দুই দিনের ব্যধানে র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ স্থান হারিয়ে ফেললো পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ ওয়ান্ডে সিরিজের প্রথম চার ম্যাচ জিতে প্রথমবারের মতো শীর্ষ স্থানে উঠেছিল বাবর আজমরা। তবে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে কিউই দের বিপক্ষে ৪৭ রানে হেরেছে পাকিস্তান। আর এই হারে আবারও তৃতীয় স্থানে নেমে এলো দলটি।
রোববার (৮ মে) করাচির জাতীয় স্টেডিয়ামে টসে জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার উইল ইয়ং ও টম ব্লান্ডেল। তবে দলীয় ৩২ রানের মাথায় মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে ফখর জামানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান টম ব্লান্ডেল। তিনে নেমে ইয়ংয়ের সঙ্গে ৫১ রানের জুটি গড়েন হেনরি নিকোলস। কিন্তু ব্যক্তিগত ২৩ রানে উসামা মীরের শিকার হয়ে হেনরিও প্যাভিলিয়নে ফিরেন।
এরপর তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক টম ল্যাথামের সঙ্গে ৭৪ রানের জুটি গড়েন ওপেনার ইয়ং। দেখেশুনের সেঞ্চুরির দিকেই এগোচ্ছিলেন এই ওপেনার। কিন্তু ২ ছক্কা ও ৮ চারে ব্যক্তিগত ৮৭ রানে শাদাব খানের শিকার হন ইয়ং। এরপর ব্যক্তিগত ৫৯ রানে বিদায় নেন কিউই অধিনায়কও।
শেষ দিকে চ্যাপম্যানের ৪৩ ও রাচিন রবীন্দ্রের ২৮ রানে ৪৯ দশমিক ৩ ওভারেই অল-আউট হয়ে যায় সফরকারীরা।
পাকিস্তানের হয়ে শাহিন আফ্রিদি তিনটি, শাদাব ও উসামা দুইটি করে এবং হারিস রউফ ও ওয়াসিম একটি করে উইকেট নেন।
জবাবে খেলতে নেমে দলীয় ৩০ রানেই দুই উইকেট হারায় পাকিস্তান। ক্যারিয়ারের শততম ওয়ানডেতে মাত্র ১ রানেই সাজঘরে ফিরেন অধিনায়ক বাবর। এর পরপরই ১৫ বলে ৯ রান করে বিদায় নেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।
দলীয় ৬৬ রানে চার উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। এরপর কিছুটা ধীরগতিতে খেলতে থাকেন ফখর জামান। তবে ৬৪ বলে মাত্র ৩৩ রান করে তিনিও বিদায় নেন।
আগা সালমান ও ইফতিখারের জুটিতে আবারও ঘুরে দাঁড়ায় দ্য ম্যান ইন গ্রিনরা। কিন্তু ৫৭ বলে ৫৭ রান করে সালমান বিদায় নিলে ৯৭ রানেই ভেঙে যায় এই দুই মিডল-অর্ডার ব্যাটারের জুটি। শেষে দিকে ঝোড়ো গতিতে ইফতিখার একাই লড়াই করলেও লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেননি বাবর আজমের দল। শেষ পর্যন্ত ইফতিখারের ৭২ বলে অপরাজিত ৯৪ রানের ইনিংসের পরও ২৫২ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।
এই হারে ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো আইসিসি ওডিআই র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান উঠা পাকিস্তান দুই দিনের ব্যবধানেই এই রাজত্ব হারিয়ে তিনে নেমে এসেছে। আর পুরনো মুকুট ফিরে পেয়ে শীর্ষ স্থানে উঠেছে অস্ট্রেলিয়া।