মারধর, চাঁদা দাবি ও হত্যার হুমকির অভিযোগে সাভার থানার ভাকুর্তা বিটের ইনচার্জ এসআই শাহ আলমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন রাফিয়া আক্তার তুলি নামে এক নারী।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাদী তাহমিদার আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- আওলাদ হোসেন খান, মো. আলাউদ্দিন, মনোয়ারা বেগম এবং তার দুই ছেলে আমান উল্লাহ ও জামাল হোসেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, রাফিয়া আক্তার তুলি এবং তার স্বামী আফজাল হোসেন সরকার নালিশি সম্পত্তিসহ ১৭৭ শতাংশ সম্পত্তি কেনেন। ওই সম্পত্তি দেখভালের জন্য নূরনবী আলী ও ইউনুছ আলী হাওলাদারকে তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত করেন তারা। গত ২৬ সেপ্টেম্বর আওলাদ হোসেন খানসহ অন্য আসামিরা তুলির বাড়ি ভাঙচুর করেন। এতে বাধা দিলে আসামিরা তত্ত্বাবধায়ক ইউনুছ আলী হাওলাদারকে মারধর করেন। এ ঘটনায় ইউনুছ আলী রাতেই সাভার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
পরবর্তীতে এ ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় এসআই শাহ আলমকে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে শাহ আলম ও দুজন কনস্টেবলের উপস্থিতিতে আওলাদ হোসেন ও আলাউদ্দিন তত্ত্বাবধায়কের স্ত্রীকে মারধর ও গালিগালাজ করেন। এরপর এসআই শাহ আলম ভিকটিমকে বলেন, ‘বাড়ির মালিক তুলিকে ৫ লাখ টাকা নিয়ে ভাকুর্তা বিট অফিসে দেখা করতে বলবি’।
পরে ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে তুলির পরিচিত জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তি ভাকুর্তা পুলিশ ফাঁড়িতে এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে গেলে এসআই শাহ আলম তাকে হাতকড়া পরিয়ে ফাঁড়িতে আটকে রাখেন। এরপর ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিকেল ৫টার দিকে তাকে ছেড়ে দেন। পরে চাঁদার ৫ লাখ টাকা না দেওয়ায় গত ৬ অক্টোবর এসআই শাহ আলম তত্ত্বাবধায়ককে ফোন করে হত্যার হুমকি দেন।