সমীকরণটা এমনিতেই বেশ কঠিন। প্রথম দুই ম্যাচে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরাজিত হওয়ায় সেমিতে যেতে হলে কেবল নিজেদের জিতলেই হবে না, তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে অন্যদের দিকেও। ২১০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয়ায় ভারতের দরকার ছিল অন্তত ৬০ রানে জয়। তাহলে রানরেটটা মাইনাস থেকে প্লাসে আসবে। যাতে করে শেষ দুই ম্যাচে নামিবিয়া এবং স্কটল্যান্ডের সঙ্গে আরও ভালো রানরেটে জিততে পারে। আপাতত প্রাথমিক লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে ভারতের। তারা ম্যাচ জিতেছে ৬৬ রানে। ফলে রানরেট দাঁড়িয়েছে ০.০৭৩ এ।
আবুধাবিতে বুধবার টস জিতে আগে ফিল্ডিং করে আফগানিস্তান। আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থ ভারতের উদ্বোধনী জুটি এদিন নিজেদের পুরনো ছন্দে ফেরে। দু’জনে গড়েন ১৪০ রানের বিশাল জুটি। ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৭ বলে ৭৪ রান করে কারিম জিনাতের বলে রোহিত আউট হলে এই জুটি ভাঙে। আরেক ওপেনার রাহুল গুলবাদিন নায়েবের বলে স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হন। তার আগে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৪৮ বলে ৬৯ রানের ইনিংস উপহার দেন। পরের দুই ব্যাটসম্যান ঋষভ পান্ত ও হার্দিক পান্ডিয়া ঝড় তুলেন রীতিমতো।
৩ ছক্কা আর ১ চারে ১৩ বলে ২৭ রান করেন পান্ত। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ১৩ বলে ৩৫ রান আসে পান্ডিয়ার ব্যাট থেকে। নির্ধারিত ২০ ওভার খেলে ২ উইকেট হারিয়ে ২১০ রান করে ভারত। ৪ ওভার বল করে ৩৬ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন রশিদ।
জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই কোণঠাসা ছিল আফগানিস্তান। ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ ৪ বল খেলে কোনো রান না করেই ফেরেন সাজঘরে। তার সঙ্গী হজরতউল্লাহ জাজাই ১৫ বলে করেন ১৩ রান। কেবল অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী আর করিম জিনাত ছাড়া বলার মতো সংগ্রহ কেউই করতে পারেননি।
২ চার ও ১ ছক্কায় ৩২ বলে ৩৫ রান করেন নবী। শেষদিকে ঝড় তুলেন করিম জিনাত। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২২ বলে ৪২ রান করেন তিনি। তবে তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রানের বেশি করতে পারেনি আফগানিস্তান।
এস
