‘এইবার হয়তো প্রধানমন্ত্রীর কথাও শুনবো না, বাংলাদেশকে বাঁচানোর জন্য মৃত্যুর সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে রাস্তায় নামব’ বললেন আওয়ামী লীগ নেতা ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
আজ রোববার (৯ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনে ১৪৭ বিধিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থাপিত প্রস্তাবের ওপর তৃতীয় দিনে আলোচনা অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, ‘১৯৭৫ সালে স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর খন্দকার মোশতাক তাদের বাড়িতে ফোন করে। তিনি টেলিফোন রিসিভ করেন। খন্দকার মোশতাক শামীম ওসমানের বাবা শামসুজ্জোহার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে, শামীম ওসমান জানান তার বাবা বাসায় নেই।
তখন খন্দকার মোশতাক তার মায়ের সঙ্গে কথা বলতে চায়। তখন টেলিফোন তাঁর মাকে দিলে খন্দকার মোশতাক তাঁর মাকে বলে, শামীম ওসমানের বাবা যাতে পরের দিন সংসদে যান। তাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বানানো হবে।
তখন শামীম ওসমানের মা পরিষ্কারভাবে খন্দকার মোশতাককে জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর স্বামী মন্ত্রী সভায় যাবেন না। আর যদি যান, শামীম ওসমানের মা প্রথমে বাধা দেয়ার চেষ্টা করবেন। যদি বাধাতে কাজ না হয় তিনি তার স্বামীকে ‘হত্যা’ করার চেষ্টা করবেন। আর যদি তাও না পারেন, তিনি নিজে ‘আত্মহত্যা’ করবেন। কিন্তু তারপরও মোশতাকের সংসদে শামীম ওসমানের বাবাকে যেতে দেবেন না।
তখন খন্দকার মোশতাক জানিয়েছিলো সে আর জোহাকে (শামীম ওসমানের বাবা) বাঁচাতে পারলো না। এরপর পাঁচ মিনিটের মধ্যে শামীম ওসমানদের বাড়ি ঘেরাও করা হলো। তার বাবাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেলো।
রাজনীতির এই ইতিহাস তুলে ধরে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন, ওরা আবার গণতন্ত্রের কথা বলে। তিনি ওই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না।
শামীম ওসমান আরও বলেন, ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। এবার আর ৭৫ সাল হবে না। এবার হয়তো প্রধানমন্ত্রীর কথাও শুনবেন না। যারা আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মী আছেন এবার ইনশাল্লাহ্ বাংলাদেশকে বাঁচানোর জন্য মাথায় কাফনের কাপড় পরে মৃত্যুর সাথে অ্যাপয়নমেন্ট নিয়ে রাস্তায় নামবেন।
https://youtu.be/cwVExnaFiXU