কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) পাহাড়ে ফের আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।
আজ বুধবার (১ মার্চ) শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের পশ্চিম পাশের পাহাড়ে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হলের ময়লা ফেলার স্থান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এই সময় আগুনে পাহাড়ের বেশকিছু অংশ পুড়ে গেছে।
বারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাহাড়ে আগুন লাগার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ওবাইদুল্লাহ খান জানান, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ পাহাড়গুলো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতীক। বারবার পাহাড়ে এই আগুন লাগার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। আশা করবো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পাহাড়ের বিষয়ে দায়িত্বশীল হবে এবং এসব ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে ব্যবস্থা নিবে।
দত্ত হলে প্রাধ্যক্ষ ড.মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনা শুনার সাথে সাথে আমি প্রশাসনকে অবহিত করি। বারবার আগুন ধরার বিষয়টি আসলে চিন্তার কারণ। কারণ আমাদের ছাত্রদের নিরাপত্তা বিষয়টি দেখতে হবে। আমরা বসে তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ভাষ্যমতে আগুন স্তুপ থেকে সৃষ্টি হয়েছে। বারবার আগুনের ধরার বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাহাড়ে মাঝেমধ্যে এগুলো হয়, আমরা তৎক্ষনাৎ পদক্ষেপ নিয়েছি। নিরাপত্তা বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন এটার সাথে নিরাপত্তার কোন সংযোগ নেই।
কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ ফায়ার স্টেশনের অফিসার মীর মোহাম্মদ মারুফ বলেন, ময়লার স্তূপ থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে। হতে পারে কেউ দুষ্টমির ছলে আগুন লাগিয়েছে। কিন্তু পাহাড়ের অর্ধেক অংশ জ্বলে গিয়েছে। আমরা খবর পেয়ে দ্রুত এসেছি। ততক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা রক্ষাসহ সবার প্রচেষ্টায় আগুন নেভানো হয়েছে।
এর আগেও গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় লালন চত্বরে আগুন দেখতে পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা। পাহাড়ে আগুন লেগে বিভিন্ন অংশের গাছপালা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দীর্ঘক্ষণ আগুন জ্বলে কালো বর্ণ ধারণ করেছে আাশপাশের গাছপালা।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে কুবির পাহাড়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ২০২০ সালের ১৪ মার্চ কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার পাশের পাহাড়ে আগুন লাগলে পরিচ্ছন্নতার জন্য আগুন দেওয়া হয়েছে দাবি করে কর্তৃপক্ষ। ২০২১ সালের ১৮ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পাশের একটি পাহাড়ে অঅগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তখন বহিরাগত মাদকসেবীদের দ্বারা এই অগ্নিকাণ্ড ঘটার ধারণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ২০২২ সালের অগ্নিকাণ্ডেও প্রশাসন একই কথা বলেছিল। তবে মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি কর্তৃপক্ষকে।