫ বলে ১৭ রান। ব্রাথওয়েটের সঙ্গে যে প্রতিরোধ তিনি গড়েছিলেন তা ভাঙ্গতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস ভেঙ্গে পড়ে। জোসেফের উইকেটসহ শাহীন আফ্রিদি চার উইকেট নেন।
সিরিজটা ভালো যায়নি পাকিস্তান পেসার হাসান আলীর। এ ম্যাচে মাত্র দুটো উইকেট নিয়েছেন। চতুর্থ ইনিংসে পেয়েছেন উইকেট দুটো। তবে তার উইকেট দুটো ছিল গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনের সময়। এছাড়া নোমান আলী নিয়েছেন তিন উইকেট।
এএ