তাদের সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা বহুদিনের। কিন্তু কখনওই এ ব্যাপারে নিজের মুখ খোলেননি কেউ। কিন্তু সম্প্রতি বারবার তাদের একসঙ্গে নানা জায়গায় দেখা গেছে। কখনও কোনও রেস্তোরায় তো কখনও আইপিএল দেখতে মাঠে।
কথাতেই বলে 'যা রটে তার কিছু তো বটেই'। ফলে নিজেরা স্বীকার না করলেও অনুরাগীরা একপ্রকার নিশ্চিতই ছিলেন যে একে অপরের প্রেমে বুঁদ হয়েছেন পরিণীতি চোপড়া ও রাঘব চাড্ডা।
অবশেষে বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার সঙ্গে বাগদানও সম্পন্ন হয়েছে রাঘব চাড্ডার। তবে সবারই প্রশ্ন কে এই রাঘব? অভিনয়শিল্পীদের অনেকেই বিনোদন অঙ্গনের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েন, তবে পরিণীতি ব্যক্তিক্রম, এই রাঘব চাড্ডা অভিনেতা নন, রাজনীতিবিদ।
আম আদমি পার্টির নেতা রাঘব চাড্ডা মাত্র ৩৩ বছর বয়সে ভারতের পাঞ্জাব থেকে আসা সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য হিসেবে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি দিল্লির রাজেন্দ্র নগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন।
কীভাবে রাজনীতিতে এলেন রাঘব চাড্ডা? ২০১১ সালে সমাজকর্মী আন্না হাজারের নেতৃত্বে ভারতে চলছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন। এই আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন রাঘব। এই সময় এএপির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে পরিচয় হয় রাঘবের।
এরপর রাঘব বেশ কিছু পরিকল্পনা দেন কেজরিওয়ালকে। তাঁর পরিকল্পনাগুলো শুনে তাঁকে মনে ধরেছিল কেজরিওয়ালের। পরের বছর কেজরিওয়াল রাঘবকে ডেকে ভারতে দুর্নীতি দমনের জন্য ‘লোকপাল বিল’–এর খসড়া তৈরি করতে উৎসাহিত করেন। এটি ছিল তাঁর প্রথম রাজনৈতিক কাজ। এর পর থেকেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।
রাঘব চাড্ডা ভালো কথা বলতে পারতেন। আস্তে আস্তে তিনি হয়ে ওঠেন জনপ্রিয় মুখ ও এএপির জাতীয় মুখপাত্র। ২০১৫ সালে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে এএপি জয়লাভ করলে ২৬ বছর বয়সী রাঘবকে এএপির জাতীয় কোষাধ্যক্ষ নিযুক্ত করা হয়। পরে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ দিল্লি থেকে প্রার্থী হন রাঘব। কিন্তু হেরে যান সেবার। ২০২০ সালে পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে এএপির সহভারপ্রাপ্ত হিসেবে নিযুক্ত করা হয় তাঁকে। সেই নির্বাচনে এএপি ১১২টি আসনের মধ্যে ৯২টিতে জয়লাভ করে। এই ঐতিহাসিক জয়ের পেছনে ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে রাঘবকে বিবেচনা করা হয়।
একই বছর বিজেপি নেতা আরপি সিংকে হারিয়ে দিল্লির বিধানসভায় জায়গা করে নেন রাঘব। ২০২২ সালে দিল্লির বিধায়ক রাঘব চাড্ডাকে পাঞ্জাব রাজ্যসভার সদস্যপদের জন্য মনোনীত করা হয়। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তিনি।
পড়াশোনাতেও ভালো ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন ১৯৮৮ সালে জন্ম নেওয়া রাঘব। স্নাতক শেষ করার পর তিনি লন্ডনে পাড়ি দেন। সেখানে লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। এই সময় তার সঙ্গে পরিচয় হয় পরিণীতি চোপড়ার।
সাধারণ জীবন যাপন করতেই পছন্দ করেন রাঘব। ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী রাঘবের মোট সম্পত্তির পরিমাণ মাত্র ৫০ লাখ রুপি, যা পরিণীতির মোট সম্পত্তির ১০০ ভাগের ১ ভাগের চেয়ে কম।
সূত্র: টিভিনাইন বাংলা
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুনপরিণীতি | চোপড়ার | বর | কে | রাঘব | চাড্ডা