গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এককভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিশেষ একাডেমিক কাউন্সিল চায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) শিক্ষক সমিতির এক সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সমন্বিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি থেকে সরে এসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব পদ্ধতিতে এককভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করবে মর্মে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যেই আপনাকে (উপাচার্য) অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য একটি বিশেষ একাডেমিক কাউন্সিল ডাকবেন বলে আপনি বিগত ২৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় অবহিত করেছিলেন। তবে একাডেমিক কাউন্সিলের বিশেষ সভাটি ২ বার ( ২২ ফেব্রুয়ারি এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি) ঘোষণা করার পরেও তা স্থগিত করা হয়।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী আমন্ত্রিত মতবিনিময় সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ইতোপূর্বেকার গৃহীত সাধারণ সভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে উপস্থাপন করে। অদ্যকার জরুরী সাধারণ সভায় মন্ত্রীর কাছে হস্তান্তরিত লিখিত বক্তব্য এবং মন্ত্রী কর্তৃক গুচ্ছে থাকার আহবান সম্বলিত সকল বিষয় সাধারণ সভায় অবহিত করা হয়। কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের-৪০ ধারা সমুন্নত রাখা, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমানো, একাডেমিক এক্সিলেন্স এবং বঙ্গবন্ধু প্রতিশ্রুত বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে অদ্য ২ মার্চের জরুরী সাধারণ সভায়, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পূর্বের গৃহীত সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে সহকর্মীবৃন্দ অনড় থাকেন।
স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, ইতোমধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষিত হয়েছে এবং ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রামসহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এমতাবস্থায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির জরুরী সাধারণ সভায় আগামী ১২ মার্চের মধ্যে বিশেষ একাডেমিক কাউন্সিল সম্পন্ন করে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা আশাবাদী।