বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় শরীরের বাইরে হৃদপিণ্ড নিয়ে জন্ম নেয়া শিশুটি মারা গেছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নিউ ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশুটি জন্মগ্রহণ করে।
৫ দিন বেঁচে থাকার পর সোমবার বিকেল ৪টায় ওই ক্লিনিকেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিশুটির বাবা রমেন জয়ধর। শিশুটি বড় মগড়া গ্রামের রমেন জয়ধর ও অপু রাণীর সন্তান।
শিশুটির বাবা জানান, জন্মের পরই তারা দেখতে পান নবজাতক কন্যার হৃদপিণ্ডটি শরীরের বাইরে। সঙ্গে সঙ্গে তারা চিকিৎসকের পরামর্শে মেয়েকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। সেখানকার চিকিৎসকরা শিশুটিকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। সেখানে ভর্তি করা হলে ডাক্তারের পরামর্শে শিশুটিকে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বারডেমের চিকিৎসকরা জানিয়েছিল, শিশুটিকে আইসিইউতে ভর্তিসহ অপারেশনের জন্য খরচ হবে প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা। কিন্তু পরিবারটির কাছে চিকিৎসার জন্য এত টাকা না থাকায় পুনরায় শিশুটিকে গতকাল রোববার ঢাকা থেকে বাড়িতে এনে নিউ ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানকার চিকিৎসক হিরন্ময় হালদার বলেন, হৃদপিণ্ডটি শিশুটির শরীরের ভেতরে স্থাপন করা সম্ভব ছিল। তবে এই চিকিৎসা ব্যয়বহুল। ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন ছিল। এজন্য দেশের বাইরে নেওয়া দরকার হতো। কিন্তু তা সম্ভব ছিল না ওই দম্পতির। অবশেষে নবজাতকটি মারা গেছে।