আর্কাইভ থেকে ইসলাম

মাগফিরাতের দশক শুরু

মাগফিরাতের দশক শুরু
আজ শুরু হলো রমজানের দ্বিতীয় দশক মাগফিরাত। রমজানের তিন দশককে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট দ্বারা বিন্যাস করা হয়েছে। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজান। মাগফিরাত অর্থ মাফ বা মার্জনা, আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা ও গোনাহ থেকে নিষ্কৃতি লাভ। গোনাহ বা পাপ কাজে লিপ্ত হওয়া মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। মানুষ ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় এমন কাজে লিপ্ত হয়। এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। অস্বাভাবিক হলো গুনাহের উপর বছরের পর বছর অটল থাকা এবং আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা না করা। অনেকেই শয়তানের কুপ্ররোচনায় গোনাহ করে ফেলেন এবং গোনাহ থেকে মাগফিরাত লাভের জন্য সৃষ্টিকর্তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকেন। তাদের জন্য মাগফিরাত লাভের বিশেষ সুযোগ হলো আজ থেকে। আল্লাহ রমজানের দ্বিতীয় দশকে বান্দাদেরকে বেশি হারে ক্ষমা করে থাকেন। রমজানে মুসলিম বান্দাগণ অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করলে তিনি ক্ষমা করেন। আল্লাহ হলেন পরম ক্ষমাশীল। তিনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, হে আমার বান্দাগণ! তোমরা রাতদিন অপরাধ করে থাকো। আর আমিই সব অপরাধ ক্ষমা করি। সুতরাং তোমরা আমার কাছে মাগফিরাত প্রার্থনা করো, আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেব। সহিহ মুসলিম ৬৪৬ রমজান ইবাদতের মাস। এই মাসে আল্লাহ তায়ালার ইবাদতে মশগুল থেকে তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করলে তিনি অবশ্যই ক্ষমা করে দেবেন। রমজান মাসে সেহরি খাওয়ার জন্য ঘুম থেকে উঠতে হয়। এই সময়কে কাজে লাগানো চাই। সেহরির সময়টুকু ক্ষমা লাভের বিশেষ এক মুহূর্ত। এই মুহূর্তে আল্লাহ তায়ালা অপেক্ষায় থাকেন বান্দাকে ক্ষমা করার জন্য। বান্দার কাজ হলো ইবাদতের মাধ্যমে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আমাদের মর্যাদাবান প্রভু দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন, যে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেব। যে আমার নিকট কিছু প্রার্থনা করবে আমি তাকে তা দান করব। যে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। মিশকাত ১২২৩ আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজানের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দশকে মাগফেরাত ও নাজাতের উপযোগী করে গড়ে তোলার তাওফিক দান করুন। আমিন।  

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন মাগফিরাতের | দশক | শুরু