এক রাতেই মিশ্র অভিজ্ঞতা দুই জায়ান্ট ক্লাবের। ১০ জনের দল নিয়েও ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। অন্যদিকে, রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে কোনো রকমে ড্র করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। যদিও ব্লাঙ্কোসদের সামনে সুযোগ ছিল বার্সেলোনার সঙ্গে ব্যবধান আরও কমিয়ে নেয়ার। কিন্তু রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে ড্র করায় সেটি সম্ভব হলো না। অন্যদিকে, ক্যাম্প ন্যুয়ে জয়ের রাতে প্রতিদ্বন্দ্বীদের থেকে আরও ৯ পয়েন্ট এগিয়ে গেল বার্সেলোনা। আর তাতে লিগ টেবিলেও শীর্ষে অবস্থান সু-সংহত করেছে জাভি হান্দাদেজের দল।
পেনাল্টি মিস এবং লাল কার্ডের জোর ধাক্কার মতো একের পর এক আঘাত বার্সেলোনা শিবিরে। তাতে অবশ্য খেই হারায়নি কাতালান ক্লাবটি। ক্যাম্প ন্যুয়ে রোববার লা লিগার ম্যাচে অনেকটা সময় ১০ জন নিয়ে খেলেও ১-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। শুরুর দিকে একমাত্র গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গা রাফিনিয়া।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মাঠে হেরে ইউরোপা লিগ থেকে বিদায় নেয়ার পর সবশেষ লা লিগার ম্যাচে আলমেরিয়ার বিপক্ষেও হেরে বসে বার্সেলোনা। ওই ম্যাচের পর দলের পারফরম্যান্সকে ‘মৌসুমের সবচেয়ে বাজে’ বলেছিলেন ক্লাবটির কোচ জাভি। তবে সাম্প্রতিক সময়ের সব জড়তা কাটিয়ে ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে শুরুটা দারুণ করে বার্সেলোনা। ম্যাচের ১৫ তম মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা। বাঁ দিক থেকে বুসকেতস ক্রস বাড়ান ডি-বক্সে। দারুণ হেডে জালে বল পাঠান রাফিনিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই একের পর এক নাটক। ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে পেনাল্টি মিস করে বসেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড তোরেস। ভালেন্সিয়ার ডি-বক্সে ডিফেন্ডার উগো গিয়ামনের হাতে বল লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে স্পট কিকে লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি তোরেস। ম্যাচের ৫৯তম মিনিটে বড় ধাক্কাটা খায় বার্সেলোনা। প্রতি-আক্রমণে ওঠা ভালেন্সিয়ার ফরোয়ার্ড হুগো দুরোকে ফেলে দিয়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন ডিফেন্ডার রোনালদ আরাউহো।
ঘটনাবহুল ম্যাচটিতে শেষ পর্যন্ত ১-০ গোল ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা। এদিকে, লা লিগার ম্যাচে মুখোমুখি হয় রিয়াল মাদ্রিদ ও রিয়াল বেতিস। দুই দলের সামনে একাধিকবার গোল করার সুযোগ এলেও লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হয়েছে উভয়ই। ফলে ম্যাচটি গোল শূন্য ড্র নিয়েই শেষ হয়েছে।
যদিও ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারতো বেতিস। ম্যাচের ৯ মিনিটে বেতিস উইঙ্গার আয়োজ পেরেজের ডান পায়ের নেওয়া সেই শট জালের ঠিকানা খুঁজে পায়নি। এরপর ১২ তম মিনিটে ডি-বক্সের সামনে থেকে ফ্রি কিকের সুযোগ পেয়ে দারুণভাবে কাজে লাগান রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমা। গোল উৎসবও শুরু হয়ে যায় মাদ্রিদ শিবিরে। কিন্তু সব আনন্দ মাটি হয়ে যায় গোলের সংকেত না আসায়।
বেতিসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, বল গোলে ঢোকার আগে মাদ্রিদ ডিফেন্ডার রুডিগারের হাত ছুঁয়েছে। বিষয়টি পরিষ্কার হতে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সহায়তা নেয়া হয়। পরে দেখা যায় বলটি জার্মান ডিফেন্ডারের হাত ছুঁয়েই জালে জড়িয়েছে। তাতে বাতিল করা হয় গোলটি। শেষ পর্যন্ত জয়সূচক গোলের দেখা মেলেনি আর।
রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ২৪ ম্যাচ থেকে ৫৩ এবং বার্সেলোনার পয়েন্ট একই ম্যাচ থেকে ৬২। অন্যদিকে রিয়াল বেতিসের পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে সমান সংখ্যক ম্যাচ থেকে ৪১। ক্লাবটি রয়েছে টেবিলের পাঁচে।