আর্কাইভ থেকে আন্তর্জাতিক

পাঁচ কোরিয়ান নারীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত এক ভারতীয়

পাঁচ কোরিয়ান নারীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত এক ভারতীয়
অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত ভারতীয় নাগরিক বালেশ ধানখড়কে পাঁচ কোরিয়ান নারীকে মাদক সেবনের পর ধর্ষণের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। সিডনির একটি আদালত গতকাল সোমবার (২৪ এপ্রিল) বালেশ ধানখড়কে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদ সংস্থা টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বালেশ ধানখড়কে ‘সবচেয়ে খারাপ ধর্ষকদের একজন’ বলে বর্ণনা করেছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি মর্নিং হেরাল্ড পত্রিকা। আদালত জানিয়েছেন, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত বালেশ ওই নারীদের প্রলুব্ধ করে ওষুধ খাইয়ে অচেতন অবস্থায় ধর্ষণ করেছেন। এই নির্মমতার চিত্র গোপন ক্যামেরায় ধারণ করার অভিযোগও আছে এই ভারতীয় নাগরিকের বিরুদ্ধে। পাঁচ কোরিয়ান নারীকে মিথ্যার জালে প্রলুব্ধ করে মাদকদ্রব্য দিয়ে তাদের পঙ্গু করার অভিযোগও আছে বালেশের বিরুদ্ধে। অস্ট্রেলিয়ায় ডেটাবিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন ৪৩ বছর বয়সী বালেশ ধানখড়। তার বিরুদ্ধে আনা ৩৯টি অভিযোগেই তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আগামী মে মাসে আবার আদালতের মুখোমুখি হতে হবে বালেশকে। চলতি বছরের শেষ দিকে কয়েক দফা আপিল শেষে বালেশের শাস্তি ঘোষণা করা হবে। বালেশ যেদিন দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, সেদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী। আদালতে তাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছিলেন স্ত্রী। আর প্রায়ই কাঁদছিলেন। ধনখারও কেঁদেছিলেন যখন তিনি বলেন, মিথ্যা বলে ধর্ষণ করার কারণ তার একাকীত্ব। আরো জানা যায়, মামলা চালাতে সে তার পরিবারের সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছেন। ২০১৮ সালেও পুলিশ অন্যান্য নারীদের সঙ্গে ধনখারের কয়েক ডজন ভিডিও খুঁজে পেয়েছে। বেশিরভাগ সময় নারীদের ওই ভিডিওগুলোতে অজ্ঞান অবস্থায় পওয়া গেছে। পাঁচ কোরিয়ান নারীকে ধর্ষণের ভিডিওগুলো ফোল্ডারে সাজিয়ে রেখেছিলেন ধনখার। প্রতিটিতে কোরিয়ান নরীদের নাম লেখা রয়েছে। এক একটি ভিডিও ৯৫ মিনিটের। সেখানে দেখা যায় সবাই অচেতন এবং ওই নারীরা ধর্ষণের শিকার। সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন পাঁচ | কোরিয়ান | নারীকে | ধর্ষণে | অভিযুক্ত | এক | ভারতীয়