ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয় এবং কর বৃদ্ধির জন্য শ্রীলঙ্কায় চলছে ধর্মঘট। দেশের বন্দর, হাসপাতাল, স্কুল ও রেলওয়ের সরকারি কর্মচারীসহ ৪০টিরও বেশি শ্রমিক সংগঠনের হাজার হাজার কর্মী এই ধর্মঘটে অংশ নেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ধর্মঘটের কারণে গেলো বুধবার (১৫ মার্চ) বন্দরের হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালতের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। রেল যোগাযোগ মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত। ঋণ গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল না হলে ধর্মঘটসহ কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
অর্থনৈতিক অচলাবস্থায় থাকা শ্রীলঙ্কা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার শর্ত পূরণের জন্য বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার মধ্যে অতিরিক্ত কর আরোপ করা এবং সরকারি খরচ কমানো রয়েছে। এ নিয়ে শুরু থেকেই জনগণের তোপের মুখে ছিলেন প্রেসিডেন্ট রণিল বিক্রমাসিংহে।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকায় অনেক রোগী বাড়ি ফিরেছেন। ট্রেন চালকরাও ধর্মঘটে অংশ নেন এবং রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিমানবন্দরে কিছু আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের সময়সূচীও ব্যাহত হয়েছে।
রয়টার্স জানায়, ধর্মঘটে সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে বুধবার সকাল থেকে কলম্বোর রেলস্টেশন, বন্দর ও সরকারি অফিসসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়। কোথাও কোথাও হরতালকারীদের মিছিলে পুলিশ বাধা দেয়। তবে কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।