আর্কাইভ থেকে জাতীয়

সর্বনিম্ন বেতন স্কেল ২৫ হাজার ২০০ টাকা করার দাবি

সর্বনিম্ন বেতন স্কেল ২৫ হাজার ২০০ টাকা করার দাবি
অনতিবিলম্বে বৈষম্যহীন নবম জাতীয় পে কমিশন গঠন, বেতন বৈষম্য দূরীকরণার্থে ১.৫ হারে বেতন স্কেল প্রদান, সর্বনিম্ন বেতন স্কেল ২৫ হাজার ২০০ টাকাসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ চতুর্থ শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতি। শনিবার (৬ মে) প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানায় সংগঠনটি। সংগঠনের সভাপতি মো. আজিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা আব্দুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক মো. মোক্তার হোসেন, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি এম এ হান্নান প্রমুখ। বক্তব্যে সভাপতি মো. আজিম বলেন, সরকারী কর্মচারীর তালিকায় আমরা সবসময়ই অবহেলিত। অন্যান্য শ্রেণি কর্মচারীরা নানান সুবিধা পেলেও আমরা সেসব সুবিধা পাই না। তাই আমাদের ১০ দফা দাবিগুলো বাস্তবায়ন করে বিদ্যমান বৈষম্য দূর করা হোক। তাদের দাবিগুলো হলো- ১. নবম জাতীয় বেতন কমিশন গঠন করে ১.৫ হারে বেতন স্কেল সর্বনিম্ন ২৫ হাজার ২০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে। ২. বর্তমান বাজার দরের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ৪০ শতাংশ মহার্ঘভাতা দিতে হবে। ৩. আউটসোর্সিং প্রথা বাতিল করে রাজস্বখাতে জনবল নিয়োগ করতে হবে। ৪. বাড়ি ভাড়া ৮০ ভাগ, চিকিৎসা ভাতা ৩ হাজার টাকা, শিক্ষা ভাতা ২ হাজার টাকা, যাতায়াত ভাড়া ১৫০০ টাকা, টিফিন ভাতা এক হাজার টাকা ও ধোলাই ভাতা ১০০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে। ৫. পুলিশের ন্যায় রেশন দিতে হবে ও নার্সের ন্যায় পোশাকের টাকা বেতনের সাথে দিতে করতে হবে। ৬. শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন কর্মচারীদের পদোন্নতি দিতে হবে। ৭. নিয়োগের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা সংরক্ষণ রাখতে হবে। ৮. শতভাগ পেনশন উত্তোলনের সুবিধাসহ পেনশন গ্র‍্যাচুইটির হার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে। ৯. সরকারি কর্মচারীদের সুদমুক্ত গৃহঋন দিতে হবে। ১০. ঝুঁকিপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে ঝুঁকিভাতা ও পার্বত্যজেলা সমূহে পাহাড়িভাতা বহাল রাখতে হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন সর্বনিম্ন | বেতন | স্কেল | ২৫ | হাজার | ২০০ | টাকা | করার | দাবি