আর্কাইভ থেকে জাতীয়

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের শুভেচ্ছাদূত হলেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের শুভেচ্ছাদূত হলেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ কক্ষে নায়ক ফেরদৌসের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে সরকারি এই সংস্থাটি। দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর শেষে ফেরদৌসকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। দেশের মানুষকে নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে সচেতন করতে আগামী এক বছরের জন্য বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন জনপ্রিয় এই অভিনেতা। চুক্তি স্বাক্ষর শেষে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে নায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, গেলো দুই যুগের অধিক সময় ধরে আমি চলচ্চিত্রে কাজ করছি। এর মধ্যে আমি অনেক সরকারি ক্যাম্পেইন করেছি। সেসব ক্যাম্পেইনে প্রত্যেকেই আমাকে তাদের শুভেচ্ছাদূত করতে চেয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে কেউ সেটা করেনি। এই প্রথম আমি কোনো সরকারি সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলাম। এজন্য নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। আমরা একসঙ্গে মানুষকে সচেতন করার কাজ অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবো। তিনি আরও বলেন, আমার সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে ভালো লাগে। আমি আমার শিল্পী সত্ত্বার এবং দায়িত্ব বোধের জায়গা থেকে মানুষকে সচেতন করার কাজগুলো করি। আমি বিশ্বাস করি, বাংলা ভাষাভাষীর প্রচুর মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাই আমি কোনো উদ্যোগ নিলে, কোনো কথা বললে মানুষ সেটা গ্রহণ করবে। একদিনে মানুষকে সচেতন করা সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা একদিনে দেশের সব জায়গায় ক্যাম্পেইন করতে পারব না। ধীরে ধীরে এটি করতে হবে। আমাদের এবং পরবর্তী প্রজন্মের বাঁচার জন্য এটি খুবই জরুরি। তাই আমি আমার শত ব্যস্ততার মধ্যেও এই কাজটি করতে চাই। এই অভিনেতা বলেন, শিশুদের মধ্যে যদি আমরা নিরাপদ খাদ্যের বোধ তৈরি করতে পারি, তাহলে আমরা ভবিষ্যতে একটি সুন্দর সমাজ গড়তে পারবো। আমরা যদি প্রত্যেকটা মানুষকে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার সম্পর্কে সচেতন করতে পারি তাহলে আমরা ভেজালমুক্ত খাবার খেতে পারবো। তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি, আমাদের শিক্ষাতে নৈতিকতার বিষয়টি আরও গুরুত্ব দেয়া উচিত। ছোটবেলা থেকেই যদি নীতি-নৈতিকতার শিক্ষাটা দেওয়া যায়, তাহলে অনিয়ম অনেকটাই কমে যাবে। আমরা আরেকটি বাংলা নতুন বছর শুরু করতে যাচ্ছি। নিজে নিরাপদ খাদ্য খাবো এবং আমার মাধ্যমে অন্যরাও নিরাপদ খাদ্য পাবে। এটাই আমাদের নতুন বছরের অঙ্গীকার হোক। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার বলেন, আমরা আজকে চিত্রনায়ক ফেরদৌসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলাম। একজন নায়ক হিসেবে নয়, তিনি এই দেশের নাগরিক হিসেবে সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তিনি আগামী এক বছর আমাদের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করবেন। আমাদের ইচ্ছে রয়েছে, এই চুক্তি আমরা আরও সম্প্রসারিত করবো। তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করব, চিত্রনায়ক ফেরদৌসের সহযোগিতায় আমরা মানুষের মধ্যে নিরাপদ খাদ্যের বোধ তৈরি করতে পারবো। মানুষকে আরও বেশি সচেতন করতে পারবো। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সচিব আব্দুন নাসের খান, সদস্য মো. রেজাউল করিম, মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদ ও প্রফেসর ড. মো. আব্দুল আলীম। এর আগে পবিত্র রমজান মাসে জনসচেতনতা বাড়াতে রাজধানীর চকবাজার ও বেইলী রোডে এবং সিলেট জেলায় চিত্রনায়ক ফেরদৌসকে নিয়ে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন নিরাপদ | খাদ্য | কর্তৃপক্ষের | শুভেচ্ছাদূত | চিত্রনায়ক | ফেরদৌস