আর্কাইভ থেকে আন্তর্জাতিক

আল-আকসা মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর ইসরায়েলি পুলিশের হামলা

আল-আকসা মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর ইসরায়েলি পুলিশের হামলা
পবিত্র রমজান মাসে ইসলামের তৃতীয় পবিত্র মসজিদ আল-আকসায় নামাজরত মুসল্লিদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। বুধবার (৫ এপ্রিল) ভোরের ওই অভিযানে আহত হয়েছেন অনেক ফিলিস্তিনি। বুধবার (৫ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আলজাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেরুজালেমের পবিত্র আল আকসা মসজিদ ও এর প্রাঙ্গণে ইবাদতরত কয়েক ডজন মুসল্লির ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। এ সময় গ্যাস বোমা, সাউন্ড গ্রেনেড এবং ফাঁকা গুলি ছোড়ে ইহুদি পুলিশ সদস্যরা। এতে মসজিদের ভেতর নারী-শিশুরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। জোরপূর্বক তাড়িয়ে দেয়া হয় ইবাদতরত মুসল্লিদের। তবে ইসরায়েলি পুলিশের দাবি, আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ‘দাঙ্গার’ জবাব দিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়।
ইসরায়েলি পুলিশের হামলা
ইসরায়েলি পুলিশের হামলা
ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসরাইলি পুলিশের হামলায় সাত ফিলিস্তিনি রাবার-টিপড বুলেট এবং মারধরে আহত হয়েছেন। এতে আরও বলা হয়, ইসরাইলি বাহিনী চিকিৎসকদের মসজিদে পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে। ইসরায়েলি পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মুখোশধারী আন্দোলনকারীরা’ আতশবাজি, লাঠি এবং পাথর নিয়ে মসজিদের ভেতরে অবস্থান নেয়ায় তারা জোর করে মসজিদ কম্পাউন্ডে প্রবেশ করতে বাধ্য হয়েছিল। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘মসজিদ প্রাঙ্গণে পুলিশ প্রবেশ করার পর তাদের দিকে পাথর ছুড়ে মারা হয় এবং মসজিদের ভেতর থেকে আতশবাজি নিক্ষেপ করা হয়। এতে একজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।’ ফিলিস্তিনের অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে কয়েক মাস ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মাত্র কয়েকদিন আগে আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে এক ফিলিস্তিনি যুবককে দিনে-দুপুরে গুলি করে হত্যা করেছিল ইসরায়েলি পুলিশ। এদিকে, নামাজরত মুসল্লিদের ওপর চড়াও হওয়াকে অপরাধ আখ্যা দিয়েছে ফিলিস্তিন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন আলআকসা | মসজিদে | নামাজরত | মুসল্লিদের | ওপর | ইসরায়েলি | পুলিশের | হামলা