ধর্ম শিক্ষার পাশাপাশি বিজ্ঞান শিক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায়ও অনেক এগিয়েছে তারা। বললেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সোমবার (১৫ মে) ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন, মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন’ স্লোগান সামনে রেখে সরকারি মাদ্রাসা-ই আলিয়ায় মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান মেলা-২০২৩’-এ অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ধর্ম শিক্ষায় এগিয়ে ছিল, তারা এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ নানা শিক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে।
মেলা পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, এবারই প্রথম মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর এত চমৎকার একটি আয়োজন করেছে। আমি তাদের সাধুবাদ জানাই। আমি এ আয়োজন থেকে তাদের বলে দিতে চাই তারা যেন প্রতিবছর এমন আয়োজন করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞান মেলায় ৮৬টি প্রজেক্ট উপস্থাপন করা হয়েছে। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় আধুনিকতা, বায়ুদূষণ নিয়ে, শহরের নানা সমস্যা সমাধানে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যেসব প্রকল্প করেছেন আমি সত্যিই অভিভূত।
তিনি বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা দিক নিয়ে দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা যে তাদের প্রজেক্টগুলো উপস্থাপন করল আমি মুগ্ধ। সময় স্বল্পতার কারণে আমি মাত্র ১৬টি প্রকল্প দেখতে পেরেছি। আমি সত্যিই অবাক হয়েছি যে, আমাদের মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা দেশের সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য ভাবে বলেই এমনসব প্রজেক্ট উপস্থাপন করতে পেরেছে।
দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের উন্নয়নের যে রূপরেখা দিয়ে গিয়েছিলেন, সেই রূপরেখা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা। তিনি এখন ২০৪১ সালের যে নতুন রূপরেখা দিয়েছেন, সেই রূপরেখা বাস্তবায়নে আমাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। এ ধরনের বিজ্ঞান মেলা সেই রূপরেখা বাস্তবায়নের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি।
মাদ্রাসার নম্বরের বিষয়টি সমন্বয় সম্পর্কে তিনি বলেন, সাধারণ শিক্ষায় মোট যত নম্বরের পরীক্ষা হয়, মাদ্রাসায় যেন ঠিক তত নম্বরেরই হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। মাদ্রাসায় যেন তার চেয়ে বেশি নম্বরে পরীক্ষা দিতে না হয়।