সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অনেকগুলো আইন তৈরি করেছে। মৌলিক জায়গাগুলোতে তারা সংবিধানকে পরিবর্তন করে সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা করেছে। বললেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (৯ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
নওগাঁয় সুলতানা জেসমিনকে হত্যার প্রতিবাদে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এর অপপ্রয়োগ করে নওগাঁয় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হেফাজতে সুলতানা জেসমিনকে হত্যার দায় সম্পূর্ণ সরকারকে নিতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭২ সালে আমাদের যে সংবিধান তৈরি হয়েছিল সেটি ছিল সবচেয়ে গণতান্ত্রিক। পরবর্তী সময়ে সংবিধানে বিভিন্ন পরিবর্তন এসেছে। ১৯৯০ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব বিএনপি যখন ক্ষমতায় আসে, তখন সংসদীয় গণতন্ত্র ফিরে আসে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের কাছে নারী-পুরুষ, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান কেউ নিরাপদ নয়। আওয়ামী লীগের লোকজন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছিল। সেই আন্দোলনে তারা ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল। আন্দোলনে তারা অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছিল। এর মধ্যে শেরাটন হোটেলের সামনে বাসে গান পাউডার ছিটিয়ে ১১ জনকে হত্যা করেছে। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার হলো জনগণের দাবি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের লক্ষ্য হচ্ছে, তারা এককভাবে দেশ শাসন করতে চায়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এক দলীয় শাসনব্যবস্থা চলমান আছে। যেমন চীন, নর্থ কোরিয়া ও ভিয়েতনামে। এখানেও আওয়ামী লীগ এক দলীয় ও এক দলের শাসন চালু করতে চায়। তারা একদলীয় বাকশাল করতে চায়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রযন্ত্র দখল করে দেশে নির্যাতন, খুন ও গুম করছে। অথচ এসবের কোনো বিচার হচ্ছে না। বিচার পাওয়ার অধিকারও মানুষের নেই।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানসহ আরও অনেকে।