আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

৭০ ফুট গভীরে আবর্জনা স্তুপে পাওয়া যায় সাদিয়ার মরদেহ

৭০ ফুট গভীরে আবর্জনা স্তুপে পাওয়া যায় সাদিয়ার মরদেহ

চট্টগ্রামের বাদমতলী এলাকা দিয়ে চশমা কিনে মামার সঙ্গে বাসায় ফিরছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিয়া। একপাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পা পিছলে পড়ে যান নালায়। প্রায় ৫ ঘণ্টা খোঁজার পর সড়ক থেকে ৭০ ফুট গভীরে সাদিয়ার মরদেহ মিলল আবর্জনার স্তুপে।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত ২টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী মেহেরীন মাহবুব সাদিয়ার (২০) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে একই দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাদমতলী এলাকায় নালায় পড়ে যান সাদিয়া।

মৃত সাদিয়া (২০) নগরীর হালিশহর থানার বড়পুল মইন্যা পাড়া শুক্কুর মেম্বারের বাড়ির বাসিন্দা। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল।

ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন বলেন, সড়কের নিচে একটা নালা, প্রায় ১০ ফুট প্রশস্ত। আবার এর ভেতরে আরেকটা নালা পাওয়া যায়, সেটাও ৮ থেকে ১০ ফুট প্রশস্ত। সম্ভবত ৫০ থেকে ৬০ বছর আগে সড়ক উঁচু করার সময় অপরিকল্পিতভাবে সেই নালা রেখেই আরেকটি নালা করা হয়। আগের সেই নালা ময়লা-আবর্জনায় পরিপূর্ণ। কমপক্ষে সেখানে প্রায় ৩ টন আবর্জনা জমে আছে। অনেক চেষ্টা করেও ডুবুরি সেখানে যেতে পারেনি। সেটা আবার টার্ন নিয়েছে কর্ণফুলী নদীর দিকে দক্ষিণে।

পরে দুই ক্রেন মিলে সেই নালার স্ল্যাব উঠিয়ে এক টনের মতো আবর্জনা-মাটি অপসারণ করে ফায়ার কর্মীরা। সেই নালার (কমপক্ষে সড়ক থেকে ৭০ ফুট গভীর) আবর্জনায় আটকে ছিল সাদিয়া। নিখোঁজ হওয়ার স্থান থেকে ৩০ গজ দূরে ওই নালা থেকে নিহত ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে নগরের ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদ রানা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিয়া নালায় পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারের জন্য মামা লাফ দেন। কিন্তু ব্যর্থ হন। পরে নালার বিভিন্ন অংশে খোঁজাখুঁজি করেন ডুবুরি দলের সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

তিনি আরও জানান, ডুবুরি টিম প্রথমে নালায় নেমে তল্লাশি করে। কিন্তু সাদিয়াকে পাওয়া যায়নি। পরে ক্রেন নিয়ে যাওয়া হয়। ক্রেন দিয়ে আবর্জনা অপসারণ শুরু হয়। একপর্যায়ে সিটি করপোরেশনের আরেকটি ক্রেনও ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজে যোগ দেয়। ততক্ষণে ওই সড়ক এবং আশপাশের এলাকায় কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়ে যায়। ফায়ার কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় তরুণরাও আবর্জনা অপসারণে যোগ দেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ৭০ | ফুট | গভীরে | আবর্জনা | স্তুপে | যায় | সাদিয়ার | মরদেহ