গাইবান্ধায় মাদক মামলায় শাহনাজ বেগম নামে এক নারীর আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয়মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই মামলায় অপর আসামি রুবেল মিয়ার ৫ বছরের কারাদণ্ড, ৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও একমাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। মাইদুর রহমান নামে আরেক আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
আজ রোববার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বজরা কঞ্চিপাড়া গ্রামের আবদুর রহমানের মেয়ে শাহনাজ বেগম (৩৫) এবং গাইবান্ধা সদর উপজেলার হাসেম বাজার গ্রামের মফিজল হকের ছেলে রুবেল মিয়া (২৩)। খালাসপ্রাপ্ত আসামির নাম মাইদুল ইসলাম (৩৫)। তিনি গাইবান্ধা শহরের ফকিরপাড়ার বাবুল মিয়ার ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ফারুক আহম্মেদ বলেন, এই মামলায় মোট তিনজন আসামির মধ্যে শাহনাজ বেগমকে ৮০ গ্রাম হেরোইন রাখার দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ৪০০ পিস ইয়াবা রাখার দায়ে ওই নারীর ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও একমাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাইবান্ধা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ শহরের শনিমন্দির রোডে অভিযান চালায়। তারা শনিমন্দির রোডের হোটেল আর রহমানের সামনে থেকে শাহনাজ বেগম ও রুবেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ শাহনাজের কাছ থেকে ৮০ গ্রাম হেরোইন ও ৪০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং রুবেল মিয়ার কাছ থেকে ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা এসব মাদকদ্রব্য মাইদুর রহমানের কাছ থেকে কিনেছে বলে পুলিশকে জানায়। পরে উপ-পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এই মামলা দায়ের করা হয়।
আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আবু আলা সিদ্দিকুল ইসলাম এবং গৌতম কুমার চক্রবর্তী।