ঠকবাজি, ওজনে কম দেয়া, চুরি করা, আত্নসাত করা এবং অন্যের হক্ব নষ্ট করা কবিরা গুনাহ। মানুষ বিভিন্ন উপায়ে বিভিন্ন ছলচাতুরীর মাধ্যমে অন্যকে তার হক্ব থেকে বঞ্চিত করে থাকে। কোরআন এবং হাদিসে বারবার মানবজাতিকে হুশিয়ার করে দেয়া হয়েছে। প্রতারণা, অন্যায়, অবিচারের জন্য দুনিয়াতে নানা বিপর্যয় নেমে আসে এবং আখেরাতেও রয়েছে কঠিনতম শাস্তি।
ওজনে কম দেয়া একটি জঘন্যতম খেয়ানত ও কবিরা গুনাহ। এর ফলে আল্লাহ মানুষের ক্ষেতখামারে ফসলের উৎপাদন কমিয়ে দেন ও দুর্ভিক্ষ অবতীর্ণ করেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, তিনি আকাশকে করেছেন সমুন্নত এবং স্থাপন করেছেন দাঁড়িপাল্লা। যাতে তোমরা সীমা লঙ্ঘন না কর দাঁড়িপাল্লায়। তোমরা সঠিক ওজন কায়েম কর এবং ওজনে কম দিও না।(সূরা আর-রহমান, আয়াত : ৭-৯)।
ওজনে কম দেয়ার ব্যাপারে রাসুল (সা) বলেছেন, যখনই কোনো জনগোষ্ঠী মাপ ও ওজনে কম দেয়, তখনই তাদেরকে দুর্ভিক্ষ, খাদ্যদ্রব্যের ঘাটতি ও অত্যাচারী শাসকের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হয়।(বুখারি)।
প্রতারণার শাস্তি হচ্ছে জাহান্নামের ভয়াবহ আজাব। আমাদের সমাজে এমন অনেক লোক আছে যারা প্রতারণাকে স্মার্টনেস বলে মনে করেন। সরলতা এবং সততাকে বোকামি মনে করেন। অথচ হাশরের ময়দানে মহান আল্লাহ বান্দার প্রত্যেকটি কাজকর্মের হিসাব জানতে চাইবেন। মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সেদিন তার কৃত কর্মের সাক্ষী দিবে।
পাপ করলে তার শাস্তি ভোগ অবশ্যই করতে হবে। মহান আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর নির্দেশিত পথে চলার তৌফিক দান করুন।
আরও পড়ুন: ৮ হাফেজের গর্বিত পিতা ঢাকা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষের ইন্তেকাল
এস