ডিম তো খাচ্ছেন, কিন্তু কুসুম ফেলে দিচ্ছেন! না কুসুম বাদ দেবেন না। কুসুমেই রয়েছে আসল স্বাস্থ্যগুণ। এখন বিভিন্ন রোগীদেরও নাকি কুসুম খাওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হচ্ছে, এমনটাই জানিয়েছেন ডায়েটিশিয়ানরা।
কুসুমের ভালো দিক
হাঁসের ডিম – একটা ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে ক্যালরি থাকে ৭১ কিলো ক্যালোরি, প্রোটিন থাকে ১৩.৫ গ্রাম এবং ফ্যাট থাকে ১৩.৭ গ্রাম। সাধারণত ডিমের কুসুম থেকেই ফ্যাটটা পাওয়া যায়। এছাড়াও ০.৮ গ্রাম মত থাকে শর্করা ।
মুরগীর ডিম – ১০০ গ্রাম মুরগির ডিমে ক্যালরি থাকে ৭৩.৭ কিলো ক্যালোরি, প্রোটিন থাকে ১৩.৩ গ্রাম এবং ফ্যাট থাকে ১৩.৩ গ্রাম। ডিমের কুসুমে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক এবং ভিটামিন বি১, বি১২, এ, ই, ডি এবং কে থাকে।
কুসুম হল ফ্যাট-দ্রবণীয় ক্যারোটিনয়েডের উৎস। যেমন Lutein এবং Zeaxanthin থাকে, যা চোখ ভাল রাখে। ছানি পড়ার ঝুঁকি কমায়। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ফ্রি র্যাডিক্যালের কারণে হওয়া ক্ষতি এড়ায়, চোখকে রক্ষা করে । এদিকে ডিম ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অসম্পৃক্ত চর্বির একটি ভাল উৎস। এই উপাদার শরীর তৈরি করতে পরে না, বাইরে থেকেই নেয়া প্রয়োজন।
শরীর ভালো রাখে যেভাবে
কুসুমে ‘ফসভিটিন’ নামক একটি প্রোটিন থাকে, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
কুসুমের ঝিল্লিতে উপস্থিত সালফেটেড গ্লাইকোপেপটাইড ম্যাক্রোফেজ , যা রোগ এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরকে রক্ষা করে।
এতে উপস্থিত ট্রিপটোফ্যান , টাইরোসিন অ্যামিনো অ্যাসিড হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি প্রতিরোধে সহায়তা করে ।
কুসুমে ত্বক উজ্জ্বল হয়। শরীরে সিরামাইড এবং পেপটাইড সরবরাহ করতে সাহায্য করে, যা বলিরেখা কমায়।
ডিমের কুসুমে সহজাতভাবে কোলেস্টেরল বেশি থাকে, কিন্তু তা রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রাকে সেইভাবে প্রভাবিত করে না যেভাবে অন্যান্য কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার যেমন ট্রান্স ফ্যাট এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট করে।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুনডিমের | কুসুমেই | আছে | আসল | স্বাস্থ্যগুণ