আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

বিশ্বকাপ পরিসংখ্যানে নখদন্তহীন এক দল বাংলাদেশ

বিশ্বকাপ পরিসংখ্যানে নখদন্তহীন এক দল বাংলাদেশ

অনন্ত দুঃস্বপ্নের সাক্ষী বাংলাদেশের এবারের বিশ্বকাপ। ব্যাটে, বলে কিংবা ফিল্ডিংয়ে যাচ্ছে তাই অবস্থা। পুরো বিশ্বকাপে লিটন-সৌম্য মিলে যা রান করেছেন তারচেয়ে বেশি করেছেন জস বাটলার একা। ছয় ব্যাটসম্যান প্রথম বলেই ফিরেছেন কোনও রান না করে। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের সেরা পারফরম্যান্স শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪১ রান। ওপেনিং জুটিতে সেরা ৪০, সেটাও লঙ্কানদের বিপক্ষে। বিশ্বকাপ পরিসংখ্যানে ভঙ্গুর এক দল।

শুরুটা করা যাক ব্যাটারদের দিয়ে। প্রতিটা ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন ওপেনাররা। ওপেনিং জুটিতে নেই পঞ্চাশোর্ধ্ব রান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বনিম্ন ১ রান। লিটন দাস-নাঈম শেখরা অধারাবাহিক। প্রথম পর্বসহ দুই হাফসেঞ্চুরি নাঈমের। কিন্তু লিটন তাও পারেননি, সর্বোচ্চ ৪৪ রান। ব্যর্থতার তালিকায় সৌম্য সরকারকে রাখতেই হবে। ৪ ম্যাচে ২৭ রান। থাকবেন আফিফও। লিটন-সৌম্য মিলে করেছেন ১৬০ রান। 

নাঈমকে নিয়ে লিটন সুপার ‍টুয়েলভের পাঁচ ম্যাচে তুলেছেন ১০৮ রান। সেখানে এক ম্যাচ কম খেলে ২১৪ রান আসরের সর্বোচ্চ স্কোরার জস বাটলারের। পাওয়ার প্লেতে যাচ্ছে তাই পারফরম্যান্স। যা টি-টোয়েন্টির সঙ্গে একেবারেই বেমানান। সর্বোচ্চ ৪১ রান এসেছে লঙ্কানদের বিপক্ষে। শূন্যরানে ফেরার মিছিলে নাম লিখিয়েছেন ৯ ক্রিকেটার। যার মধ্যে গোল্ডেন ডাক ৬টি। সবগুলোই ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। 

সবচেয়ে বড় অস্ত্র ছিল যে স্পিনাররা, হতাশ করেছেন তারাও। প্রথম পর্বে ওমান, পাপুয়া নিউগিনি ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪ উইকেট নিলেও দ্বিতীয় পর্বে শেখ মেহেদী-সাকিব-নাসুমদের ঝুলিতে মাত্র ৯ উইকেট। তুরুপের তাস মোস্তাফিজ ছিলেন নখদন্তহীন, ৮ উইকেট নিলেও যার ৬টি প্রথম পর্বে। ২ উইকেট পেয়েছেন শুধুই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ক্যাচ মিসের মহড়াও চলেছে ধারাবাহিকভাবে। সুপার টুয়েলভে ৯ ক্যাচ ফেলেছেন ক্রিকেটাররা। 

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বিশ্বকাপ | পরিসংখ্যানে | নখদন্তহীন | এক | দল | বাংলাদেশ