আয়োজন ছিল নারীদের দাবা খেলার। সেই টুর্নামেন্টে বোরকা পরে অংশ নিলেন একজন পুরুষ। পরিচয় গোপন করে খেলতে বসেন ওই ব্যক্তি। একে একে খেলায় জিতে চতুর্থ রাউন্ডে ওঠেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে গেলেন।
বিচিত্র এ ঘটনা ঘটেছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায়। রাজধানী নাইরোবিতে আয়োজন করা হয়েছিল বার্ষিক কেনিয়া ওপেন। এটা নারীদের জন্য উন্মুক্ত একটি দাবা প্রতিযোগিতা। এবারের আয়োজনে অংশ নেন ২২টি দেশের চার শতাধিক দাবাড়ু।
তাদেরই একজন স্ট্যানলি ওমন্ডি (২৫)। কেনিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন স্ট্যানলি। ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পরিচয় গোপন করেন তিনি। মিলিসেন্ট আওর নামে স্ট্যানলি ওই প্রতিযোগিতায় নাম রেজিস্ট্রেশন করেন।
এরপর বোরকা পরে দাবা খেলতে বসেন স্ট্যানলি। মুখে নেকাব আর চোখে চশমা। তাই তার মুখ দেখার বা তিনি যে পুরুষ, সেটা শনাক্ত করার উপায় ছিল না।
ইতিমধ্যে আয়োজক ও খেলোয়াড়দের সন্দেহ হয়। স্ট্যানলিকে নিয়ে প্রতিযোগিতায় শুরু হয় গুঞ্জন। শুরুর দিকে তাকে নিয়ে আয়োজকেরা কিছুটা দ্বিধায় ভুগছিলেন। তবে চতুর্থ রাউন্ডের খেলার আগে স্ট্যানলিকে আলাদা একটি কক্ষে ডেকে নেন আয়োজকেরা। সেখানে তাকে পরিচয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে স্ট্যানলি সবকিছু স্বীকার করে নেন। জানান, তিনি আসলে নারী নন। পরিচয় গোপন করে এ প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছেন। কেউ যাতে চিনতে না পারেন, এ জন্য মুখ ঢাকা বোরকা আর চশমা পরে খেলতে এসেছেন।
আয়োজকেরা স্ট্যানলির কাছে তাঁর এমন প্রতারণার কারণ জানতে চান। জবাবে স্ট্যানলি বলেন, তিনি শিক্ষার্থী। আয়-রোজগার নেই। সম্প্রতি বেশ অর্থকষ্টে পড়েছেন তিনি। তাই এ সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে তিনি এমন প্রতারণায় আশ্রয় নিয়েছেন। এ কর্মকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
স্ট্যানলির এমন স্বীকারোক্তি ও দুঃখ প্রকাশের পর তাকে দাবার ওই প্রতিযোগিতায় অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। তিনি যেসব ম্যাচে জয় পেয়েছিলেন, সেগুলোর পয়েন্ট হেরে যাওয়া খেলোয়াড়দের দেয়া হয়।