বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ ১৮টি দেশের নাগরিকের ওপর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে ওমান। তবে, ওমানে আগতদের দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদিত করোনাভাইরাসের টিকার উভয় ডোজ নিতে হবে এবং কিউআর কোডসহ ভ্যাকসিন সনদ বহন করতে হবে। আগামী পয়লা সেপ্টেম্বর রাত ১২টা থেকে কার্যকর হবে এই সিদ্ধান্ত।
করোনা প্রতিরোধে নিয়োজিত সুপ্রিম কমিটির নির্দেশনার ভিত্তিতে এই ঘোষণা দিয়েছে মেডিক্যাল রেসপন্স, পাবলিক হেলথ সেক্টর এবং রয়্যাল ওমান পুলিশের সমন্বয়ে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি।
ওমানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দীর্ঘ চার মাস বন্ধ থাকার পর এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলো। কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনার আগে যেভাবে ভ্রমণ করত সেভাবেই ১ সেপ্টেম্বর থেকে ভ্রমণ করতে পারবে ১৮টি দেশের যাত্রীরা।
ওমানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের উদ্বৃতি দিয়ে সৌদি গেজেটের খবরে বলা হয়েছে, অনুমোদিত এমন দুই ডোজ টিকা নেওয়া যাত্রীরাই শুধু ওমানে যেতে পারবে। সেখানে যাওয়ার সম্ভাব্য তারিখের অন্তত ১৪ দিন আগে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে।
তবে কোন কোন টিকাকে অনুমোদন দেবে তার তালিকা প্রকাশ করবে ওমানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সেখানে আরও বলা হয়, যেসব যাত্রী করোনার নেগেটিভ সনদ নিয়ে যাবে তাদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না। দীর্ঘ দূরত্বের ফ্লাইটের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৯৬ ঘণ্টা এবং কম দূরত্বের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টা আগে করা করোনা পরীক্ষার সনদ নেওয়া হবে।
করোনা পরীক্ষার সনদ এবং টিকাদানের সনদে কিউআর কোড থাকতে হবে, যাতে সনদটি পরীক্ষা করে দেখা যায়। যদি কোনো যাত্রী করোনার নেগেটিভ সনদ ছাড়াই যায়, তাহলে সেখানে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে এবং নেগেটিভ ফলাফল না আসা পর্যন্ত বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
এর আগে, গেল ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত ওমানে বাংলাদেশি, ভারতীয় ও পাকিস্তানি নাগরিকদের প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়। একইসঙ্গে এসব রাষ্ট্রে ১৪ দিনের ভেতর ভ্রমণকারীদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত রয়েছে ওমানের নাগরিক, কূটনীতিবিদ, স্বাস্থ্যকর্মী ও তাদের পরিবার।
এসএন