আর্কাইভ থেকে জাতীয়

ফায়ার সার্ভিসে হামলা-ভাঙচুর: তিন ব্যবসায়ী রিমান্ডে

ফায়ার সার্ভিসে হামলা-ভাঙচুর: তিন ব্যবসায়ী রিমান্ডে
বঙ্গবাজার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণের সময় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগের মামলায় তিন ব্যবসায়ীকে একদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। এই ব্যবসায়ীরা হলেন শওকত হোসেন (৫৫), ইদ্রিস (৩০) ও খলিল (৩৬)। আজ শুক্রবার (৭ এপ্রিল) তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তিনদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা বংশাল থানার এসআই সমীরন মণ্ডল। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাইনুল ইসলাম তাদের প্রত্যেকের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে শুক্রবার (৭ এপ্রিল) বংশাল থানায় বঙ্গবাজারে অগ্নিনির্বাপণের সময় হামলা ও ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শাহিন আলম। মামলার এজাহারে বলা হয়, ফায়ার সার্ভিসের সদরদপ্তরে হামলায় সরকারি সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। অতর্কিত এ হামলায় ভাঙচুর করা হয় ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন মডেলের ১৪টি গাড়ি, মেইন গেটের সেন্ট্রি পোস্ট, প্রশাসনিক ভবন ও সিনিয়র স্টেশন অফিসারের অফিস। হামলায় আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ ৩৯ লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ টাকা। শুধু তাই নয় হামলায় সিনিয়র কর্মকর্তাসহ আহত হন ফায়ার সার্ভিসের চার সদস্য। মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, ৪ এপ্রিল সকাল ৬টা ১০ মিনিটে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে অফিসার ও ফায়ার ফাইটারদের সঙ্গে নিয়ে গাড়ি, পাম্প এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদিসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করি। আগুনের ভয়াবহতা দেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী বিভিন্ন স্টেশনের ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিট, পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবক টিমের সহায়তায় আগুন নেভানোর কাজ চলছিল। এজাহারে আরও বলা হয়, বাধা দিলে তারা (উচ্ছৃঙ্খল জনতা) ফায়ার ফাইটার ইসলাম অন্তরকে লোহার রড দিয়ে ডান পায়ে আঘাত করে জখম করে। উপ-পরিচালক বাবুল চক্রবর্তীকে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠি দিয়ে তার মাথায় ও ডান হাতে সজোরে আঘাত করে গুরুতর জখম দুর্বৃত্তরা। চালক ইমন হোসেনকেও লাঠি দিয়ে পিঠে আঘাত করে জখম করা হয়। তারা সবাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। হামলার পুরো ঘটনা সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে রয়েছে উল্লেখ করে এজাহারে বলা হয়, অজ্ঞাতনামা ২৫০-৩০০ জন আসামি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের তথা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে হামলা ও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করে।  

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ফায়ার | সার্ভিসে | হামলাভাঙচুর | তিন | ব্যবসায়ী | রিমান্ডে