একত্রে চার কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার কল্পনা খাতুন (৩০)। মঙ্গলবার (৯ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জেলা শহরের বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান আঁখি তারা জেনারেল হাসপাতালে তিনি একসঙ্গে চার সন্তান প্রসব করেন।
কল্পনা খাতুন দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের দরিদ্র দিনমজুর মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী। তাদের ঘরে ১০ বছর বয়সি নাঈম হোসেন নামে এক পুত্রসন্তান রয়েছে।
মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, কোলজুড়ে আগত চার কন্যাসন্তান নিয়ে যেমন খুশিতে আত্মহারা তিনি তেমনই চিন্তায় রয়েছেন তিনি। কারণ ক্লিনিকের বিল মেটানোর মতো সামর্থ্য নেই তার।
তিনি বলেন, ‘আমি রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করি। প্রতিদিন ৪০০ টাকা আয় করি। এক ছেলে জন্মানোর ১০ বছর পর চার কন্যার মুখ দেখে আমার বুক ভরে গেছে। তবে অস্ত্রোপচার থেকে শুরু করে ওষুধসহ বিভিন্ন জিনিস কিনতে আমি হিমশিম খাচ্ছি। এ মুহূর্তে আমার স্ত্রী অপারেশন থিয়েটারে আছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছে। রক্তের জোগাড় করতে এখন সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
আঁখি তারা জেনারেল হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এক নারী চার কন্যাসন্তান জন্ম দিয়েছেন। চারজনই সুস্থ আছে। প্রসূতির রক্তক্ষরণ হচ্ছে। চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, চার কন্যাসন্তান আমার তত্ত্বাবধানে আছে। তারা কিছুটা অপুষ্ট। অক্সিজেন ছাড়াই বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। তাদের মায়ের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছে বলে জেনেছি।
তিনি আরও বলেন, এর আগে যমজ শিশু দেখেছি। একসঙ্গে তিন শিশুর জন্মগ্রহণ খুব কম হয়। তবে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম আমার জীবনে এই প্রথম দেখলাম।